পৃথিবী ছেড়ে গেলেন প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে!!!
সাভারের রানা প্লাজা ধসে এভাবেই অকালে ঝরে গেল বহু প্রান!!!
**ছবিতে নিহত স্বামী স্ত্রী**
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৩
জন্মই যেন আমাদের আজন্ম পাপ
জন্মই যেন আমাদের আজন্ম পাপ, আর সেই পাপ মোচন করতেই অনেককেই পুরে অঙ্গারে হতে হয়, কংক্রিটের নিচে চাপা পরতে হয়। হত্যা, খুন, গুম ধর্ষনের বলি হয়েও আমরা অনেকেই পাপ মোচন করে থাকি। আমি দার্শনিক নই, অনুভব ও অনুভূতির উর্ধে খালি চোখে স্পস্ট প্রতীয়মান – এই মৃত মানুষ গুলোর কি খুবই উচ্চাকাঙ্খা ছিল? তারা কি উচ্চভিলাসি? অবশ্যই না; শুধু মাত্র দু-বেলা খেয়ে বেচে থাকার নিরন্তন প্রচেস্টার লড়াইয়ে তারা সৈনিক মাত্র। হল মার্কের ৪,০০০ কোটি টাকা, পদ্মা সেতু, শেয়ার বাজার বা অতি সম্প্রতি সোনালি ব্যাঙ্কের ১,৬০০ কোটি টাকা জালিয়াতির কোন খবরই সম্ভবত তাদের কাছে ছিল না। সিঙ্গাপুর থেকে তারেক বা কোকোর কত টাকা দেশে ফেরত আনা হয়েছে সেটাও এই বলি হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর কাছে ভিত্তিহীন ছিল।
কত সপ্ন ও অনুভূতির মৃত্যু? ছোট ছেলেটা হয়ত তার বাবাকে বলেছিল রঙ্গিন একটা শার্ট কিনে দেবার জন্য, স্ত্রী হয়ত স্বামীকে বলেছিল যে আসার পথে বাজার থেকে ভাল কিচ্ছ মাছ কিনে আনার জন্য কারন ছোট খুকি কয়েকদিন যাবত মাছ খাবার বায়না ধরেছে যে! কারো হয়তো কিছু দিন পরেই বিয়ের পিড়িতে বসার কথা, মেয়েটার মনে সে কি আনন্দ অনাগত সুখ-সমৃদ্ধ জীবনের কথা ভেবে! কারো অসুস্থ বাবা-মায়ের হয়তো ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে, বাড়ি ফেরার পথে হয়তো তা নিয়ে আসবে তার উপার্জন-ক্ষম একমাত্র সন্তান!
এত নিষ্পাপ অনুভূতির মৃত্যুর ক্ষত কি রাষ্টীয় শোক দিবস পালন করলেই সেরে যাবে? মৃত মানুষ গুলো আর কোন দিন ফিরে আসবে না। আহত-নিহতদের চিকিতসা ও সাহায্য এখন অতিব প্রয়োজন যা কিনা রাষ্টীয় শোকের আতলামীর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। অবিলম্বে দ্বায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা না হলে আরো অনেক মৃত্যু আমাদের দেখতে হবে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক ও সামাজীক অবস্থান গুলোতে যে ভয়াবহ অবক্ষয় বিরাজমান তা দুর করা না গেলে অদুর ভবিষ্যতে বছরের ৩৬৫ দিনকেই রাষ্টীয় শোক দিবস হিসেবে আমরা পাব।
কত সপ্ন ও অনুভূতির মৃত্যু? ছোট ছেলেটা হয়ত তার বাবাকে বলেছিল রঙ্গিন একটা শার্ট কিনে দেবার জন্য, স্ত্রী হয়ত স্বামীকে বলেছিল যে আসার পথে বাজার থেকে ভাল কিচ্ছ মাছ কিনে আনার জন্য কারন ছোট খুকি কয়েকদিন যাবত মাছ খাবার বায়না ধরেছে যে! কারো হয়তো কিছু দিন পরেই বিয়ের পিড়িতে বসার কথা, মেয়েটার মনে সে কি আনন্দ অনাগত সুখ-সমৃদ্ধ জীবনের কথা ভেবে! কারো অসুস্থ বাবা-মায়ের হয়তো ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে, বাড়ি ফেরার পথে হয়তো তা নিয়ে আসবে তার উপার্জন-ক্ষম একমাত্র সন্তান!
