ভাবছিলাম, থাবাকে নিয়ে আর লিখব না। কিন্তু এই নিয়া হাসিনা গংয়ের জাতীয় সংসদে বাড়াবাড়িতে আবার কলম ধরতে বাধ্য হলাম। এখন উহারা (মুরতাদ হাসিনা ও তার মুরতাদ এমপিরা) জাতিকে গিলাইতে চায়, “রাজীব ভালো ছেলে ছিলো; সে ‘শহীদ‘ হইছে। আর কিছু সংখ্যক লোক কেবল অপপ্রচার করিতেছে।” আর হাসিনার চ্যালা উন্মাদ হানিফ হুমকি দিচ্ছে, আমাদের নাকি শায়েস্তা করিবেন, কেননা আমরা উহাদের অপকর্ম বাধা দিতাছি, তাই? [হানিফকে বলি, ওরে মিথ্যুক, চাপাবাজ, হারামখোর, আর মুরতাদের সহযোগি, শুনে রাখ। তোদের প্রাপ্য জাহান্নামে পাঠিয়ে তবেই আমরা ক্ষান্ত হবো।]
এবার আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পরে মানুষের হিসাব চলে যায় আল্লাহর কাছে, একথা সত্য। কেউ কেউ বলেন, মৃতকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তি যদি মানুষের ঈমান-আকীদা নষ্ট করে যায়, এমনকি মানবজাতি ধংসের বীজ বপন করে যায়, তাও না? অবশ্যই করা যাবে। ধর্ম রক্ষার জন্য কেবল জেহাদ করা নয়, এমনকি কতল করার বিধানও আছে ইসলামে।
ব্লগার রাজীব সম্পর্কে এতদিন ধরে মিডিয়ায় যা লিখে আসছে, তা ওর অপকর্মের তুলনায় সামান্যই। বন্ধুরা, আপনারা যদি সব পড়েন, শিউরে উঠবেন, দুঃখে অস্থির হযে যাবেন। মাথায় আগুণ ধরে যাবে, আর তখন ওকে আরেকবার হত্যা করতে চাইবেন। কেউ বা আবার কবর জ্বালিয়ে দেবেন- এ মাটি মুরতাদেকে ধারণ করার জন্য নয়। দেশে দাঙ্গা বাধানো এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মহাজোটের মন্ত্রী এমপিরা যেভাবে প্রতিদিন রাজীব বন্দনা করে চলছেন, আর নিজেদের ঈমান নষ্ট হচ্ছে, মুরতাদ বানাচ্ছে, সেটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যই এ লেখা।
ইসলামে “শহীদ” বলে একটি টার্ম আছে, যারা বিনা হিসাবে বেহেশতী। ধর্মযুদ্ধ বা দেশ রক্ষা করতে গিয়ে যারা নিহত হয় তারা শহীদ। এটা ইসলামী টার্ম। একথা অনস্বীকার্য, নিহত রাজীব চেয়েছিলো আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে ধংস করতে, কিন্তু আল্লাহ তাকে ধংস করে দিয়েছেন। সে তার মেয়ে বান্ধবী নিয়ে নষ্টামী করে ফেরার পথে মারা গেছে, লাশের হাতে মুঠোয় পাওয়া গেছে মেয়েদের চুল। এ রকম পাপিষ্ঠ নরাধমকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষণা করে “শহীদ।” এটা হাসিনার বাপের তালুক না বা রাজনীতির খেলা না, যে উনি বিধর্মী মুরতাদকে “শহীদ” বানাবেন! আল্লাহর রাজত্বে আল্লাহর আইনকে অবজ্ঞার শাস্তি কঠিন। এর দায়ভার হাসিনাকে অবশ্যই নিতে হবে। আর হাসিনার ঐ ঘোষণার মধ্য দিয়ে নিজেই হয়ে গেছেন “মুরতাদ,” সেটা এখন দেশের কোটি কোটি মানুষ জানে। এখন হাসিনার উচিত হবে, তওবা করা, আবার কলেমা পড়ে মুসলমান হওয়া। এবং সেটা করতে হবে প্রকাশ্যে, কেননা মানুষের জানতে হবে হাসিনা ইসলাম ধর্মে ফিরে এসেছে! নইলে তাকেও জানাজা দেয়া যাবে না। সমাজে মুরতাদের সংখ্যা বাড়ুক, আমরা তা চাই না। হাসিনার কাছে আহবান, ঈমান আনুন।
ইতোমধ্যে খবর বের হয়েছে, বিরোধী দলকে ফাঁসাতে এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ আসর জমানোর জন্য হাসিনার নির্দেশেই এ হত্যাকান্ড। এ খবর জানার পরে নাস্তিক ব্লগাররা জীবন নিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে।
