শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এই নিষ্ঠুরতার শেষ কোথায়?

এই আমাদের মানবিকতা এই আমাদের বিবেক!!!
এই নিষ্ঠুরতার শেষ কোথায়? যেখানে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেও পার পেয়ে যাচ্ছে, ঋনখেলাপী হয়েও কোন বিচার হচ্ছে না, সেখানে হয়ত ক্ষুধায় জ্বালায় এই ছেলেটি হয়ত চুরি করেছে [সেটাও নিশ্চিত নয়], তাই বলে এ কেমন নির্মমতা? আমরা জাতি হিসাবে দিন দিন, কতটা নিষ্ঠুর হয়ে পড়ছি, এটাও কি একটা জ্বলন্ত প্রমাণ নয় ????????(Collected) 

*মিছিলে গুলি

**মিছিলে গুলি চলছে নির্বিচারে ,মিডিয়ার উপরে নগ্ন হস্থক্ষেপ । সারা দেশে সরকারের কঠোর নিরাপত্তায় চলছে এক শাহবাগি আন্দোলনের নামে ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত।
চলছে খুন ,গুম,হত্যা,ধর্ষন সহ নানান অপকর্ম। 
দেশ জুড়ে খুব অস্থিরতা বিরাজমান ।
কেন এই অস্থিরতা? এজন্য কে দায়ী? 
অনেকেই মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মতলবী কর্মকাণ্ডের ফলেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা গোটা দেশকেই সন্ত্রস্ত করে ফেলেছে।

**আসলেই আওয়ামী লীগ এমন এক রাজনৈতিক দল, সবকিছুই নিজের স্বার্থে তারা করে থাকে। ক্ষমতায় যাওয়া, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা এবং লুটপাট-দুর্নীতি ও দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ তাদের হাতিয়ার। মুখে গণতন্ত্রের বুলি আওড়ালেও ফ্যাসিবাদ দিয়েই তারা সবকিছু বিচার করে। প্রতিষ্ঠা থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৬৫ বছরের রাজনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, দেশের ও জনগণের স্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থকেই তারা বড় করে দেখেছে।

**ক্ষমতার জন্য কী করেনি আওয়ামী লীগ? স্বৈরাচারের সঙ্গে আঁতাত করেছে। সামরিক শাসন জারিতে ইন্ধন জুগিয়েছে, ক্যুদেতায় মদত দিয়েছে। আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ-অসহযোগ, জ্বালাও-পোড়াও করেছে, বোমা মেরে, পিটিয়ে, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ খুন করেছে। আমলা বিদ্রোহ ঘটিয়ে প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। জনতার মঞ্চসহ নানা মঞ্চ তৈরি করেছে। ক্ষমতার স্বার্থে রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে, আবার মুক্তিযোদ্ধাকে বানিয়েছে রাজাকার। একইভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এক টেবিলে বসে একজোট হয়ে আন্দোলন করেছে। আবার নিজের স্বার্থে জামায়াতকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।

এরচে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে?


একদিকে দাড়িটুপিকে আসামী কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে এবং অপমানিত করে- অপরদিকে নবীকে আজীবন গালি দেওয়া এবং নবী পরিবার নিয়ে প্রকাশ অযোগ্য অশ্লীল মন্তব্য করা নাস্তিকের লাশের অজুবিহীন হিন্দু-মুসলিমের জানাযা (!) আদায় করা কতো মাপের ভণ্ডামি, সেটা বলাই বাহুল্য। আরো কত্তো কিছু যে দেখতে হবে এই নাস্তিকতাবান্ধা সরকারের শাসন আমলে, আল্লাহই ভাল জানেন।

৯০%মুসলিমের দেশকে আজ নাস্তিকদের সর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। মুসলিমের জনপদে দাড়িটুপি নিয়ে চলতকে ইতস্ততবোধ করতে হয়, বিব্রত হতে হয়, এরচে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে?

রাজাকারের সাথে দাড়িটুপির সম্পর্ক কী? কয়জন রাজাকারের দাড়িটুপি আছে? যাদেরইবা আছে, তাদের কী রাজাকারীর সময় দাড়ি ছিল? আসলে রাজাকারের সাথে দাড়িটুপির সমর্পক না থাকলেও রাজাকারের নামে করা আন্দোলনের সাথে দাড়িটুপির সম্পর্ক আছে। সেটা ব্লগার নাস্তিকদের ইসলাম বিদ্বেষী নোংরা কথামালা দেখলেই বুঝা যায়। আজ যদি আওয়ামীলীগের কেউ দুর্নীতি করে এবং তার ফাঁশির দাবির অভিনয় করা হয় মুজিবকোর্ট পরিয়ে, তবে কতোজনের আঁতে ঘা লাবগে? এখন কেন নিরব সবাই?

কি দোষ বাবার বয়সী এই লোকটির

কি দোষ বাবার বয়সী এই লোকটির.

কি দোষ বাবার বয়সী এই লোকটির... উনার দোষ, উনি মুসলমান...

উত্তরার নর্থ টাওয়ারের পাশে ডিআইজি সাহেব বসে আছেন এর মাঝেই এই বয়স্ক দাঁড়িওয়ালা ভদ্রলোক পাশ দিয়ে যাওয়া শুরু করতেই পুলিশের সামনেই অশ্লীল গালাগাল শুরু করলো সরকারী দলের মাস্তানরা- ঐ শালা রাজাকার মার ঐ ব্যাটা রাজাকার অন্য রাস্তা দিয়ে যা ... সাথে সাথে পুলিশো যোগ দিলো তাদের সাথে!
হায়রে ৮০ভাগ মুসলমানের দেশে দাঁড়ি টুপি পড়া মানুষদের কি অপমান!

রাজাকারদের সাথে আমাদের নবীর সুন্নাত টুপি পাঞ্জাবি কি দোষ করেছে? এগুলো কেনো পোড়ানো হচ্ছে? যারা দাড়ি টুপি পরে তাদের কেন হেনস্থা করা হচ্ছে?
আমি এটার ঘোর বিরোধী। একজন মুসলমান হিসেবে কোনভাবেই
মানা যায় না। দয়া করে শাহাবাগসহ সারা দেশে যারা আন্দোলন করছেন ব্যাপারটা দেখবেন। আমরা আমাদের দেশকে যেমন ভালোবাসি তেমনি নিজ নিজ ধর্মকেও ভালোবাসি।