এত নিষ্পাপ অনুভূতির মৃত্যুর ক্ষত কি রাষ্টীয় শোক দিবস পালন করলেই সেরে যাবে? মৃত মানুষ গুলো আর কোন দিন ফিরে আসবে না। আহত-নিহতদের চিকিতসা ও সাহায্য এখন অতিব প্রয়োজন যা কিনা রাষ্টীয় শোকের আতলামীর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। অবিলম্বে দ্বায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা না হলে আরো অনেক মৃত্যু আমাদের দেখতে হবে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক ও সামাজীক অবস্থান গুলোতে যে ভয়াবহ অবক্ষয় বিরাজমান তা দুর করা না গেলে অদুর ভবিষ্যতে বছরের ৩৬৫ দিনকেই রাষ্টীয় শোক দিবস হিসেবে আমরা পাব।
মা আমাকে বাঁচাও।
আটকে থাকা ছেলে তার মাকে ফোন করে বলছে, "মা আমি ভিতরে আটকে আছি, নি:শ্বাস নিতে পারছিনা। মা, আমার সামনে একটা মেশিন, মেশিনটা যেকোন সময় সরে এসে আমার উপর পরতে পারে। মা আমার গলা প্রচন্ড শুকিয়ে গেছে আমি পানি খাবো। মা আমাকে বাঁচাও।" ফোন পেয়ে উদ্ধারের জন্য প্রাণপনে ছোটাছুটি করছে মা। অথচ উদ্ধার করার মত যথেষ্ট সরঞ্জাম আমাদের নেই। একজন মা শত চেষ্টা করেও হয়ত তার এই সন্তানটাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারবেনা। একসময় ফোনে সন্তানের কাতরানো শুনতে শুনতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে মা, মরে যাবে ছেলেটি। এর চেয়ে নির্মম আর কি হতে পারে??
আসুন আমরা দুই হাত তুলে পমকরুনাময়ের কছে দুর্ঘটনা কবলিত সবার জন্য দোয়া করি !!!
আসুন আমরা দুই হাত তুলে পমকরুনাময়ের কছে দুর্ঘটনা কবলিত সবার জন্য দোয়া করি !!!
কে দিলো নূপুর তোকে
কে দিলো নূপুর তোকে . . .
এই ছবিটি কার? হয়ত আমার-আপনার বোনের অথবা আমাদের কারোরই কেউ না! কিন্তু আপনি ছবিটির দিকে তাকান, পায়ে নূপুর বাধা! তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না শরীরের অন্য কোনো অংশও। শুধু তার পায়ে বাঁধা আছে একটা নূপুর। পায়ের আঙুলে রক্ত মাখা। সে পা তাক করে আছে আমাদের দিকে! কার দিকে?
এটা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন, এ পা আমার দিকে, আপনার দিকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের দিকে!
এটা তার প্রতিবাদ!
ওরা আটকা পড়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের এক ক্ষমতাশীল সুবিধাভোগীর রানা প্লাজায়। গত পরশু দিনও তিনি বেঁচে ছিলেন। কাল আটকা পড়ার পর কখন তিনি মারা গেছেন, সেটা আমরা কেউই জানি না। হয়ত মারা যাওয়ার আগে তার এ প্রতিবাদ! তার এ প্রতিবাদ আমার, আপনার আর রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি!
কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র কি তার এ প্রতিবাদ আমলে নেবে? আমরা দেখছি, রানা প্লাজার সামনে বুধবার থেকে আহত-নিহত স্বজনদের আহাজারি!
ভাই যেমন বোনকে খুঁজছেন। বোন খুঁজছেন তার ভাইকে। বাবার খোঁজে, ছেলে-মেয়ের খোঁজে মা।
আমরা যারা মিডিয়ায় কাজ করি, তারা বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান নিয়েছি। হয়ত আরও কিছু সময় আমরা থাকবো। আহত-নিহতদের স্বজনদের মুখের কথা বের করবো। ভবনের মালিকের বিচার চাইবো। কিন্তু সেটা কতদিন, প্রশ্নটা সেখানেই!