ফিরে আসি রাজীবের অপকীর্তিতে। সে তার ফেসবুকে ২০০৭ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে আমাদের নবী মুহম্মদ (সঃ) এর কল্পিত ৬১ টি চিত্র। ‘নুরানী চিপা’ নামক ব্লগে ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি বিশ্বাস ও রীতিকে কটাক্ষ করা হয়েছে; তার বিকৃত রুচির বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের নবীজির জীবন ও তার পারিবারিক জীবন নিয়ে অশালীন, বানোয়াট ও অকথ্য নোংরা গল্প বানিয়ে কেবল একটি সাইটে নয়, তার ফেসবুকের পাতায়ও রয়েছে, যার রয়েছে কয়েক হাজার ফ্যান। নিজের সাথে সাথে সে অনেক মানুষকে ঐপথে ঠেলে নিয়ে গেছে রাজীব। থাবা বাবার বানোয়াট প্রচারণাগুলি এরকম:
========================== ============
“মোহাম্মক=মোহাম্মদ+আহাম্মক ।” (নাউযুবিল্লাহ)
“আল্লারে পুন্দানী দিয়া একখানা রচনা খাড়া করছিলাম! কিন্তু আল্লায় তার ল্যাঙ্গট খোয়া যাওয়ার ডরে ল্যাপ্পির চার্জ শেষ কইরা রাখছে, ডেকচিও খুলতে পারতছিনা কারেন্টের অভাবে! আল্লা ঐটাও অফ কইরা দিছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক এমনি উস্তাদ চাপাবাজ ছিল যে তার চাপার কোন মা-বাপ ছিল না! সে নিজেকে জাতে তোলার জন্য এমন একজনের বংশধর বলে দাবী করে বসেছে যে লোকটার কোন অস্তিত্বই ছিল না! লোকটার নাম ইব্রাহিম!” (নাউযুবিল্লাহ)
“নবুয়্যতের মোহর: মোহাম্মদ লুইচ্চামীর জন্য খাদিজার কাছে মাইর খাইতো নিয়মিত। যেনতেন মাইর না, তার পিঠ-মোবারকে খাদিজার পবিত্র জুতার বারি। তাই নিজের সম্ভ্রম-শরীফ রক্ষা করার জন্য চাপা মারায় উস্তাদ মোহাম্মদ পিঠে খাদিজার পেন্সিল হিলের গর্ত ঢাকতে গল্প ফেঁদে বসছিল, সেই গল্পই আমরা এখন নবুয়্যতের মোহরের গল্প বলে জানি।” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক ও কুত্তা: বাড়িতে কুত্তা থাকতে চোর আর মোহাম্মদ কোনটাই আসা সম্ভব না। চোরের তাতে কি সমস্যা জানি না, তবে মোহাম্মদের তাতে বড়ই মুসিবত। কুত্তা থাকলে তার রাইত বিরাতে সব উম্মে-বিনতেদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ, সোনার অঙ্গ কালি হইয়া যায়। তাই আল্লার নামে চাপা ঝাইরা দিল যে বাড়িতে কুত্তা থাকলে সেই বাড়িতে রাইতের বেলা রহমতের ফেরেস্তা ঢুকে না। কোরানের বানী (পড়তে হবে চাপা) তো আর ফেলা যায় না তাই কুত্তা আউট, ফেরেস্তার সাথে মোহাম্মদেরও আর ঢুকতে বাধা থাকলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
সুবে সাদিক: “মুয়াজ্জিন আর রাস্তার কুকুরের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কার চিৎকার বেশী সুরেলা!” (নাউযুবিল্লাহ)
সিজদা: “মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শঃই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি খাইয়া (মদ্য বিশেষ) পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্ম-হানী নাই। ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিমিত্তে সে উর্ধপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশী চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত। এমতাবস্তায় কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গীটির নাম সিজদা। সেই হইতে মুসলমানের জন্য উর্ধপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
তাহাজ্জুতের নামাজ: “শীতের বেলা বিবির পাশ থেইক্যা উইঠ্যা আরেক বেটির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হইলো মাঝ রাইত আর সুবে সাদিকের মইধ্যের সময় যখন বিবির ঘুম আর রাইতের আন্ধার দুইটাই খুব গাঢ়। তাই ঠিক ঐ সময় আন্ধাইরে মোহাম্মদ অভিসারে বাইর হইতো। রাস্তায় কেউ দেইখ্যা ফালাইলে চাপা মারতো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে যায়। সেই থেইক্যা মুসলমানগো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া শুরু।” (নাউযুবিল্লাহ)