আমরা দেখেছি, তাজরীনের মালিককে পাশে বসিয়ে বিজিএমইএর কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারপর আর তাজরীনের মালিকের খবর নেই। আর রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য তোহিদ জং মুরাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
সেখানে কি সোহেল রানার আদৌ বিচার হবে? আমরা কি পারবো তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে?
তাই, নাম না জানা ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপাপড়া এই কিশোরী আমাদের দেখিয়ে দিলো- “তোমরা যা পারছো না আমি তা করে গেলাম!” এ যেন সেই রবি ঠাকুরের গল্পের মতোই ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই’।
তেমনি এই কিশোরীর পা দেখে মনে হয়, এ এক মানবিক প্রতিবাদ, জীবনের জন্য অসহায়ের দ্রোহ!!
জাকিয়া আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
এই ছবিটি কার? হয়ত আমার-আপনার বোনের অথবা আমাদের কারোরই কেউ না! কিন্তু আপনি ছবিটির দিকে তাকান, পায়ে নূপুর বাধা! তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে না শরীরের অন্য কোনো অংশও। শুধু তার পায়ে বাঁধা আছে একটা নূপুর। পায়ের আঙুলে রক্ত মাখা। সে পা তাক করে আছে আমাদের দিকে! কার দিকে?
এটা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন, এ পা আমার দিকে, আপনার দিকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের দিকে!
এটা তার প্রতিবাদ!
ওরা আটকা পড়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের এক ক্ষমতাশীল সুবিধাভোগীর রানা প্লাজায়। গত পরশু দিনও তিনি বেঁচে ছিলেন। কাল আটকা পড়ার পর কখন তিনি মারা গেছেন, সেটা আমরা কেউই জানি না। হয়ত মারা যাওয়ার আগে তার এ প্রতিবাদ! তার এ প্রতিবাদ আমার, আপনার আর রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি!
কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র কি তার এ প্রতিবাদ আমলে নেবে? আমরা দেখছি, রানা প্লাজার সামনে বুধবার থেকে আহত-নিহত স্বজনদের আহাজারি!
ভাই যেমন বোনকে খুঁজছেন। বোন খুঁজছেন তার ভাইকে। বাবার খোঁজে, ছেলে-মেয়ের খোঁজে মা।
আমরা যারা মিডিয়ায় কাজ করি, তারা বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান নিয়েছি। হয়ত আরও কিছু সময় আমরা থাকবো। আহত-নিহতদের স্বজনদের মুখের কথা বের করবো। ভবনের মালিকের বিচার চাইবো। কিন্তু সেটা কতদিন, প্রশ্নটা সেখানেই!
আমরা দেখেছি, তাজরীনের মালিককে পাশে বসিয়ে বিজিএমইএর কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারপর আর তাজরীনের মালিকের খবর নেই। আর রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য তোহিদ জং মুরাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
সেখানে কি সোহেল রানার আদৌ বিচার হবে? আমরা কি পারবো তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে?
তাই, নাম না জানা ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপাপড়া এই কিশোরী আমাদের দেখিয়ে দিলো- “তোমরা যা পারছো না আমি তা করে গেলাম!” এ যেন সেই রবি ঠাকুরের গল্পের মতোই ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই’।
তেমনি এই কিশোরীর পা দেখে মনে হয়, এ এক মানবিক প্রতিবাদ, জীবনের জন্য অসহায়ের দ্রোহ!!
জাকিয়া আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
পৃথিবী ছেড়ে গেলেন প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে।
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ
ইছচে করছে ছুটে গিয়ে উদ্বার কাজে অংশ নিই কিন্তু অনেক দুরে..... মৃত সবার মাগফিরাত কামনা করি। আর যারা ভবন করতে মানুষ মারার ব্যসবসথা রেখেছে ওই টাকাখেকো কাপুরুষদের শাসতি চাই এবং ফাটল দেখার পরে ও যারা লাশের মিছিল দেখতে চেয়েছে শুধু টাকা আয়ের জন্য ওই অমানুষদের ও উপযুক্ত বিচার দাবি করি। যদি ও এই দেশ কখনো তাদের টিকিটি ও ছুতে পারবেনা !! এবং কিছুই হবেনা তাদের!!
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ
ইছচে করছে ছুটে গিয়ে উদ্বার কাজে অংশ নিই কিন্তু অনেক দুরে..... মৃত সবার মাগফিরাত কামনা করি। আর যারা ভবন করতে মানুষ মারার ব্যসবসথা রেখেছে ওই টাকাখেকো কাপুরুষদের শাসতি চাই এবং ফাটল দেখার পরে ও যারা লাশের মিছিল দেখতে চেয়েছে শুধু টাকা আয়ের জন্য ওই অমানুষদের ও উপযুক্ত বিচার দাবি করি। যদি ও এই দেশ কখনো তাদের টিকিটি ও ছুতে পারবেনা !! এবং কিছুই হবেনা তাদের!!
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৩
কি ঘটেছিল সেদিন
কি ঘটেছিল সেদিন ফটিকছড়িতে প্রকৃত সত্য জানুন..
************************** *******
এই লেখা গুলো কোন মিড়িয়াতে আসেনাই, যথেষ্ট তথ্যপ্রমান সাপেক্ষে এই লেখা সাজানো হয়েছে।
-------------------------- -------------------------- -
১১ই এপ্রিল ২০১৩ সেদিন ছিল শিবিরের ডাকা দেশব্যাপি হরতাল, আওয়ামিলীগ কর্মীরা বের হয়েছিল তাদের শক্তি প্রর্দশনের জন্য। নেতৃত্ব দিয়েছিল এটিএম পেয়ারুল ইসলাম নামের গত এমপি নির্বচনে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর কাছে হরে য়াওয়া প্রাথী। তার সাথে ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী গ্রুপ তায়্যুব বাহিনী, যার মাললার সংখ্য ৩৫টি, আর এই সন্ত্রাসী বাহিণীর কাছে ছিল অত্যধুনিক সমরাস্ত্র। তাদের পাহারায় ছিল স্থানিয় পুলিশ বাহিনী। তাদের সাথে ছিল ২০০ টি মোটর সাইকেল, ৫ টি মিনি ট্রাক, ৩ টি মাইক্রোবাস, ২ টি কার। এলাকার লোকের কাছে জানাযায় তাদের সংখ্য ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী। তারা এসেছিল বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে ৯ কিলোমিটার দুর থেকে ফটিকছড়ির ভুজপুর নামক গ্রামে মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়ার জন্যে। উল্লেখ্য তারা এর ২দিন আগে হেফাজতে ইসলামের হরতালে তাদের এলাকায় হরতাল বিরুধী মিছিলে ফটিকছডির বিভিন্ন মাদ্রাসা ঘুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
প্রথমেই ভুজপুর বাজারে নেমে এক বৃদ্ধের দাড়ি নিয়ে টানা টানি শুরু করে এবং তাকে রাজাকার বলে গালাগালি শুরু করে।স্লোগানের মাঝে তারা এক ভয়ংকর স্লোগান দেয়, মৌলানা শফির গা…/জুতা মা..(নাউযুবিল্লাহ) এই স্লোগন শুনার পর মাদ্রসার ভিতরে অবস্থান করা কিছু বাচ্ছা ছেলে নিজেদের কে আর স্থীর রাখতে পারে নাই। তারা নারায়েতকবীর…/ নাস্তিকদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে স্লোগান ধরে। এর পর আওয়ামী সন্ত্রাসী গুলো মাদ্রসা লক্ষ্য করে ইটা নিক্ষেপ করে, কয়েটা মাদ্রাসার ছাত্রকে মারধর করতে থাকে। এর মধ্যে বাজারে ছড়িয়ে যায় মাদ্রসার ছেলেদের মরধর করতেছে সন্ত্রাসীরা, পরিস্তিতি মুহুর্তের মধ্যেই গোলাটে হয়ে যায়, সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রসীদের প্রতিরোধ শুরু করে। এরই মধ্যে একজনে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে সন্ত্রাসী প্রতিরোধ করার আহবান জানায়, চারদিক থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। ভুজপুর বাজারের পড়েযায় ১৭টি লাশ। অনেকেই পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যার্থ হয় সারা গ্রাম দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে পিটাত থাকে, অর্ধশত আওয়ামী সন্ত্রাসী কে হত্যা করে ৩০০ সন্ত্রাসীকে আহত করে। পুলিশ ব্যর্থ হয়ে বিড়িয়ার কল করলে নেতা টাইপের কিছু সন্ত্রাসী জানে বেছে যায়। তাদের বহনকারী ২০০ মোটর সাইকেল ও অন্য সব গাড়ী গুলো জনতা জ্বালিয়ে দেয়, সাথে আগুন নিভাতে আসা ফায়ার ব্রিগেটের একটি গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়।