উঁটমূত্র: “মোহাম্মক তারে রাইখ্যা তারই বাপের পয়সায় এক বান্দির লগে তিন ঘন্টা এক সরাই খানায় কাটায় আইছে, তাও রাইতের আন্ধারে না, এক্কেবারে দিনের বেলায়। আর তার পরে ঘরে আইসাই “শরবত লে আও” কইয়া একটা হুকুম হাঁকলো। মোহাম্মকের দাঁত কেলাইন্যা হাসি দেইখ্যা আয়েশা আর সইহ্য করতে পারলো না। দৌড়ায় গিয়া বাপের বাড়ি উপস্থিত। বাপের উঁটের বহর থেইক্যা একটা সুন্দরী উঁটেরে মুতায় সেই মূত্র গেলাসে কইরা আইন্যা দিল মোহাম্মকের হাতে। মোহাম্মকের তখনো সেই কাফ্রী বান্দির বালের গন্ধের রেশ কাটে নাই। তাই আয়েশার দেয়া ‘শরবত’ গিল্যা শেষ করার আগে টেরই পাইলো না কি গিলছে। এই দিকে আবু বকরী দেইখ্যা ফালাইছে তার মাইয়ার বিটলামী। মাইয়ারে চুলের মুঠি ধইরা ঝাড়ি মারবো কাহিনী কি, তার আগেই আয়েশা বিবি কইলো সবরি কলা থুক্কু পেয়ারা নবী নিজেই ঐটা খাইতে চাইছে। আবু বকরী পুরাই বকরী হইয়া গেল বেটির কথা শুইনা। দৌড়ায় গেল মোহাম্মকের ঘরে। তার ব্যাক্কল মার্কা খোমা দেইখ্যা মোহাম্মদ বুঝলো রবিদার কথা হাড়ে হাড়ে ঠিক “গোপনো কথাটি রবে না গোপনে” তাই উঁটমূতের গেলাস হাতে তার ৬৪টা দাঁত বাইর কইরা সোনামুখে চাপা ঝাড়লো যে উঁটমূত্র পানে আল্লার ফজিলত আছে। সেই থেইক্যা মুসলমানরা উঁটমূত্র পান কইরা আইতাছে চুন্নত বইলা! (নাউযুবিল্লাহ)
মদ ও মোহাম্মক: “..... হের লাইগ্যাওই মোহাম্মগ আল্লার কতায় বনি-অমুক গেরাম দহল অইরা ফালাইলো এগদিন। গেরামের বেডাইন্তেরে মাইরা লাইলো কোফায়া। হের পর হের সাহাবীরা জাপ্পুরদা হড়লো মদের বতুল্ডির উরফে। খায়া খুইয়া টাল অয়া গেল সবতে। হের অরে সবতে মিল্লা টাল অইয়া গেরামের সব বেইড্ডাইন আর ছেরিমানুগুলারে শুরু অরলো গনিমতে ছহবৎ। কিন্তু টাল আছিলো বইল্লা আজল হরনের কতা কাউরই মনো আছিলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
“উম্ম-হানীর যোনী গহ্বরের ঐতিহাসিক নাম হেরা গুহা!!!” (নাউযুবিল্লাহ)
ঈদ মোবারক: “মোহাম্মক তো টাল, স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভান্ডের ওপর ঝাঁপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো। যথারীতি সকাল বেলা মোহাম্মক উর্ধপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবে সাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো তার পাতিনবী পতিদেব কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। …… খাদিজা চিল্লাচ্ছে “ইঁট মুবারক, ইঁট মুবারক” !!! কাবা প্রাঙ্গণে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধপোঁদে পজিশিত। মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে ঐটা হৈল নামাজের সিজদা (সিজদা দ্রষ্টব্য) তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করলো ইঁটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইঁট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন ঊর্ধপোঁদে নামাজ পরা আর ইঁট মুবারক বলার রীতি শুরু হইলো, আর কালক্রমে শব্দবিচ্চ্যুতির কারণে ইঁট হয়ে গেল ঈদ!!” (নাউযুবিল্লাহ)
========================== =========