ফটিকছড়ি থানা থেকে এটাকে পৃথক করা হয়েছে। তাদের পক্ষে লক্ষাধিক মানুষ সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না। তাদের সাথে যোগ দিল ফটিকছড়ি থানার ২৫-৩০জন পুলিশ। না, তারা্ও ব্যার্থ। পাবলিক তাদের হালকা পাতলা মাইর দিয়ে ভাগায়। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল হতাহত মানুষগুলোরে চিকিত্সা দিতে, কিন্তু জনগণ নাছোড় বান্দা, তাদের জীবিত ছাড়তে রাজি নন। অবশেষে বিজিবি আসলে তাদের পরিস্থিতি কিছুটা শীতল হয়। ততক্ষণে পাবলিক তার কাম বুঝায় দিছে, বাকি রইলোনা মাইর খাওয়ার মত কেও।
প্রশাসনের ব্যর্থতা ডাকতে লাশ গুম করা হল। সংঘর্ষের তিনদিন পরও লাশ মিলে খালে বিলে ডোবায়। গণপিটুনীতে অংশগ্রহণকারীদের কারো কারো মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ এরও অধিক। তাছাড়া এই সংবাদ প্রচার হলে সারা দেশে ছাত্রলীগের মনোবল ঠিক রাখা যাবে না । ছাত্রলীগ নেতা -কর্মীরা পালিয়ে যাবে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য হুমকি হয়ে যাবে। তাই মাইর খেয়েও চিৎকার করতে পারছে না আবার সহ্যও করতে পারছে না।
সন্ত্রাসী হত্যা = ৫০+
সন্ত্রাসী আহত = ৩০০+
মোটর সাইকেল জ্বালীয়ে দেওয়া = ২০০+
কার, মাইক্রো, মিনি ট্রাক জ্বালীয়ে দেওয়া = ১০+
ফায়ার ব্রিগেটের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া = ১
এত লাতি খাওয়ার পরও আওয়ামী লীগ কিছুই করতে পারবেনা, কারন দেশে ১০% লোকও আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেনা, ফটিকছড়ির মতো যেখানেই গুন্ডামি করবে, সেখানেই গণ ধোলাই খেয়ে প্রাণ হারাবে...
**************************
এই লেখা গুলো কোন মিড়িয়াতে আসেনাই, যথেষ্ট তথ্যপ্রমান সাপেক্ষে এই লেখা সাজানো হয়েছে।
--------------------------
১১ই এপ্রিল ২০১৩ সেদিন ছিল শিবিরের ডাকা দেশব্যাপি হরতাল, আওয়ামিলীগ কর্মীরা বের হয়েছিল তাদের শক্তি প্রর্দশনের জন্য। নেতৃত্ব দিয়েছিল এটিএম পেয়ারুল ইসলাম নামের গত এমপি নির্বচনে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর কাছে হরে য়াওয়া প্রাথী। তার সাথে ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী গ্রুপ তায়্যুব বাহিনী, যার মাললার সংখ্য ৩৫টি, আর এই সন্ত্রাসী বাহিণীর কাছে ছিল অত্যধুনিক সমরাস্ত্র। তাদের পাহারায় ছিল স্থানিয় পুলিশ বাহিনী। তাদের সাথে ছিল ২০০ টি মোটর সাইকেল, ৫ টি মিনি ট্রাক, ৩ টি মাইক্রোবাস, ২ টি কার। এলাকার লোকের কাছে জানাযায় তাদের সংখ্য ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী। তারা এসেছিল বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে ৯ কিলোমিটার দুর থেকে ফটিকছড়ির ভুজপুর নামক গ্রামে মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়ার জন্যে। উল্লেখ্য তারা এর ২দিন আগে হেফাজতে ইসলামের হরতালে তাদের এলাকায় হরতাল বিরুধী মিছিলে ফটিকছডির বিভিন্ন মাদ্রাসা ঘুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
প্রথমেই ভুজপুর বাজারে নেমে এক বৃদ্ধের দাড়ি নিয়ে টানা টানি শুরু করে এবং তাকে রাজাকার বলে গালাগালি শুরু করে।স্লোগানের মাঝে তারা এক ভয়ংকর স্লোগান দেয়, মৌলানা শফির গা…/জুতা মা..(নাউযুবিল্লাহ) এই স্লোগন শুনার পর মাদ্রসার ভিতরে অবস্থান করা কিছু বাচ্ছা ছেলে নিজেদের কে আর স্থীর রাখতে পারে নাই। তারা নারায়েতকবীর…/ নাস্তিকদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে স্লোগান ধরে। এর পর আওয়ামী সন্ত্রাসী গুলো মাদ্রসা লক্ষ্য করে ইটা নিক্ষেপ করে, কয়েটা মাদ্রাসার ছাত্রকে মারধর করতে থাকে। এর মধ্যে বাজারে ছড়িয়ে যায় মাদ্রসার ছেলেদের মরধর করতেছে সন্ত্রাসীরা, পরিস্তিতি মুহুর্তের মধ্যেই গোলাটে হয়ে যায়, সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রসীদের প্রতিরোধ শুরু করে। এরই মধ্যে একজনে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে সন্ত্রাসী প্রতিরোধ করার আহবান জানায়, চারদিক থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। ভুজপুর বাজারের পড়েযায় ১৭টি লাশ। অনেকেই পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যার্থ হয় সারা গ্রাম দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে পিটাত থাকে, অর্ধশত আওয়ামী সন্ত্রাসী কে হত্যা করে ৩০০ সন্ত্রাসীকে আহত করে। পুলিশ ব্যর্থ হয়ে বিড়িয়ার কল করলে নেতা টাইপের কিছু সন্ত্রাসী জানে বেছে যায়। তাদের বহনকারী ২০০ মোটর সাইকেল ও অন্য সব গাড়ী গুলো জনতা জ্বালিয়ে দেয়, সাথে আগুন নিভাতে আসা ফায়ার ব্রিগেটের একটি গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়।
ফটিকছড়ি থানা থেকে এটাকে পৃথক করা হয়েছে। তাদের পক্ষে লক্ষাধিক মানুষ সামাল দেয়া সম্ভব ছিল না। তাদের সাথে যোগ দিল ফটিকছড়ি থানার ২৫-৩০জন পুলিশ। না, তারা্ও ব্যার্থ। পাবলিক তাদের হালকা পাতলা মাইর দিয়ে ভাগায়। পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল হতাহত মানুষগুলোরে চিকিত্সা দিতে, কিন্তু জনগণ নাছোড় বান্দা, তাদের জীবিত ছাড়তে রাজি নন। অবশেষে বিজিবি আসলে তাদের পরিস্থিতি কিছুটা শীতল হয়। ততক্ষণে পাবলিক তার কাম বুঝায় দিছে, বাকি রইলোনা মাইর খাওয়ার মত কেও।
প্রশাসনের ব্যর্থতা ডাকতে লাশ গুম করা হল। সংঘর্ষের তিনদিন পরও লাশ মিলে খালে বিলে ডোবায়। গণপিটুনীতে অংশগ্রহণকারীদের কারো কারো মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ এরও অধিক। তাছাড়া এই সংবাদ প্রচার হলে সারা দেশে ছাত্রলীগের মনোবল ঠিক রাখা যাবে না । ছাত্রলীগ নেতা -কর্মীরা পালিয়ে যাবে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য হুমকি হয়ে যাবে। তাই মাইর খেয়েও চিৎকার করতে পারছে না আবার সহ্যও করতে পারছে না।
সন্ত্রাসী হত্যা = ৫০+
সন্ত্রাসী আহত = ৩০০+
মোটর সাইকেল জ্বালীয়ে দেওয়া = ২০০+
কার, মাইক্রো, মিনি ট্রাক জ্বালীয়ে দেওয়া = ১০+
ফায়ার ব্রিগেটের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া = ১
এত লাতি খাওয়ার পরও আওয়ামী লীগ কিছুই করতে পারবেনা, কারন দেশে ১০% লোকও আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেনা, ফটিকছড়ির মতো যেখানেই গুন্ডামি করবে, সেখানেই গণ ধোলাই খেয়ে প্রাণ হারাবে...
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)