এই রকম এক নিকৃষ্ট নাস্তিক কাফের মোনাফেক মুরতাদকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষনা করেছে “শহীদ”; আবার তার জন্য কোরআনের নির্দেশ লংঘন করে জানাজা দেয়া হয়েছে; আর সাধারন মানুষদের মুরতাদের কাতারবন্দী করা হয়েছে। এ ঘোরতর অন্যায়! যারা তাতে অংশ নিয়েছে, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। কেননা কোরআনের হুকুম হচ্ছে, যার ইমান নাই তার জানাজা পড়া যাবে না। সারা সুরা তাওবার ৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন: ”আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে।”
আমাদের পেয়ারা নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ঐসব নোংরা, মিথ্যা কদর্য, বনোয়াট গল্পের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এসব কথা পড়া উচিত না এবং প্রচার করাও উচিত না। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকার থেকে এ সকল লেখকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলাম বিরোধীতা মানে উদার মতবাদ! তাদেরকে সরকারী গানম্যান দেয়া হয়, মারা যাওয়ার পরে ‘শহীদ’ ঘোষণা করে মুসলিম প্রধান দেশের প্রধানমন্ত্রী! এখনেই শেষ নয়, সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্যে জাতির সামনে রাজীবের মত কুলাঙ্গারকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়, শোক করে। রাজীবের বাপ ডাঃ নাজিম নতুন করে মিথ্যা ছড়ানো শুরু করেছে- থাবা বাবা নাকি নামাজ পড়ত, ধর্মভীরু, সুখী পারিবারিক জীবন ছিলো। একজন নামাজীর চরিত্র যদি এই হয়, তবে তো লোকজন আরো বিভ্রান্ত হবে। ওদের প্রত্যেকটা কথা মিথ্যা। এটা মোনাফেকের চরিত্র। এ কারনেই রাজীবের অপকর্মসমুহ আবার তুলে ধরতে হয়েছে। সরকার ‘নূরানী চাপা’ মূছে দিয়েছে বটে। কিন্তু সব লেখা জোখা এখনো আছে রাজীবের নিজস্ব ফেসবুকে।
ইসলাম নাযেলের পর থেকেই ইহুদী, খ্রীষ্টান, পৌত্তলিক, ও নাস্তিকরা নবী (সঃ) ও ইসলামের নামে বহু বিভ্রান্তি ছড়ানো ও মিথ্যা প্রচার করতে থাকে। এখনো পশ্চিমা বিশ্বে ও ইউরোপে প্রচারণা চলছে। রাজীব তার ভ্রান্ত চিন্তা নিয়ে নিজের কাছে থাকলে কোনো সমস্যা ছিলো না। কিন্তু এটা সামাজিক সাইটে প্রকাশ করে তার মত আরো শত শত তরুনকে বিভ্রান্ত করে গেছে। আর এটাকে রাষ্ট্র থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, কতল হয়েছে এসব নিয়ে।
পৃথিবীর বহু দেশে ব্লাসফেমি আইন আছে। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেউ সমাজে দাঙ্গা-হানাহানির কারন হলে কোরআন তাকে হত্যার হুকুম দেয়। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৯৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।” সুরা মায়েদার ৩৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। ” সুরা আনফালের ৬৮ আয়াতে বলা হয়েছে,“যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।”
আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূলের (সাঃ) নামে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে সরল মানুষেকে বিপথে নেয়ার অপপ্রয়াস চালানো এবং অশান্তি সৃষ্টির দায়ে এ ধরনের ফিতনাবাজদেরকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাবধান করার পরও এরূপ ফিতনা থেকে নিবৃত না হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে ও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেবারও অবকাশ রয়েছে। (আত তাওবাহ: ২৯)
রাজীব সহ নাস্তিক ব্লগার গোষ্ঠি আল্লাহ ও তার রসুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচরণা চালিয়ে সমাজে হাঙ্গামা বাধাতে চাইছে। কাজেই তাদের সাথে লড়াই করা কোরআনী হুকুম—আল্লাহ পাকের আদেশ, যদি মুসলমান হও।
যে কাজটি করা হয় নি এখনো, ইচ্ছা হয় মাটির তলা থেকে থাবার লাশটা তুলে জ্বালায়ে দেই।
এবার আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পরে মানুষের হিসাব চলে যায় আল্লাহর কাছে, একথা সত্য। কেউ কেউ বলেন, মৃতকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তি যদি মানুষের ঈমান-আকীদা নষ্ট করে যায়, এমনকি মানবজাতি ধংসের বীজ বপন করে যায়, তাও না? অবশ্যই করা যাবে। ধর্ম রক্ষার জন্য কেবল জেহাদ করা নয়, এমনকি কতল করার বিধানও আছে ইসলামে।
ব্লগার রাজীব সম্পর্কে এতদিন ধরে মিডিয়ায় যা লিখে আসছে, তা ওর অপকর্মের তুলনায় সামান্যই। বন্ধুরা, আপনারা যদি সব পড়েন, শিউরে উঠবেন, দুঃখে অস্থির হযে যাবেন। মাথায় আগুণ ধরে যাবে, আর তখন ওকে আরেকবার হত্যা করতে চাইবেন। কেউ বা আবার কবর জ্বালিয়ে দেবেন- এ মাটি মুরতাদেকে ধারণ করার জন্য নয়। দেশে দাঙ্গা বাধানো এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মহাজোটের মন্ত্রী এমপিরা যেভাবে প্রতিদিন রাজীব বন্দনা করে চলছেন, আর নিজেদের ঈমান নষ্ট হচ্ছে, মুরতাদ বানাচ্ছে, সেটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যই এ লেখা।
ইসলামে “শহীদ” বলে একটি টার্ম আছে, যারা বিনা হিসাবে বেহেশতী। ধর্মযুদ্ধ বা দেশ রক্ষা করতে গিয়ে যারা নিহত হয় তারা শহীদ। এটা ইসলামী টার্ম। একথা অনস্বীকার্য, নিহত রাজীব চেয়েছিলো আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে ধংস করতে, কিন্তু আল্লাহ তাকে ধংস করে দিয়েছেন। সে তার মেয়ে বান্ধবী নিয়ে নষ্টামী করে ফেরার পথে মারা গেছে, লাশের হাতে মুঠোয় পাওয়া গেছে মেয়েদের চুল। এ রকম পাপিষ্ঠ নরাধমকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষণা করে “শহীদ।” এটা হাসিনার বাপের তালুক না বা রাজনীতির খেলা না, যে উনি বিধর্মী মুরতাদকে “শহীদ” বানাবেন! আল্লাহর রাজত্বে আল্লাহর আইনকে অবজ্ঞার শাস্তি কঠিন। এর দায়ভার হাসিনাকে অবশ্যই নিতে হবে। আর হাসিনার ঐ ঘোষণার মধ্য দিয়ে নিজেই হয়ে গেছেন “মুরতাদ,” সেটা এখন দেশের কোটি কোটি মানুষ জানে। এখন হাসিনার উচিত হবে, তওবা করা, আবার কলেমা পড়ে মুসলমান হওয়া। এবং সেটা করতে হবে প্রকাশ্যে, কেননা মানুষের জানতে হবে হাসিনা ইসলাম ধর্মে ফিরে এসেছে! নইলে তাকেও জানাজা দেয়া যাবে না। সমাজে মুরতাদের সংখ্যা বাড়ুক, আমরা তা চাই না। হাসিনার কাছে আহবান, ঈমান আনুন।
ইতোমধ্যে খবর বের হয়েছে, বিরোধী দলকে ফাঁসাতে এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ আসর জমানোর জন্য হাসিনার নির্দেশেই এ হত্যাকান্ড। এ খবর জানার পরে নাস্তিক ব্লগাররা জীবন নিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে।
ফিরে আসি রাজীবের অপকীর্তিতে। সে তার ফেসবুকে ২০০৭ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে আমাদের নবী মুহম্মদ (সঃ) এর কল্পিত ৬১ টি চিত্র। ‘নুরানী চিপা’ নামক ব্লগে ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি বিশ্বাস ও রীতিকে কটাক্ষ করা হয়েছে; তার বিকৃত রুচির বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের নবীজির জীবন ও তার পারিবারিক জীবন নিয়ে অশালীন, বানোয়াট ও অকথ্য নোংরা গল্প বানিয়ে কেবল একটি সাইটে নয়, তার ফেসবুকের পাতায়ও রয়েছে, যার রয়েছে কয়েক হাজার ফ্যান। নিজের সাথে সাথে সে অনেক মানুষকে ঐপথে ঠেলে নিয়ে গেছে রাজীব। থাবা বাবার বানোয়াট প্রচারণাগুলি এরকম:
==========================
“মোহাম্মক=মোহাম্মদ+আহাম্মক
“আল্লারে পুন্দানী দিয়া একখানা রচনা খাড়া করছিলাম! কিন্তু আল্লায় তার ল্যাঙ্গট খোয়া যাওয়ার ডরে ল্যাপ্পির চার্জ শেষ কইরা রাখছে, ডেকচিও খুলতে পারতছিনা কারেন্টের অভাবে! আল্লা ঐটাও অফ কইরা দিছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক এমনি উস্তাদ চাপাবাজ ছিল যে তার চাপার কোন মা-বাপ ছিল না! সে নিজেকে জাতে তোলার জন্য এমন একজনের বংশধর বলে দাবী করে বসেছে যে লোকটার কোন অস্তিত্বই ছিল না! লোকটার নাম ইব্রাহিম!” (নাউযুবিল্লাহ)
“নবুয়্যতের মোহর: মোহাম্মদ লুইচ্চামীর জন্য খাদিজার কাছে মাইর খাইতো নিয়মিত। যেনতেন মাইর না, তার পিঠ-মোবারকে খাদিজার পবিত্র জুতার বারি। তাই নিজের সম্ভ্রম-শরীফ রক্ষা করার জন্য চাপা মারায় উস্তাদ মোহাম্মদ পিঠে খাদিজার পেন্সিল হিলের গর্ত ঢাকতে গল্প ফেঁদে বসছিল, সেই গল্পই আমরা এখন নবুয়্যতের মোহরের গল্প বলে জানি।” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক ও কুত্তা: বাড়িতে কুত্তা থাকতে চোর আর মোহাম্মদ কোনটাই আসা সম্ভব না। চোরের তাতে কি সমস্যা জানি না, তবে মোহাম্মদের তাতে বড়ই মুসিবত। কুত্তা থাকলে তার রাইত বিরাতে সব উম্মে-বিনতেদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ, সোনার অঙ্গ কালি হইয়া যায়। তাই আল্লার নামে চাপা ঝাইরা দিল যে বাড়িতে কুত্তা থাকলে সেই বাড়িতে রাইতের বেলা রহমতের ফেরেস্তা ঢুকে না। কোরানের বানী (পড়তে হবে চাপা) তো আর ফেলা যায় না তাই কুত্তা আউট, ফেরেস্তার সাথে মোহাম্মদেরও আর ঢুকতে বাধা থাকলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
সুবে সাদিক: “মুয়াজ্জিন আর রাস্তার কুকুরের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কার চিৎকার বেশী সুরেলা!” (নাউযুবিল্লাহ)
সিজদা: “মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শঃই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি খাইয়া (মদ্য বিশেষ) পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্ম-হানী নাই। ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিমিত্তে সে উর্ধপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশী চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত। এমতাবস্তায় কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গীটির নাম সিজদা। সেই হইতে মুসলমানের জন্য উর্ধপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
তাহাজ্জুতের নামাজ: “শীতের বেলা বিবির পাশ থেইক্যা উইঠ্যা আরেক বেটির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হইলো মাঝ রাইত আর সুবে সাদিকের মইধ্যের সময় যখন বিবির ঘুম আর রাইতের আন্ধার দুইটাই খুব গাঢ়। তাই ঠিক ঐ সময় আন্ধাইরে মোহাম্মদ অভিসারে বাইর হইতো। রাস্তায় কেউ দেইখ্যা ফালাইলে চাপা মারতো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে যায়। সেই থেইক্যা মুসলমানগো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া শুরু।” (নাউযুবিল্লাহ)
উঁটমূত্র: “মোহাম্মক তারে রাইখ্যা তারই বাপের পয়সায় এক বান্দির লগে তিন ঘন্টা এক সরাই খানায় কাটায় আইছে, তাও রাইতের আন্ধারে না, এক্কেবারে দিনের বেলায়। আর তার পরে ঘরে আইসাই “শরবত লে আও” কইয়া একটা হুকুম হাঁকলো। মোহাম্মকের দাঁত কেলাইন্যা হাসি দেইখ্যা আয়েশা আর সইহ্য করতে পারলো না। দৌড়ায় গিয়া বাপের বাড়ি উপস্থিত। বাপের উঁটের বহর থেইক্যা একটা সুন্দরী উঁটেরে মুতায় সেই মূত্র গেলাসে কইরা আইন্যা দিল মোহাম্মকের হাতে। মোহাম্মকের তখনো সেই কাফ্রী বান্দির বালের গন্ধের রেশ কাটে নাই। তাই আয়েশার দেয়া ‘শরবত’ গিল্যা শেষ করার আগে টেরই পাইলো না কি গিলছে। এই দিকে আবু বকরী দেইখ্যা ফালাইছে তার মাইয়ার বিটলামী। মাইয়ারে চুলের মুঠি ধইরা ঝাড়ি মারবো কাহিনী কি, তার আগেই আয়েশা বিবি কইলো সবরি কলা থুক্কু পেয়ারা নবী নিজেই ঐটা খাইতে চাইছে। আবু বকরী পুরাই বকরী হইয়া গেল বেটির কথা শুইনা। দৌড়ায় গেল মোহাম্মকের ঘরে। তার ব্যাক্কল মার্কা খোমা দেইখ্যা মোহাম্মদ বুঝলো রবিদার কথা হাড়ে হাড়ে ঠিক “গোপনো কথাটি রবে না গোপনে” তাই উঁটমূতের গেলাস হাতে তার ৬৪টা দাঁত বাইর কইরা সোনামুখে চাপা ঝাড়লো যে উঁটমূত্র পানে আল্লার ফজিলত আছে। সেই থেইক্যা মুসলমানরা উঁটমূত্র পান কইরা আইতাছে চুন্নত বইলা! (নাউযুবিল্লাহ)
মদ ও মোহাম্মক: “..... হের লাইগ্যাওই মোহাম্মগ আল্লার কতায় বনি-অমুক গেরাম দহল অইরা ফালাইলো এগদিন। গেরামের বেডাইন্তেরে মাইরা লাইলো কোফায়া। হের পর হের সাহাবীরা জাপ্পুরদা হড়লো মদের বতুল্ডির উরফে। খায়া খুইয়া টাল অয়া গেল সবতে। হের অরে সবতে মিল্লা টাল অইয়া গেরামের সব বেইড্ডাইন আর ছেরিমানুগুলারে শুরু অরলো গনিমতে ছহবৎ। কিন্তু টাল আছিলো বইল্লা আজল হরনের কতা কাউরই মনো আছিলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
“উম্ম-হানীর যোনী গহ্বরের ঐতিহাসিক নাম হেরা গুহা!!!” (নাউযুবিল্লাহ)
ঈদ মোবারক: “মোহাম্মক তো টাল, স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভান্ডের ওপর ঝাঁপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো। যথারীতি সকাল বেলা মোহাম্মক উর্ধপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবে সাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো তার পাতিনবী পতিদেব কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। …… খাদিজা চিল্লাচ্ছে “ইঁট মুবারক, ইঁট মুবারক” !!! কাবা প্রাঙ্গণে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধপোঁদে পজিশিত। মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে ঐটা হৈল নামাজের সিজদা (সিজদা দ্রষ্টব্য) তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করলো ইঁটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইঁট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন ঊর্ধপোঁদে নামাজ পরা আর ইঁট মুবারক বলার রীতি শুরু হইলো, আর কালক্রমে শব্দবিচ্চ্যুতির কারণে ইঁট হয়ে গেল ঈদ!!” (নাউযুবিল্লাহ)
==========================
এই রকম এক নিকৃষ্ট নাস্তিক কাফের মোনাফেক মুরতাদকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষনা করেছে “শহীদ”; আবার তার জন্য কোরআনের নির্দেশ লংঘন করে জানাজা দেয়া হয়েছে; আর সাধারন মানুষদের মুরতাদের কাতারবন্দী করা হয়েছে। এ ঘোরতর অন্যায়! যারা তাতে অংশ নিয়েছে, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। কেননা কোরআনের হুকুম হচ্ছে, যার ইমান নাই তার জানাজা পড়া যাবে না। সারা সুরা তাওবার ৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন: ”আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে।”
আমাদের পেয়ারা নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ঐসব নোংরা, মিথ্যা কদর্য, বনোয়াট গল্পের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এসব কথা পড়া উচিত না এবং প্রচার করাও উচিত না। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকার থেকে এ সকল লেখকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলাম বিরোধীতা মানে উদার মতবাদ! তাদেরকে সরকারী গানম্যান দেয়া হয়, মারা যাওয়ার পরে ‘শহীদ’ ঘোষণা করে মুসলিম প্রধান দেশের প্রধানমন্ত্রী! এখনেই শেষ নয়, সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্যে জাতির সামনে রাজীবের মত কুলাঙ্গারকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়, শোক করে। রাজীবের বাপ ডাঃ নাজিম নতুন করে মিথ্যা ছড়ানো শুরু করেছে- থাবা বাবা নাকি নামাজ পড়ত, ধর্মভীরু, সুখী পারিবারিক জীবন ছিলো। একজন নামাজীর চরিত্র যদি এই হয়, তবে তো লোকজন আরো বিভ্রান্ত হবে। ওদের প্রত্যেকটা কথা মিথ্যা। এটা মোনাফেকের চরিত্র। এ কারনেই রাজীবের অপকর্মসমুহ আবার তুলে ধরতে হয়েছে। সরকার ‘নূরানী চাপা’ মূছে দিয়েছে বটে। কিন্তু সব লেখা জোখা এখনো আছে রাজীবের নিজস্ব ফেসবুকে।
ইসলাম নাযেলের পর থেকেই ইহুদী, খ্রীষ্টান, পৌত্তলিক, ও নাস্তিকরা নবী (সঃ) ও ইসলামের নামে বহু বিভ্রান্তি ছড়ানো ও মিথ্যা প্রচার করতে থাকে। এখনো পশ্চিমা বিশ্বে ও ইউরোপে প্রচারণা চলছে। রাজীব তার ভ্রান্ত চিন্তা নিয়ে নিজের কাছে থাকলে কোনো সমস্যা ছিলো না। কিন্তু এটা সামাজিক সাইটে প্রকাশ করে তার মত আরো শত শত তরুনকে বিভ্রান্ত করে গেছে। আর এটাকে রাষ্ট্র থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, কতল হয়েছে এসব নিয়ে।
পৃথিবীর বহু দেশে ব্লাসফেমি আইন আছে। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেউ সমাজে দাঙ্গা-হানাহানির কারন হলে কোরআন তাকে হত্যার হুকুম দেয়। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৯৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।” সুরা মায়েদার ৩৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। ” সুরা আনফালের ৬৮ আয়াতে বলা হয়েছে,“যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।”
আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূলের (সাঃ) নামে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে সরল মানুষেকে বিপথে নেয়ার অপপ্রয়াস চালানো এবং অশান্তি সৃষ্টির দায়ে এ ধরনের ফিতনাবাজদেরকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাবধান করার পরও এরূপ ফিতনা থেকে নিবৃত না হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে ও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেবারও অবকাশ রয়েছে। (আত তাওবাহ: ২৯)
রাজীব সহ নাস্তিক ব্লগার গোষ্ঠি আল্লাহ ও তার রসুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচরণা চালিয়ে সমাজে হাঙ্গামা বাধাতে চাইছে। কাজেই তাদের সাথে লড়াই করা কোরআনী হুকুম—আল্লাহ পাকের আদেশ, যদি মুসলমান হও।
যে কাজটি করা হয় নি এখনো, ইচ্ছা হয় মাটির তলা থেকে থাবার লাশটা তুলে জ্বালায়ে দেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন