*মিসবাহউদ্দীন খান
* বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর
* মহিউদ্দীন খান আলমগীর
তিন ভাই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় জন নামে পরিচিত। প্রথম জন পুত্রে পরিচিত। ট
প লেভেল ঘাদানিক মুনতাসীর মামুনের পিতা তিনি। ১৯৭১ সালে মিহবাহ উদ্দীন খান চট্টগ্রামের বন্দরের কর্মকর্তা ছিলেন। বসবাস করতেন পাকিস্তানী আর্মির অন্যতম প্রধান ঘাটি বন্দরের সরকারী বাসায় ১৯৭১ সালের শেষের দিকে চরম যুদ্ধের সময় মুনতাসীর মামুনও তার পিতার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সরকারী বাসায় আর্মির নিরাপত্তায় বসবাস করতেন, যেন কোন সমস্যায় পড়তে না হয়। মিসবাহ উদ্দীন খান বা তার পুত্র মুনতাসীর স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি, এমনকি যুদ্ধের সমর্থনে পাকিস্তান আর্মির অধীনে চাকুরী করা থেকেও বিরত থাকেন নি, বাসাও ছেড়ে দেন নি। বরং পুরো সময়টি তিনি পাকিস্তানী আর্মির অধীনে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরী এবং তাদের দেয়া বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করে, পাকিস্তান আর্মিকে সহযোগীতা করেছেন।
বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ঢাকা শহরের ওই সময়ের সবচেয়ে অভিজাত এলাকা ধানমন্ডীতে তিনি বসবাস করতেন। ঘাদানিক মুসতাসীর মামুন যুদ্ধ শুরুর পর চাচা বোরহানউদ্দীন খানের বাসায় চলে আসেন এবং অক্টোবর পর্যন্ত ছিলেন। ওই সময়ে পাকিস্তান আর্মি বা পাকিস্তানের কঠোর সমর্থক, সহযোগী ছাড়া ধানমন্ডীতে কেউ থাকতে পারতেন না। ঢাবি'তে নিয়মিত ক্লাস হতো না বলে ১৯৭১ সালে বোরহানউদ্দীন খান বেসরকারী ফার্মে চাকুরী নেন ও নিয়মিত অফিস করতেন। যুদ্ধের পুরো সময়ে পাকিস্তান আর্মি তাকে কোন সন্দেহ করেনি বা তিনিও কোন সমস্যায় পড়েন নি। ভালই বন্ধুত্ব ছিল আর্মির সাথে। কথাগুলো কিন্তু স্বীকার করেছেন মুনতাসির মামুন নিজেই।
মহিউদ্দীন খান আলমগীর সচিব ছিলেন, সরাসরি রাজনীতি করতেন সবই জানা ছিল। কিন্তু তিনি ১৯৭১ সালে রাজাকার রিক্রুটমেন্টের সরকারী দায়িত্ব পালন করতেন তা জাতি জানতো না। জানলেও প্রকাশ করা হয়নি। কাদের সিদ্দীকি সেটা প্রকাশ করলেন। মহিউদ্দীন খান আলমগীর পাকিস্তান আর্মির অধীনে ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সেই জেলা প্রশাসকের অন্যতম কাজ ছিল রাজাকার রিক্রুট করা। তার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট জেলায় রাজাকার নিয়োগ দেয়া হতো। তথ্যেটি কাদের সিদ্দীকি প্রকাশ করার পর মন্ত্রী কোন প্রতিবাদ করেন নি। অর্থাৎ কাদের সিদ্দীকি যা বলেছেন তা পুরোপুরি সত্য।
পুরো পরিবার ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মির অধীনে চাকুরী করে, পাকিস্তানের চুড়ান্ত অনুগত থেকে, পাকিস্তান আর্মির ঘাটিতে বসবাস করে, তাদেরকে সহযোগীতা করে, রাজাকার নিয়োগের দায়িত্ব পালন করে, স্বাধীন বাংলাদেশে তারা সবাই স্বাধীনতার চেতনাবাহী! একেই বলে ভাগ্য! তারাই এখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের মূল সৈনিক ও স্ক্রীপ্ট লেখক! ওদের দিয়েই স্বাধীনতার চেতনার বাস্তবায়ন করবেন শেখ হাসিনা !!!
শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
পুলিশের গুলিতে মহিলাসহ চারজন নিহত
মানিকগঞ্জে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে হরতাল চলাকালে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের গুলিতে মহিলাসহ চারজন নিহত হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এই ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন।
নিহতরা হলেন, হেলেনা, শাহ আলম (২৮), আলমগীর (২৭) ও নাজিম উদ্দিন (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোবিন্দল গ্রামে জামায়াত-শিবির কর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩০জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিঙ্গাইর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এই ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন।
নিহতরা হলেন, হেলেনা, শাহ আলম (২৮), আলমগীর (২৭) ও নাজিম উদ্দিন (৩০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোবিন্দল গ্রামে জামায়াত-শিবির কর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩০জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিঙ্গাইর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিরস্ত্র জনতার ওপর বেপরোয়া গুলি
বিরোধী আন্দোলন দমাতে সরকারের নির্দেশে নিরস্ত্র জনতার ওপর বেপরোয়া গুলি চালিয়ে দেশে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত ৯ দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মী ছাড়া সাধারণ নাগরিক ও পথচারীও রয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও সহস্রাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক রয়েছেন। শুধু গত শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি। এর আগে সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখিয়ে ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়া হলেও বর্তমানে চলছে ফ্রিস্টাইলে গুলিবর্ষণ। কঠিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনতার ওপর গুলি ছোড়ার ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির বিধান থাকলেও বর্তমানে সে নির্দেশ উপেক্ষিত। অনেক সময় খুব কাছে থেকে শরীরে পিস্তল ও বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ শেষে মুসল্লিদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে মুসল্লিদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় সাংবাদিকরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে রাস্তায় শুয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেও পুলিশের চালানো বেপরোয়া গুলি থেকে রেহাই পায়নি। এছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ভবনে কোনো কারণ ছাড়াই ব্যাপক গুলি ছোড়ে পুলিশ।
কক্সবাজারে ৪ : গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে সাঈদী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত সর্বস্তরের মানুষের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালায়। গুলিতে চারজন নিহত ও দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ হন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের জামায়াতকর্মী নুরুল হক (৪২), পিএমখালী ইউনিয়নের মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৪২), শহরতলীর গোদারপাড়ার কলিম উল্লাহর ছেলে শিবিরকর্মী তোফায়েল উদ্দিন (২২) ও ছালেহ আহমদ (৪৫)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন কক্সবাজার শহরে ওইদিন বিকাল সাড়ে চারটা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। পুলিশের নির্বিচার গুলিতে জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীসহ চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পরদিন দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত।
কুমিল্লায় ১ : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের সময় কুমিল্লায় জাময়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ইব্রাহীম নামে এক জামায়াত কর্মী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় আরও ২৫ জন। জামায়াতকর্মী নিহতের প্রতিবাদে জেলা জামায়াত পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় আধাবেলা হরতাল পালন করে। নিহত ইব্রাহীম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আরও দুইজন হলেন, শিবিরকর্মী চৌদ্দগ্রামের দুর্গাপুর গ্রামের কবির আহমদের ছেলে এনায়েত ও লুদিয়ারা গ্রামের মুকবুল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন মুরাদ।
গাইবান্ধায় ৩ : গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ও নবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদ ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, মুরতাদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে ওঠা ইসলামী জনতার মহাজাগরণ দমাতে নির্বিচার গুলি চালালে গাইবান্ধায় তিন মুসল্লি নিহত হন। এরা হলেন গোবিন্দপুরের শিবিরকর্মী মোমিন ও মুঞ্জু এবং মহদিপুর ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কোকিল। এছাড়া ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৫০ জন। শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সমমনা কয়েকটি ইসলামী দলের কয়েক হাজার লোক মিছিল করে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ বিনা উসকানিতে ৩০ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে ২ জন ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মোমিন নামে আরও একজন মারা যান। এ সময় কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
সিলেটে ১ : একই দিন বাদ জুমা সিলেটে তৌহিদি জনতার মিছিলে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে মোস্তফা মুর্শেদ তাহসীন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহতের বাবা নুরুল মোস্তফা জালালাবাদ গ্যাসে কর্মরত। এম সি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র তাহসীন জুমার নামাজ শেষে হাউজিং এস্টেট মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মিছিলে অংশ নেয় এবং চৌহাট্টায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়। এ সময় কমপক্ষে ৫০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এর পর নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট ও সংলগ্ন সড়কগুলো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এছাড়া এদিন রাজধানীসহ রাজশাহী, ঝিনাইদহ, সিলেট, কুমিল্লা, বগুড়া, পাবনা, পট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অন্তত সাত শতাধিক মুসল্লি ও সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন।
পাবনায় ২ : সর্বশেষ গতকাল পাবনায় জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াত কর্মী নিহত হন। নিহতরা হলো ধর্মগ্রাম এলাকার শমশের আলীর ছেলে আলাল হোসেন (১৮) ও মনোহরপুর এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৩)। গুলিবিদ্ধ আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি ও রেঞ্জরিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই কর্মী নিহতের প্রতিবাদে জামায়াত আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সোমবার দোয়া দিবস ঘোষণা করেছে।
কক্সবাজারে ৪ : গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে সাঈদী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত সর্বস্তরের মানুষের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালায়। গুলিতে চারজন নিহত ও দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ হন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের জামায়াতকর্মী নুরুল হক (৪২), পিএমখালী ইউনিয়নের মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৪২), শহরতলীর গোদারপাড়ার কলিম উল্লাহর ছেলে শিবিরকর্মী তোফায়েল উদ্দিন (২২) ও ছালেহ আহমদ (৪৫)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন কক্সবাজার শহরে ওইদিন বিকাল সাড়ে চারটা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। পুলিশের নির্বিচার গুলিতে জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীসহ চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পরদিন দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত।
কুমিল্লায় ১ : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের সময় কুমিল্লায় জাময়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে ইব্রাহীম নামে এক জামায়াত কর্মী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় আরও ২৫ জন। জামায়াতকর্মী নিহতের প্রতিবাদে জেলা জামায়াত পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় আধাবেলা হরতাল পালন করে। নিহত ইব্রাহীম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আরও দুইজন হলেন, শিবিরকর্মী চৌদ্দগ্রামের দুর্গাপুর গ্রামের কবির আহমদের ছেলে এনায়েত ও লুদিয়ারা গ্রামের মুকবুল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন মুরাদ।
গাইবান্ধায় ৩ : গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ও নবী (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদ ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, মুরতাদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে ওঠা ইসলামী জনতার মহাজাগরণ দমাতে নির্বিচার গুলি চালালে গাইবান্ধায় তিন মুসল্লি নিহত হন। এরা হলেন গোবিন্দপুরের শিবিরকর্মী মোমিন ও মুঞ্জু এবং মহদিপুর ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কোকিল। এছাড়া ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৫০ জন। শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সমমনা কয়েকটি ইসলামী দলের কয়েক হাজার লোক মিছিল করে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ বিনা উসকানিতে ৩০ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে ২ জন ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মোমিন নামে আরও একজন মারা যান। এ সময় কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
সিলেটে ১ : একই দিন বাদ জুমা সিলেটে তৌহিদি জনতার মিছিলে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে মোস্তফা মুর্শেদ তাহসীন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহতের বাবা নুরুল মোস্তফা জালালাবাদ গ্যাসে কর্মরত। এম সি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র তাহসীন জুমার নামাজ শেষে হাউজিং এস্টেট মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মিছিলে অংশ নেয় এবং চৌহাট্টায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়। এ সময় কমপক্ষে ৫০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এর পর নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট ও সংলগ্ন সড়কগুলো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এছাড়া এদিন রাজধানীসহ রাজশাহী, ঝিনাইদহ, সিলেট, কুমিল্লা, বগুড়া, পাবনা, পট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অন্তত সাত শতাধিক মুসল্লি ও সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন।
পাবনায় ২ : সর্বশেষ গতকাল পাবনায় জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াত কর্মী নিহত হন। নিহতরা হলো ধর্মগ্রাম এলাকার শমশের আলীর ছেলে আলাল হোসেন (১৮) ও মনোহরপুর এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৩)। গুলিবিদ্ধ আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজিবি ও রেঞ্জরিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই কর্মী নিহতের প্রতিবাদে জামায়াত আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সোমবার দোয়া দিবস ঘোষণা করেছে।
গতকাল যারা মসজিদ থেকে আন্দালনে বেরিয়েছে তারা মুসলমান নয় : কামরুল ২৩/০২/২০১৩
গতকাল যারা মসজিদ থেকে আন্দালনে বেরিয়েছে তারা মুসলমান নয় : কামরুল
========================== ==============
সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, গতকাল যারা মসজিদ থেকে আন্দালনে বেরিয়েছে তারা মুসলামন নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নামাযের সালাম ফিরাতেই তারা রাস্তায় নেমে পড়ে, এরা কেউ সুন্নত পড়েনি। এরা প্রকৃতার্থে মুসলমান নয়। শনিবার ১৪ দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রমনা থানা ১৪ দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবশে তিনি এসব কথা বলেন।
http:// www.banglasongbad24.com/ index.php/content/news/3016
==========================
সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, গতকাল যারা মসজিদ থেকে আন্দালনে বেরিয়েছে তারা মুসলামন নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নামাযের সালাম ফিরাতেই তারা রাস্তায় নেমে পড়ে, এরা কেউ সুন্নত পড়েনি। এরা প্রকৃতার্থে মুসলমান নয়। শনিবার ১৪ দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রমনা থানা ১৪ দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবশে তিনি এসব কথা বলেন।
http://
ওরা তো উত্তরাধিকার সূত্রে নেতৃত্ব পেয়েছে
কেউ নিজের দেওয়া কথা না রাখলেও অন্যের কথা রেখেছে। অর্থাৎ সরকারী দল বিরোধী দলের আর বিরোধী দল সরকারী দলের, বর্তমান আওয়ামীলীগ ঐক্যজোটের শাসন আমলের দূর্নীর দোহাই দিয়ে দূর্নীতির প্রতিযোগীতায় নেমেছে, অন্যদিকে বিএনপি তৎকালীন বিরোধীদল আওমীলীগকে অনুসরন করে সরকারকে বিপদে ফালাবার প্রতিযোগীতায় নেমেছে। মধ্যখানে ভূক্তভোগী হলাম আমরা বোকারদল জনগন। .
দেশের বর্তমান অবস্হায় মালয়েসিয়ার মাহাথীরের মত একজন লোক দরকার। বর্তমান নষ্ট রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাখা উচিত অন্তত আগামী ১০-১৫ বছর। দূর করা হোক সব দুর্নীতি আর দুর্নীতি বাজদের।এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রজন্মএর সু শিক্ষিত তরুন সমাজে সুস্থ রাজনীতির শিক্ষা ও চর্চা করিয়ে গড়ে তোলা হোক। যাদের সবাই দেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানবে, ইতিহাস নিয়ে কোন দ্বন্দ থাকবেনা,, তারা বুঝবে দেশের স্বার্থ , তারা জানবে প্রতিশ্রুতি কি , তারা জানবে সত্যিকারের গনতন্ত্র কাকে বলে ??
ওরা তো উত্তরাধিকার সূত্রে নেতৃত্ব পেয়েছে। নেতৃত্ব কতটা দৃঢ় তা তো উইকিলিকিস থেকে ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। কাজেই কথা রাখার যোগ্যতার বিষয়টিও আমাদের বুঝতে হবে
দেশের বর্তমান অবস্হায় মালয়েসিয়ার মাহাথীরের মত একজন লোক দরকার। বর্তমান নষ্ট রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাখা উচিত অন্তত আগামী ১০-১৫ বছর। দূর করা হোক সব দুর্নীতি আর দুর্নীতি বাজদের।এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রজন্মএর সু শিক্ষিত তরুন সমাজে সুস্থ রাজনীতির শিক্ষা ও চর্চা করিয়ে গড়ে তোলা হোক। যাদের সবাই দেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানবে, ইতিহাস নিয়ে কোন দ্বন্দ থাকবেনা,, তারা বুঝবে দেশের স্বার্থ , তারা জানবে প্রতিশ্রুতি কি , তারা জানবে সত্যিকারের গনতন্ত্র কাকে বলে ??
ওরা তো উত্তরাধিকার সূত্রে নেতৃত্ব পেয়েছে। নেতৃত্ব কতটা দৃঢ় তা তো উইকিলিকিস থেকে ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। কাজেই কথা রাখার যোগ্যতার বিষয়টিও আমাদের বুঝতে হবে
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
কি অপরাধ ছিল এই লোকটির?
কুরআনকে ভালোবাসাই কি তার অপরাধ?
রাসুল (সাঃ) ভালোবাসাই কি তার অপরাধ?
কোথায় এখন মানবাধিকার?
এই কোন স্বাধীনতা?
কোথায় সুশীল সমাজ ।তারা কি অন্দ ? দিতকার জানাই তুমাদের। ৯৫% মুসলিম এর বাংলাদেশে মুসলিমদের শাদিনতা নেই ... নাস্তিকরাই শাসন কতেচে বাংলাদেশের মুসলমানদের । আলালুয়াকবার আলালুয়াকবার আলালুয়াকবার । জাগো বাংলার মুসলিম ভাইয়েরা বেঙ্গেদাও নাস্তিকের কালে হাত । আমিন
কি অপরাধ ছিল এই লোকটির?
কুরআনকে ভালোবাসাই কি তার অপরাধ?
রাসুল (সাঃ) ভালোবাসাই কি তার অপরাধ?
কোথায় এখন মানবাধিকার?
এই কোন স্বাধীনতা?
কোথায় সুশীল সমাজ ।তারা কি অন্দ ? দিতকার জানাই তুমাদের। ৯৫% মুসলিম এর বাংলাদেশে মুসলিমদের শাদিনতা নেই ... নাস্তিকরাই শাসন কতেচে বাংলাদেশের মুসলমানদের । আলালুয়াকবার আলালুয়াকবার আলালুয়াকবার । জাগো বাংলার মুসলিম ভাইয়েরা বেঙ্গেদাও নাস্তিকের কালে হাত । আমিন
শাহবাগে শিশু-কিশোরদের শিবির ধর জবাই কর
শাহবাগে শিশু-কিশোরদের শিবির ধর জবাই কর শেখানো হয়েছে তাতে প্রথম আলোর মাথা ব্যাথা নেই কিন্তু রাজশাহীতে নবীর অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে শিশু কিশোররা কেন মিছিলে আসলো তাই নিয়ে মাথা ব্যাথা প্রথম আলোর.
http://
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এখন ‘অনুতপ্ত’।
ঢাকা: শাহবাগ জাগরণ মঞ্চে একাত্মতা ঘোষণা করায় আওয়ামী সমর্থক হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এখন ‘অনুতপ্ত’। শাহবাগের আন্দোলকারীদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিকারীও রয়েছে, এমন তথ্য জানান পর তিনি বিভিন্ন জায়গায় নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ‘অনুতপ্ত’ হয়েছেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত-বিরোধিতা থেকে তিনি শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। ব্লগার রাজীব খুন হওয়ার পর ব্লগে ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তির খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে তিনি জানতে পারেন, শাহবাগ আন্দোলনকারী ব্লগারদের অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। এ খবর জানার পর তিনি নিজের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে তার ‘অনুতপ্ত’ হওয়ার বিষয়টি জানান।
গত বুধবার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে হামদ-নাতের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ব্লগারদের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে দোয়া করেন, “হে আল্লাহ! যারা ইসলামের নামে ব্লগে কুৎসা রটাচ্ছে, তাদের হেদায়েত দান করুন। আর হেদায়েত কপালে না থাকলে, তাদের ধ্বংস করে দিন
http://www.natunbarta.com/national/2013/02/23/12920/668aa5e033a339c2a5cbe2ef11ccfe55ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত-বিরোধিতা থেকে তিনি শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। ব্লগার রাজীব খুন হওয়ার পর ব্লগে ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তির খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে তিনি জানতে পারেন, শাহবাগ আন্দোলনকারী ব্লগারদের অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। এ খবর জানার পর তিনি নিজের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে তার ‘অনুতপ্ত’ হওয়ার বিষয়টি জানান।
গত বুধবার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে হামদ-নাতের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ব্লগারদের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে দোয়া করেন, “হে আল্লাহ! যারা ইসলামের নামে ব্লগে কুৎসা রটাচ্ছে, তাদের হেদায়েত দান করুন। আর হেদায়েত কপালে না থাকলে, তাদের ধ্বংস করে দিন
শেখ মুজিব এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর
আপনারা ছবি দু’টো ভালো করে দেখুন। না, এটা ফটোশপের কোনো কাজ নয়। জাপানের নেতৃস্থানীয় ফটোসাংবাদিক রিকিও ইমাজো ইউপিআইয়ের ফটোগ্রাফার হিসেবে ১৯৭৪ সালে লাহোরে গিয়েছিলেন ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন কাভার করতে। তার তোলা এ বিরল ছবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর গলাগলি আর বিজয়ের হাত তোলা।
এই সেই ভুট্টো যার জন্য পাক সেনারা লাখ লাখ বাঙ্গালী হত্যা করেছিলো, অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত লুটেছিলো, অন্তত এক কোটি মানুষকে উদ্বাস্তু করেছিলো। সকল বিচারে ভুট্টো ছিলো ১ নম্বর যুদ্ধাপরাধী। আর চুহাত্তর সালেও মুজিব কিনা সেই ভুট্টোর সাথে করে গলাগলি ! এটা কোনো সাধারন ছবি নয়।
এই সেই ভুট্টো যার জন্য পাক সেনারা লাখ লাখ বাঙ্গালী হত্যা করেছিলো, অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জত লুটেছিলো, অন্তত এক কোটি মানুষকে উদ্বাস্তু করেছিলো। সকল বিচারে ভুট্টো ছিলো ১ নম্বর যুদ্ধাপরাধী। আর চুহাত্তর সালেও মুজিব কিনা সেই ভুট্টোর সাথে করে গলাগলি ! এটা কোনো সাধারন ছবি নয়।
যারা মানবধিকারের কথা বলে তাদের মুখে লাতি মারেন
শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
আমার সেই আওয়ামীপন্হী বন্ধুটির মন্ আজ আরো খারাপ....
আমার সেই আওয়ামীপন্হী বন্ধুটির মন্ আজ আরো খারাপ.......................তা র ভাষায় - "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় সরকার যেভাবে চাইবে, সেভাবেই হবে । কিন্ত এইসব প্রজন্ম চত্বর-টত্বর করে আওয়ামী লীগের লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশী হয়েছে । মানুষ এখন বিশ্বাস করছে যে, শাহবাগের আন্দোলনের নেতৃত্বে আছে ব্লগার নামের নাস্তিকরা এবং শেখ হাসিনার সরকার সেই নাস্তিকদেরকে সহায়তা করছে । সরকারের এই অবস্হানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ভোটের ক্ষেত্রে আগামীতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে । তাছাড়া, এ ঘটনায় জামাত-শিবিরের সাথে অন্য ইসলামী দলগুলোর দূরত্ব কমিয়ে দিয়ে ওদের প্রতি সাধারন জনগণের সহানুভূতি আরো বাড়িয়ে দিল । এখন জামাত-শিবির যদি এই দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠন করে এবং আগামী নিবাচনে সেই জোট যদি বিএনপিকে সমথন দেয়, তাহলে আমাদের ভরাডুবি নিশ্চিত । আসলে কারা যে দল চালাচ্ছে, আর কারা সরকার চালাচ্ছে বুঝতে পারছি না । কারন সরকার ও দলের প্রতিটা পদক্ষেপের ফলাফল আগামীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে আরো কঠিন করে ফেলছে ।"............................ ........কথাগুলো বলে বন্ধুটি একটা দীঘনিশ্বাস ফেললেন ।।।
ওরা যখন মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে
ওরা যখন মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে আলেম উলামাদের কার্টুন আঁকতে শুরু করলো, আমি তখন চুপ ছিলাম। ওরা যখন " ইসলাম" এর পক্ষে কথা বললেই "ছাগু" বলে গালি দিত, আমি তখনও চুপ ছিলাম। যখন ওরা কুরআন হাদিসকে জঙ্গি বই বলে আখ্যায়িত করলো, আমি তখনও চুপ ছিলাম। আজ যখন বায়তুল মুকাররমকে ওরা "শুয়োরের খোয়ার" বলে দম্ভোক্তি করলো, এখনও কি আমি চুপ থাকবো?? ওরা অপপ্রচার চালাচ্ছে, মুসল্লিরা নাকি মসজিদে আগুন দিয়েছে। হায়রে বেকুবের দল! তোরা যারা জীবনে কোনদিন মসজিদের বারান্দায়ও যাস নি, মসজিদের প্রতি তোদের ভালোবাসা বেশি, নাকি মসজিদের সাথে মায়ার বন্ধনে যুক্ত মুসল্লিদের ভালোবাসা বেশি? আইজু পিয়াল ইমরানরা মসজিদেঅকে বেশি ভালোবাসে, নাকি মুসল্লিরা বেশি ভালোবাসে? .…বাংলাদেশ আজ সুস্পষ্টভাবে দু ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে সকল আলেম ওলামা আর ইসলামপ্রিয় জণতা মত পার্থক্য ভুলে এক হয়েছে। অন্য্ভাগে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, মুনাফিক, বিভ্রান্ত, আবেগী লোকেরা একত্রিত হয়েছে। আলো অথবা অন্ধকার, যেকোন এক পথকেই আপনার বেছে নিতে হবে। মাঝামাঝি থাকার কোন সুযোগ নেই। দল দুইটা। একটা আল্লাহর দল, আরেকটা শয়তানের দল। আপনি কোন দলে শামিল হবেন, সে সিদ্ধান্ত আপনার!
( আমাদের এক ভাইয়ের অনুভূতি )
( আমাদের এক ভাইয়ের অনুভূতি )
বায়তুল মোকাররমে যেভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত
বায়তুল মোকাররমে যেভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে ইসলামী দলগুলোর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকার কারণে জুমার নামাজে আগত মুসুল্লিরা নিরাপত্তার নামে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লি মসজিদের ভিতর ঢুকে পুলিশের এ আচরণের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় মুসল্লিরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, “শাহবাগের নাস্তিকদের নিরাপত্তা সরকার পুলিশদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারে অথচ নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তার নামে আটক করা হচ্ছে। এটা হতে পারে না।”
এক পর্যায়ে পুলিশের আচরণে মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। এ অবস্থায় খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগরের এক নেতা পরিস্থিতি শান্ত করতে উত্তেজিত মুসল্লিদের ভেতরে নিয়ে যান।
এ সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান ও ফটো সাংবাদিকরা ছবি নেয়ার জন্য জুতা নিয়ে মসজিদে ভিতরে ঢুকলে মুসল্লিরা আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কিছু মুসল্লি সামনের দিকে এগিয়ে এলে কয়েকজন সাংবাদিক টেলিভিশনের বুম মুসল্লিদের সামনে ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে।
বাংলাভিশনের রিপোর্টার কাওছার শাহিন মুসল্লিদের কাছে জানতে চান-আপনারা কি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এ আন্দোলন আসছেন কিনা? জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক ভাবে মুসল্লিরা আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং বলতে থাকে ‘সাংবাদিকরা নাস্তিক’। এরপর থেকে মুসল্লিরা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের জুতা দেখায় এবং স্থান ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
এরই জের ধরে মুসল্লিরা সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলা শুরু হয়। এ হামলায় আহত হয় এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান এস এম তুহিন ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রিপোর্টার আব্দুল্লাহ তুহিন।
নামাজের সময় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে নারায়ে তাকবির দিয়ে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে মুসল্লিরা। তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের এ বাধাকে অতিক্রম করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তোপখানা রোডের ওপরে ওয়ার্কার্স পার্টির তোরণ ভেঙ্গে ফেললে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।
হাজার হাজার লোকের এ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে মিছিলের মাঝখানে পুলিশের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় মিছিলের একটা অংশ মৎসভবনের দিকে যায়, আরেকটি অংশ বিজয় নগর, গুলিস্তান ও দৈনিক বাংলার দিকে ছুটে যায়।
মিছিলটি তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করতে পুলিশ অতিরিক্ত সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। মুহূর্তের মধ্যে পল্টনসহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে ইসলামী দলগুলোর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকার কারণে জুমার নামাজে আগত মুসুল্লিরা নিরাপত্তার নামে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লি মসজিদের ভিতর ঢুকে পুলিশের এ আচরণের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় মুসল্লিরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, “শাহবাগের নাস্তিকদের নিরাপত্তা সরকার পুলিশদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারে অথচ নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তার নামে আটক করা হচ্ছে। এটা হতে পারে না।”
এক পর্যায়ে পুলিশের আচরণে মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। এ অবস্থায় খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগরের এক নেতা পরিস্থিতি শান্ত করতে উত্তেজিত মুসল্লিদের ভেতরে নিয়ে যান।
এ সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান ও ফটো সাংবাদিকরা ছবি নেয়ার জন্য জুতা নিয়ে মসজিদে ভিতরে ঢুকলে মুসল্লিরা আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কিছু মুসল্লি সামনের দিকে এগিয়ে এলে কয়েকজন সাংবাদিক টেলিভিশনের বুম মুসল্লিদের সামনে ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে।
বাংলাভিশনের রিপোর্টার কাওছার শাহিন মুসল্লিদের কাছে জানতে চান-আপনারা কি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এ আন্দোলন আসছেন কিনা? জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক ভাবে মুসল্লিরা আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবং বলতে থাকে ‘সাংবাদিকরা নাস্তিক’। এরপর থেকে মুসল্লিরা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের জুতা দেখায় এবং স্থান ত্যাগ করার আহ্বান জানান।
এরই জের ধরে মুসল্লিরা সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলা শুরু হয়। এ হামলায় আহত হয় এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান এস এম তুহিন ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রিপোর্টার আব্দুল্লাহ তুহিন।
নামাজের সময় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে নারায়ে তাকবির দিয়ে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে মুসল্লিরা। তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের এ বাধাকে অতিক্রম করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তোপখানা রোডের ওপরে ওয়ার্কার্স পার্টির তোরণ ভেঙ্গে ফেললে পুলিশ অ্যাকশনে যায়।
হাজার হাজার লোকের এ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে মিছিলের মাঝখানে পুলিশের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় মিছিলের একটা অংশ মৎসভবনের দিকে যায়, আরেকটি অংশ বিজয় নগর, গুলিস্তান ও দৈনিক বাংলার দিকে ছুটে যায়।
মিছিলটি তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করতে পুলিশ অতিরিক্ত সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। মুহূর্তের মধ্যে পল্টনসহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
মসজিদে"র ইমামকে কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহ "হামদহ মসজিদে"র ইমামকে কুপিয়ে হত্যা প্রসঙ্গে এক ছাত্রের বক্তব্য
"আমার প্রিয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালাম আর নেই। নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে শহীদ করে। আরেক প্রিয় শিক্ষক মাওলানা বাহারুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাঁরা আমার মাদরাসা জীবনের শিক্ষক ছিলেন। সবাই আমার স্যারের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাঁকে শহীদ হিসাবে কবুল করেন এবং জান্নাত দান করেন।"
উল্লেখ্য যে, ঝিনাইদহ শহরে আজ বাদ জুমআ পুলিশের ছত্রছায়ায় এ নির্মম হত্যালীলা চালায় নাস্তিক গোষ্ঠী
"আমার প্রিয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালাম আর নেই। নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে শহীদ করে। আরেক প্রিয় শিক্ষক মাওলানা বাহারুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাঁরা আমার মাদরাসা জীবনের শিক্ষক ছিলেন। সবাই আমার স্যারের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাঁকে শহীদ হিসাবে কবুল করেন এবং জান্নাত দান করেন।"
উল্লেখ্য যে, ঝিনাইদহ শহরে আজ বাদ জুমআ পুলিশের ছত্রছায়ায় এ নির্মম হত্যালীলা চালায় নাস্তিক গোষ্ঠী
গণতন্ত্র মুক্তি পাক।।.
স্বৈরাচারী আঅয়ামীলীগ যতবারই দেশে ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে! বাংলাদেশে যত
নাস্তিক আছে সবাই, এই ইসলাম ও দেশের স্বার্থ বিরুধী দলটির সাথে জড়িত। এই দলটি বার বার এদেশের
জনগণের সাথে বেইমানী করে আসছে। তারা সবসময় এ জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করে রাখতে চায়। তাই তারা
১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর ক্ষমতার মুখ দেখেনি। ১৯৯৬ সালে মুজিব কন্যা মাথায় হেজাব পড়ে হাতে তজবিহ
নিয়ে যায়নামাজের উপর বসে ছবি তুলে পোষ্টারিং করে সারা বাংলাদেশে এবং জামায়েত শিবির ও স্বৈরাচার
এরশাদকে নিয়ে আনন্দোলন করে তত্তাবধায়ক সরকারের জন্য, অতপর ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় এসে
দেশের জনগণের কোনো কল্যাণ করেনি, করেছে শুধু লুঠরাজ, শেয়ার বাজার লুঠ করে সর্বশান্ত করে দিয়েছিল
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে। চুরি, ডাকাতি, মামলা, হামলা, খুন, গুম করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে
নিয়ে যায়। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে দেশের জনগণ তার কঠিন জবাব দেয় ভোটের মাধ্যমে। তারপর,
২০০৯ সালে সেনাবাহিনীর যোগসাজছে মঈনুল, ফকরুলদের সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার ক্ষতায় এসে তাদের নীল
নক্সা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগে যায়। এবার তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কূট কৌশল
করতে থাকে, তার ফল হিসেবে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসনের নাটক শুরু করে দেয়। তাদের দলীয়
মদদপুষ্ট কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শাহবাগ নাটক তৈ্রী করে। এতে যোগ দেয় নাস্তিক ডঃ জাফর ইকবালসহ নব্য
নাস্তিক ডাঃ ইমরান, আসিফ মহিউদ্দিন ও রাজীব বগা গংরা।.
এবার ক্ষতায় এসে প্রথমে তারা বিডিয়ার বিদ্রোহের নামে সেনাবাহিনীর মেধাবী চকস অফিসারদের হত্যা করে,
তারপর শেয়ার বাজার লুঠ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করে দেয়, হল মার্ক ও ডেস্টিনির মাধ্যমে হাজার
হাজার কোটি টাকা লুট করে, দক্ষিনাঞ্চলের জনগণের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতুর টেন্ডারের পূর্বেই কমিশন ভাগা
ভাগি করে নেয় প্রধান মন্ত্রী ও তার পরিবার, শুরু করে দেয় বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্রস ফায়ার, গুম ও হত্যা, এখন
জনগণের মুখপাত্র সংবাদপ্ত্র বন্ধ করে দেওয়া ও বিরুধী রাজনৈতিক দলগুলো বন্ধ করে দিয়ে একলদীয় সরকার
ব্যবস্তা চালু করার জন্য উঠে পড়ে লাগছে।.
তাই এখনি জনগণকে এই একদলীয় সরকার বাকশালের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাকশালের আস্তানা জ্বালিয়ে
দাও, গুঁড়িয়ে দাও। বাকশাল নিপাত যাক, বহুদলীয় গনতন্ত্র মুক্তি পাক। স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি
পাক।।.
নাস্তিক আছে সবাই, এই ইসলাম ও দেশের স্বার্থ বিরুধী দলটির সাথে জড়িত। এই দলটি বার বার এদেশের
জনগণের সাথে বেইমানী করে আসছে। তারা সবসময় এ জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করে রাখতে চায়। তাই তারা
১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর ক্ষমতার মুখ দেখেনি। ১৯৯৬ সালে মুজিব কন্যা মাথায় হেজাব পড়ে হাতে তজবিহ
নিয়ে যায়নামাজের উপর বসে ছবি তুলে পোষ্টারিং করে সারা বাংলাদেশে এবং জামায়েত শিবির ও স্বৈরাচার
এরশাদকে নিয়ে আনন্দোলন করে তত্তাবধায়ক সরকারের জন্য, অতপর ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় এসে
দেশের জনগণের কোনো কল্যাণ করেনি, করেছে শুধু লুঠরাজ, শেয়ার বাজার লুঠ করে সর্বশান্ত করে দিয়েছিল
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদেরকে। চুরি, ডাকাতি, মামলা, হামলা, খুন, গুম করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে
নিয়ে যায়। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে দেশের জনগণ তার কঠিন জবাব দেয় ভোটের মাধ্যমে। তারপর,
২০০৯ সালে সেনাবাহিনীর যোগসাজছে মঈনুল, ফকরুলদের সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার ক্ষতায় এসে তাদের নীল
নক্সা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগে যায়। এবার তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কূট কৌশল
করতে থাকে, তার ফল হিসেবে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসনের নাটক শুরু করে দেয়। তাদের দলীয়
মদদপুষ্ট কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শাহবাগ নাটক তৈ্রী করে। এতে যোগ দেয় নাস্তিক ডঃ জাফর ইকবালসহ নব্য
নাস্তিক ডাঃ ইমরান, আসিফ মহিউদ্দিন ও রাজীব বগা গংরা।.
এবার ক্ষতায় এসে প্রথমে তারা বিডিয়ার বিদ্রোহের নামে সেনাবাহিনীর মেধাবী চকস অফিসারদের হত্যা করে,
তারপর শেয়ার বাজার লুঠ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করে দেয়, হল মার্ক ও ডেস্টিনির মাধ্যমে হাজার
হাজার কোটি টাকা লুট করে, দক্ষিনাঞ্চলের জনগণের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতুর টেন্ডারের পূর্বেই কমিশন ভাগা
ভাগি করে নেয় প্রধান মন্ত্রী ও তার পরিবার, শুরু করে দেয় বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্রস ফায়ার, গুম ও হত্যা, এখন
জনগণের মুখপাত্র সংবাদপ্ত্র বন্ধ করে দেওয়া ও বিরুধী রাজনৈতিক দলগুলো বন্ধ করে দিয়ে একলদীয় সরকার
ব্যবস্তা চালু করার জন্য উঠে পড়ে লাগছে।.
তাই এখনি জনগণকে এই একদলীয় সরকার বাকশালের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাকশালের আস্তানা জ্বালিয়ে
দাও, গুঁড়িয়ে দাও। বাকশাল নিপাত যাক, বহুদলীয় গনতন্ত্র মুক্তি পাক। স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি
পাক।।.
সিলেটে গুলিবিদ্ধ একজন মুসলমান
বিভিন্ন ব্লগে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি সাল্লাম সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তির প্রতিবাদকালে সিলেটে পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধ একজন মুসলমান
আজ মুসলিমদের সংগ্রাম
আজ মুসলিমদের সংগ্রাম কিসের জন্য তা পরিষ্কার! এর মাঝে কিছু ইসলামপ্রিয় মানুষ(!) আজকের এই নাস্তিকবিরোধী মিছিলে শামিল হয়নি, শাহবাগকে সমর্থন করছে। কারণ তারা মনে করছে আজকের আন্দোলন জামাত শিবিরের, সাধারণ মুসল্লিদের নয়! জামাত-শিবিরের অন্ধ-বিরোধিতা করতে যেয়ে "খুন করা ইসলামবিরোধী" অথবা "জামাত-শিবির অন্য দলের ব্যানারে মিছিল করছে" বলে তাদের যে যুক্তি তা নিতান্তই হাস্যকর, অযৌক্তিক, মুনাফিকের মত যুক্তি!!!
খুন করা যদি ইসলাম-বিরোধী হয়, তবে এটাও বোধ করি আপনার জানা আছে, রাসূলুল্লাহ সা কে নিয়ে খারাপ ভাষায় কেউ টুঁ শব্দটি করে ছাড়া পেয়ে যাবে - সেই সুযোগ দেয়া মুসলিমের জন্য শোভা পায় না কোনমতেই না। তাই আপনি একজন মুসলিম হিসেবে এই নোংরা কাজের প্রতিবাদ করবেন এটা আপনার দায়িত্ব।
কুর'আনে সূরাহ সফে একটা আয়াত আছেঃ
"মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার অনুসারীদেরকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে? অনুসারীগণ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। অতঃপর বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আমি(আল্লাহ) তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল।"
৮৭% মুসলিমের দেশ আজ পুরোপুরি সুস্পষ্টভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
এক ভাগে আছে নাস্তিক ব্লগার, হুজুগে বাঙালী, বামপন্থী মিডিয়া, আর তাদের ভরণপোষণকারী কুফরী সরকার, সরকারের পোষা ছাত্রলীগ, আর পুলিশ... আর অন্য ভাগে আলেম সমাজ, কিছু সাধারণ মানুষ, আর কিছু সাধারণ মুসলিম! মুহাম্মাদ সা এর অনুসারীরা এই আমরা আজ কোন দলে অবস্থা
খুন করা যদি ইসলাম-বিরোধী হয়, তবে এটাও বোধ করি আপনার জানা আছে, রাসূলুল্লাহ সা কে নিয়ে খারাপ ভাষায় কেউ টুঁ শব্দটি করে ছাড়া পেয়ে যাবে - সেই সুযোগ দেয়া মুসলিমের জন্য শোভা পায় না কোনমতেই না। তাই আপনি একজন মুসলিম হিসেবে এই নোংরা কাজের প্রতিবাদ করবেন এটা আপনার দায়িত্ব।
কুর'আনে সূরাহ সফে একটা আয়াত আছেঃ
"মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার অনুসারীদেরকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে? অনুসারীগণ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। অতঃপর বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আমি(আল্লাহ) তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল।"
৮৭% মুসলিমের দেশ আজ পুরোপুরি সুস্পষ্টভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।
এক ভাগে আছে নাস্তিক ব্লগার, হুজুগে বাঙালী, বামপন্থী মিডিয়া, আর তাদের ভরণপোষণকারী কুফরী সরকার, সরকারের পোষা ছাত্রলীগ, আর পুলিশ... আর অন্য ভাগে আলেম সমাজ, কিছু সাধারণ মানুষ, আর কিছু সাধারণ মুসলিম! মুহাম্মাদ সা এর অনুসারীরা এই আমরা আজ কোন দলে অবস্থা
ব্রেকিং-নিউজ
যুদ্ধাপরাধের বিচারের ধোয়া তুলে আবার নবীকে(স:) 'আহাম্মক' বলে যারা পার পাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের রেহাই নাই।
বাংলার ইসলাম প্রেমীদের ঢল নেমেছে আজ রাস্তায় রাস্তায়, মহল্লায় মহল্লায়, পাড়ায় পাড়ায় ছেলে বুড়ো যুবা বৃদ্ধ সব একসাথে।
নারায়ে................... .. তাকবীর, আল্লাহু আকবর।
ইসলামের শত্রুরা, হুশিয়ার সাবধান।
নাস্তিকদের আস্তানা , ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও।
আমার নবীর অবমাননাকারীর , ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই।
বাংলার ইসলাম প্রেমীদের ঢল নেমেছে আজ রাস্তায় রাস্তায়, মহল্লায় মহল্লায়, পাড়ায় পাড়ায় ছেলে বুড়ো যুবা বৃদ্ধ সব একসাথে।
নারায়ে...................
ইসলামের শত্রুরা, হুশিয়ার সাবধান।
নাস্তিকদের আস্তানা , ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও।
আমার নবীর অবমাননাকারীর , ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই।
বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
নাস্তিক ব্লগার রাজীবকে শহীদ উপাধি
আল্লাহ্ , তার রাসুল সঃ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যারা গালাগালি করেছে, সেই ব্লগারদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলতেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে । যার সর্ব শেষ নমুনা হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার । বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান অপরাধ তিনি ব্লগার রাজীবের ইসলাম বিরুধি প্রচার প্রচারনার বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করে ব্লগার রাজীব এর ইসলাম বিরুধি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে । তাছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন ,দৈনিক আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক ইনকিলাব যদি ব্লগারদের ইসলাম বিরুধি এসব কার্যক্রম নিয়ে যদি আরও লেখালেখি প্রকাশ করে, তবে দৈনিক আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক ইনকিলাব বন্ধ করে দেয়া হবে । সরকারে এসব কাজ প্রমাণ করে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্লগাররা ইসলাম বিরুধি এসব কর্মকাণ্ড করার সাহস পাচ্ছে । নতুবা তারা কখন এসব করার কোন সাহস পেত না । আর সরকার নাস্তিক ব্লগার রাজীবকে শহীদ উপাধি দিয়ে ইসলাম বিরুধি প্রচারণা কে আরও উৎসাহিত করেছে । http://www.samakal.com.bd/ details.php?news=13&view=ar chiev&y=2013&m=02&d=20&act ion=main&option=single&new s_id=328916&pub_no=1324
ব্লগারদের ইসলাম বিরু
আল্লাহ্ , তার রাসুল সঃ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যারা গালাগালি করেছে, সেই ব্লগারদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলতেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে । যার সর্ব শেষ নমুনা হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান ভুঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়ার । বিচারপতি মো. মিজানুর রহমান অপরাধ তিনি ব্লগার রাজীবের ইসলাম বিরুধি প্রচার প্রচারনার বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করে ব্লগার রাজীব এর ইসলাম বিরুধি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে । তাছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন ,দৈনিক আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক ইনকিলাব যদি ব্লগারদের ইসলাম বিরুধি এসব কার্যক্রম নিয়ে যদি আরও লেখালেখি প্রকাশ করে, তবে দৈনিক আমার দেশ, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক সংগ্রাম ও দৈনিক ইনকিলাব বন্ধ করে দেয়া হবে । সরকারে এসব কাজ প্রমাণ করে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্লগাররা ইসলাম বিরুধি এসব কর্মকাণ্ড করার সাহস পাচ্ছে । নতুবা তারা কখন এসব করার কোন সাহস পেত না । আর সরকার নাস্তিক ব্লগার রাজীবকে শহীদ উপাধি দিয়ে ইসলাম বিরুধি প্রচারণা কে আরও উৎসাহিত করেছে
বঙ্গবন্ধু আর হাসিনাকে কিছু বললে মামলা
বঙ্গবন্ধু আর হাসিনাকে কিছু বললে মামলা আর
মুসলমানদের নবী রাসুলদের গালি দিলে পুরস্কার। বাহ
আমাদের সরকার। কি সুন্দর নিয়ম চালু করেছে। আমি
আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশের জনগণকে জাগতে
বলবো। জেগে উঠুন, জেগে উঠুন। আর ঘুমাবার সময়
নেই। ঐক্যবদ্ধ হোন, বিভেদ বিচ্ছিন্নতার সময়
নেই।.
আপনি হিন্দু হলে আমি আপনার দেবতাদেরকে অপমান
করব না। আপনি নাস্তিক হলে আমি আপনার
চিন্তাপ্রবাহকে সম্মান করব। আপনি মুসলমান হলে আমি
আপনার আল্লাহকে কিংবা আপনার নবীকে
গালমন্দ করবনা। মনে হয় এটাকেই চিন্তার স্বাধীনতা
বলে।.
কারো ধর্মের আল্লাকে গালি দেয়া আর তাদের নবীকে
মোহাম্মক বলা কোন পর্য্যায়ের স্বাধীনতায়
পড়েনা। মুসলমানদের নবী রাসুল কে অপমান
কারীদেরকে সরকারের এভাবে পুরস্কৃত করা কোন
ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। জেগে উঠুন, জেগে উঠুন। আর ঘুমাবার সময় নেই। ঐক্যবদ্ধ হোন, বিভেদ
বিচ্ছিন্নতার সময় নেই।.
মুসলমানদের নবী রাসুলদের গালি দিলে পুরস্কার। বাহ
আমাদের সরকার। কি সুন্দর নিয়ম চালু করেছে। আমি
আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশের জনগণকে জাগতে
বলবো। জেগে উঠুন, জেগে উঠুন। আর ঘুমাবার সময়
নেই। ঐক্যবদ্ধ হোন, বিভেদ বিচ্ছিন্নতার সময়
নেই।.
আপনি হিন্দু হলে আমি আপনার দেবতাদেরকে অপমান
করব না। আপনি নাস্তিক হলে আমি আপনার
চিন্তাপ্রবাহকে সম্মান করব। আপনি মুসলমান হলে আমি
আপনার আল্লাহকে কিংবা আপনার নবীকে
গালমন্দ করবনা। মনে হয় এটাকেই চিন্তার স্বাধীনতা
বলে।.
কারো ধর্মের আল্লাকে গালি দেয়া আর তাদের নবীকে
মোহাম্মক বলা কোন পর্য্যায়ের স্বাধীনতায়
পড়েনা। মুসলমানদের নবী রাসুল কে অপমান
কারীদেরকে সরকারের এভাবে পুরস্কৃত করা কোন
ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। জেগে উঠুন, জেগে উঠুন। আর ঘুমাবার সময় নেই। ঐক্যবদ্ধ হোন, বিভেদ
বিচ্ছিন্নতার সময় নেই।.
জনতার বিক্ষোভ মিছিল
হাটহাজারীতে নাস্তিকদের ফাঁসি দাবিতে লাখো জনতার বিক্ষোভ মিছিল,ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে ওলামাসহ বেশ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে সর্বদলীয় জোটের ব্যানারে আজ ঐক্যবদ্ধ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া পৃথক ও জোটগতভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
========================== ======
ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের অপচেষ্টা, দেশ থেকে ইসলামকে উত্খাত করার ষড়যন্ত্র, কারও হুমকি-ধমকি ও দাবিতে ধর্মীয় তথা ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। এদেশে ইসলামি রাজনীতি ছিল, আছে এবং থাকবে।
সরকারি মদতে শাহবাগ চত্বরে মহান আল্লাহ তায়ালা, মহানবী (সা.), ইসলাম ও পবিত্র কোরআনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে যা কোনো মুসলমান এক ফোঁটা রক্ত থাকতে মেনে নিতে পারে না।
মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসির নাটক সাজিয়ে মূলত তারা দেশ থেকে ইসলাম ধ্বংস করতে চতুর্মুখী আয়োজন করছে।
নাস্তিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ব্লগারদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে, নতুবা মুসলমানদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে পরিণাম ভালো হবে না।
==========================
ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের অপচেষ্টা, দেশ থেকে ইসলামকে উত্খাত করার ষড়যন্ত্র, কারও হুমকি-ধমকি ও দাবিতে ধর্মীয় তথা ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। এদেশে ইসলামি রাজনীতি ছিল, আছে এবং থাকবে।
সরকারি মদতে শাহবাগ চত্বরে মহান আল্লাহ তায়ালা, মহানবী (সা.), ইসলাম ও পবিত্র কোরআনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে যা কোনো মুসলমান এক ফোঁটা রক্ত থাকতে মেনে নিতে পারে না।
মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসির নাটক সাজিয়ে মূলত তারা দেশ থেকে ইসলাম ধ্বংস করতে চতুর্মুখী আয়োজন করছে।
নাস্তিক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ব্লগারদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে, নতুবা মুসলমানদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে পরিণাম ভালো হবে না।
বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
* শাহবাগে নেতৃত্ব দানকারী যারা -
শাহবাগে নেতৃত্ব দানকারী যারা -৪
ধর্মদ্রোহী নষ্ট তরুণের প্রতিকৃতি ব্লগার রাজীব : হত্যাকাণ্ডের রাতে তানজিলা ছিল রাজীবের বাসায়
প্রচণ্ড ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তার গার্লফ্রেন্ড তানজিলা। তিন মাস ধরে স্ত্রী বাসন্তী ওরফে অনিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না রাজীবের। স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে গার্লফ্রেন্ড তানজিলাকে নিয়েই থাকত রাজীব। তানজিলা ছাড়াও আরেক প্রেমিকা রাফির সঙ্গেও অবাধ মেলামেশার তথ্য পাওয়া গেছে রাজীবের আত্মীয় ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। ঘটনার দিন রাজীবের বাসাতেই ছিল তানজিলা। পুলিশ তানজিলাকে দু’কক্ষের রাজীবের মা নার্গিস হায়দারের বাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় প্রচুর মদের বোতল ও নেশার উপকরণ পাওয়া গেছে। রাজীব হত্যা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে গতকাল পল্লবী থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
গতকাল দুপুরে সরেজমিন পল্লবীর পলাশনগর ১১ নম্বর রোডের রাজীবের মায়ের বাসা গিয়ে দেখা গেছে, পল্লবী থানার দুইজন পুলিশ বাসাটি পাহারা দিচ্ছেন। বাসায় অন্য কোনো লোক নেই। রাজীব যে কক্ষটিতে থাকতো সেটি তালাবদ্ধ। অন্য একটি কক্ষে রয়েছে অসংখ্য মদের বোতল। কোনোটিতে মদ ভর্তি, কোনোটিতে অর্ধেক, আবার কোনোটি খালি। কর্তব্যরত পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘পল্লবী থানা থেকে আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা কিছু বলতে পারব না, থানায় গেলেই সবকিছু জানতে পারবেন।’ বাড়ির কাছেই মাত্র ১শ’ গজের মধ্যে রেজা কিডস কেয়ার স্কুলের সামনে চায়ের দোকানের মালিক ইউনুস এবং দোকানে থাকা এলাকাবাসী জানান, ওই বাসায় রাজীব ও নোবেল নামে দুই ভাই থাকত। এরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কখনও মেলামেশা করত না। তবে মাঝে মধ্যেই রাজীবের সঙ্গে একাধিক মেয়েকে দেখা যেত। মেয়েরা ওই বাসায়ও থেকেছে। ঘটনার দিনও রাজীবের সঙ্গে তারা মেয়ে দেখেছেন। তবে তাকে নিয়ে কোনো দোকানে চা খেতে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন তারা।
পল্লবী থানা পুলিশ জানিয়েছে, রাজীবের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তার বাবা নাজিমউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রেক্ষিতেই ঘটনার পরপরই রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার দিকে রাজীবের খালাতো ভাই এবং ভাই নোবেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই রাজীবের গার্লফ্রেন্ড তানজিলাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে তানজিলা ও রাফিকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ডিউটি অফিসার আবুল হোসেন ও অন্য পুলিশ অফিসাররা জানান, তানজিলা ও রাফিকে গ্রেফতারের ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডিবি পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে। বর্তমানে তারা ডিবি পুলিশের কাছে রয়েছে। আপনারা সেখান থেকে তথ্য নিয়ে নিন’।
উচ্ছৃঙ্খলতা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ : গতকাল ব্লগার রাজীবের শ্বশুরের পুরান ঢাকার আনন্দ বেকারি, পল্লবী থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, রাজীবের পলাশনগর বাসার লোক এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তার ধর্মদ্রোহী, উচ্ছৃঙ্খলতাসহ নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত রোডের প্রসিদ্ধ আনন্দ বেকারির মালিক আবদুর রশীদ ব্লগার রাজীবের শ্বশুর। আবদুর রশীদের ছোট মেয়ে আনিকার সঙ্গে দুই বছর রাজীবের বিয়ে হয়। অনিকার ডাক নাম ছিল বাসন্তী। আনন্দ বেকারির শোরুমে বসেই দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১২টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত দেয়া দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে রাজীবের উচ্ছৃঙ্খলতা ও ধর্মদ্রোহিতার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডের ২১/১, বাড়ির ২/সি ফ্ল্যাটের মালিক আবদুর রশীদের আপ্যার্টমেন্টে রাজিব থাকত।
আব্দুর রশীদ জানান, একটু বেশি অস্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্যই তার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো। তিন মাস ধরে তার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ হলে রাজীবকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর তিনি কিংবা তার মেয়ে রাজীবের খোঁজ-খবর নেয়নি। আবদুর রশীদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, ‘বিয়ের পর সব মেয়েই সুস্থ জীবন চায়। আমার মেয়েও সুস্থ জীবন চেয়েছিল। আর তা হয়নি বলেই তারা তিন মাস ধরে আলাদা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাত ১১টায় টেলিভিশনে সংবাদ দেখে তারা রাজীবের বাবাকে ফোন করে নিশ্চিত ঘটনা জানতে পারেন। পরে তিনি তার দুই ভাইকে নিয়ে পল্লবী থানায় ছুটে যান। থানায় গিয়ে দেখেন রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তারা নোবেল এবং রাজীবের খালাতো ভাই গালিবকে উপরে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ সময় তিনি পুলিশের কাছ থেকে তানজিলার নাম জানতে পেরেছেন। আবদুর রশীদ বলেন, ‘খুন হয়েছে এটা সত্য। তবে তা উদঘাটনের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সত্য ঘটনা আজ হোক কাল হোক বের হবেই। তাই আমি না জেনে সে জামায়াত ইসলামী হোক আর যেই হোক কারও ওপর দোষ চাপাতে পারব না’। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার নামী এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনন্দ বেকারির শোরুমের দেয়ালে মসজিদের ছবি লাগানো। তিনি বলেন, রাজীব যে ধর্মদ্রোহী কাজ করত তা তাদের জানা ছিল না।
খুনের কারণ তানজিলা : পল্লবী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের মামলা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানায়, ব্লগার রাজীব খুনের কারণ তানজিলাসহ একাধিক প্রেমিকা। ঘটনার রাতে রাজীবের বাসায়ই তানজিলা ছিল বলে নিশ্চিত করেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ জানায়, খুনের সময় তানজিলা রাজীবের বাসায় ছিল। সেদিন তানজিলার ওই বাসাতেই থাকার কথা ছিল। পল্লবী থানা পুলিশ রাজীবের খালাতো ভাই এবং আপন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে রাজীবের বাসা থেকেই তানজিলাকে গ্রেফতার করে বলেও জানায় পুলিশ। তানজিলাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার কথায় গরমিল পাওয়া গেছে। এমনকি তানজিলার দেয়া মিরপুর পলাশনগরের ১৩ নম্বর রোডের কবরস্থানের পাশে বোনের বাসার ঠিকানারও অস্তিত্ব ও পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। তবে তানজিলাসহ আরও অনেক মেয়ে ওই বাসায় রাতযাপন করতো বলেও জানায় পুলিশ। পুলিশের তদন্তে রাজীবের একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া, লিভ-টুগেদারের বিষয়গুলো চলে আসে। অন্যদিকে তানিজলার বাসার ঠিকানার জন্য পল্লবী থানায় গেলে ডিউটি অফিসার আবুল হোসেন জানান, তানজিলা ও রাফিকে গ্রেফতারের মাত্র ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই ডিবি পুলিশ নিয়ে যায়। তাই সাধারণ ডায়রি বা থানার কোনো নথিপত্রে তাদের গ্রেফতারের কাগজপত্র নেই। রাজীব হত্যা মামলার আইও মতিয়ার রহমান ফোনে দৈনিক আমার দেশকে জানান, ডিবি পুলিশ নিয়েছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। মতিয়ার রহমান ব্যস্ত আছি বলে আর কথা বলতে চাননি।
রাজীবের বাসা ও এলাকায় ঘুরে যে চিত্র পাওয়া গেল : পলাশনগর ১১ নম্বর রোডের ৫৬/৩ নম্বর বাড়িটি রাজীবের মা নার্গিস হায়দারের নামে। একতলা এ ভবনের সামনে ও পেছনে বেশ কিছু খালি জায়গা রয়েছে। সেখানে কয়েকটি বড় গাছপালাও রয়েছে। চারপাশে দেয়ালে ঘেরা বাড়িটির ভেতরটা বাইরে থেকে দেখা যায় না। ভেতরে দু’কক্ষবিশিষ্ট বাড়িটিতে ঢুকে দেখা যায় পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। সামনের এক চিলতে বারান্দায় সব জুতো পুরুষের। সার্বক্ষণিক নারীদের থাকার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। খোলা রুমে কিংবা বারান্দায়। তালাবদ্ধ রুমে রাজিব থাকত বলে জানায় দায়িত্বরত পুলিশ। তবে বারান্দা ও খোলা কক্ষে প্রচুর মদের বোতল দেখা গেছে। এলাকাবাসী ও চায়ের দোকানদাররা জানান, গত তিন চার বছরে অনেক মেয়েকে এ বাড়িতে আসতে দেখেছেন তারা। নাম প্রকাশ করতে চাননি এমন কয়েকজন বলেন, বউ আসবে কি করে, এখানে তো নার্গিস আক্তার কখনও থাকেন না। তবে রাজীবের বউ এখানে কখনও আসেননি সে ব্যাপারটিও নিশ্চিত করেন তারা। সামনের ছোট গলিতে ভাড়া বাসায় থাকা এক নির্মাণ শ্রমিক জানান, বাড়ির গেটে তালাবদ্ধ রেখে তারা বাড়ির ভেতরেই থাকত। এক চা দোকানি বলেন, ‘এখানে দাঁড়িয়ে রাজীব সিগারেট খেত না। সিগারেট নিয়ে সোজা বাসায় চলে যেত’।
http:// www.amardeshonline.com/ pages/details/2013/02/19/ 188595#.USJ7F_L6mds
— =====================================================================ধর্মদ্রোহী নষ্ট তরুণের প্রতিকৃতি ব্লগার রাজীব : হত্যাকাণ্ডের রাতে তানজিলা ছিল রাজীবের বাসায়
প্রচণ্ড ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তার গার্লফ্রেন্ড তানজিলা। তিন মাস ধরে স্ত্রী বাসন্তী ওরফে অনিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না রাজীবের। স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে গার্লফ্রেন্ড তানজিলাকে নিয়েই থাকত রাজীব। তানজিলা ছাড়াও আরেক প্রেমিকা রাফির সঙ্গেও অবাধ মেলামেশার তথ্য পাওয়া গেছে রাজীবের আত্মীয় ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। ঘটনার দিন রাজীবের বাসাতেই ছিল তানজিলা। পুলিশ তানজিলাকে দু’কক্ষের রাজীবের মা নার্গিস হায়দারের বাসা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় প্রচুর মদের বোতল ও নেশার উপকরণ পাওয়া গেছে। রাজীব হত্যা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে গতকাল পল্লবী থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
গতকাল দুপুরে সরেজমিন পল্লবীর পলাশনগর ১১ নম্বর রোডের রাজীবের মায়ের বাসা গিয়ে দেখা গেছে, পল্লবী থানার দুইজন পুলিশ বাসাটি পাহারা দিচ্ছেন। বাসায় অন্য কোনো লোক নেই। রাজীব যে কক্ষটিতে থাকতো সেটি তালাবদ্ধ। অন্য একটি কক্ষে রয়েছে অসংখ্য মদের বোতল। কোনোটিতে মদ ভর্তি, কোনোটিতে অর্ধেক, আবার কোনোটি খালি। কর্তব্যরত পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘পল্লবী থানা থেকে আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা কিছু বলতে পারব না, থানায় গেলেই সবকিছু জানতে পারবেন।’ বাড়ির কাছেই মাত্র ১শ’ গজের মধ্যে রেজা কিডস কেয়ার স্কুলের সামনে চায়ের দোকানের মালিক ইউনুস এবং দোকানে থাকা এলাকাবাসী জানান, ওই বাসায় রাজীব ও নোবেল নামে দুই ভাই থাকত। এরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কখনও মেলামেশা করত না। তবে মাঝে মধ্যেই রাজীবের সঙ্গে একাধিক মেয়েকে দেখা যেত। মেয়েরা ওই বাসায়ও থেকেছে। ঘটনার দিনও রাজীবের সঙ্গে তারা মেয়ে দেখেছেন। তবে তাকে নিয়ে কোনো দোকানে চা খেতে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন তারা।
পল্লবী থানা পুলিশ জানিয়েছে, রাজীবের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তার বাবা নাজিমউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রেক্ষিতেই ঘটনার পরপরই রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার দিকে রাজীবের খালাতো ভাই এবং ভাই নোবেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই রাজীবের গার্লফ্রেন্ড তানজিলাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে তানজিলা ও রাফিকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ডিউটি অফিসার আবুল হোসেন ও অন্য পুলিশ অফিসাররা জানান, তানজিলা ও রাফিকে গ্রেফতারের ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডিবি পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে। বর্তমানে তারা ডিবি পুলিশের কাছে রয়েছে। আপনারা সেখান থেকে তথ্য নিয়ে নিন’।
উচ্ছৃঙ্খলতা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ : গতকাল ব্লগার রাজীবের শ্বশুরের পুরান ঢাকার আনন্দ বেকারি, পল্লবী থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, রাজীবের পলাশনগর বাসার লোক এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তার ধর্মদ্রোহী, উচ্ছৃঙ্খলতাসহ নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত রোডের প্রসিদ্ধ আনন্দ বেকারির মালিক আবদুর রশীদ ব্লগার রাজীবের শ্বশুর। আবদুর রশীদের ছোট মেয়ে আনিকার সঙ্গে দুই বছর রাজীবের বিয়ে হয়। অনিকার ডাক নাম ছিল বাসন্তী। আনন্দ বেকারির শোরুমে বসেই দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১২টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত দেয়া দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে রাজীবের উচ্ছৃঙ্খলতা ও ধর্মদ্রোহিতার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই ধানমন্ডি ৪ নম্বর রোডের ২১/১, বাড়ির ২/সি ফ্ল্যাটের মালিক আবদুর রশীদের আপ্যার্টমেন্টে রাজিব থাকত।
আব্দুর রশীদ জানান, একটু বেশি অস্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্যই তার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো। তিন মাস ধরে তার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ হলে রাজীবকে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর তিনি কিংবা তার মেয়ে রাজীবের খোঁজ-খবর নেয়নি। আবদুর রশীদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, ‘বিয়ের পর সব মেয়েই সুস্থ জীবন চায়। আমার মেয়েও সুস্থ জীবন চেয়েছিল। আর তা হয়নি বলেই তারা তিন মাস ধরে আলাদা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাত ১১টায় টেলিভিশনে সংবাদ দেখে তারা রাজীবের বাবাকে ফোন করে নিশ্চিত ঘটনা জানতে পারেন। পরে তিনি তার দুই ভাইকে নিয়ে পল্লবী থানায় ছুটে যান। থানায় গিয়ে দেখেন রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তারা নোবেল এবং রাজীবের খালাতো ভাই গালিবকে উপরে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ সময় তিনি পুলিশের কাছ থেকে তানজিলার নাম জানতে পেরেছেন। আবদুর রশীদ বলেন, ‘খুন হয়েছে এটা সত্য। তবে তা উদঘাটনের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সত্য ঘটনা আজ হোক কাল হোক বের হবেই। তাই আমি না জেনে সে জামায়াত ইসলামী হোক আর যেই হোক কারও ওপর দোষ চাপাতে পারব না’। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার নামী এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনন্দ বেকারির শোরুমের দেয়ালে মসজিদের ছবি লাগানো। তিনি বলেন, রাজীব যে ধর্মদ্রোহী কাজ করত তা তাদের জানা ছিল না।
খুনের কারণ তানজিলা : পল্লবী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের মামলা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র জানায়, ব্লগার রাজীব খুনের কারণ তানজিলাসহ একাধিক প্রেমিকা। ঘটনার রাতে রাজীবের বাসায়ই তানজিলা ছিল বলে নিশ্চিত করেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ জানায়, খুনের সময় তানজিলা রাজীবের বাসায় ছিল। সেদিন তানজিলার ওই বাসাতেই থাকার কথা ছিল। পল্লবী থানা পুলিশ রাজীবের খালাতো ভাই এবং আপন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে রাজীবের বাসা থেকেই তানজিলাকে গ্রেফতার করে বলেও জানায় পুলিশ। তানজিলাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার কথায় গরমিল পাওয়া গেছে। এমনকি তানজিলার দেয়া মিরপুর পলাশনগরের ১৩ নম্বর রোডের কবরস্থানের পাশে বোনের বাসার ঠিকানারও অস্তিত্ব ও পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। তবে তানজিলাসহ আরও অনেক মেয়ে ওই বাসায় রাতযাপন করতো বলেও জানায় পুলিশ। পুলিশের তদন্তে রাজীবের একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া, লিভ-টুগেদারের বিষয়গুলো চলে আসে। অন্যদিকে তানিজলার বাসার ঠিকানার জন্য পল্লবী থানায় গেলে ডিউটি অফিসার আবুল হোসেন জানান, তানজিলা ও রাফিকে গ্রেফতারের মাত্র ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই ডিবি পুলিশ নিয়ে যায়। তাই সাধারণ ডায়রি বা থানার কোনো নথিপত্রে তাদের গ্রেফতারের কাগজপত্র নেই। রাজীব হত্যা মামলার আইও মতিয়ার রহমান ফোনে দৈনিক আমার দেশকে জানান, ডিবি পুলিশ নিয়েছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। মতিয়ার রহমান ব্যস্ত আছি বলে আর কথা বলতে চাননি।
রাজীবের বাসা ও এলাকায় ঘুরে যে চিত্র পাওয়া গেল : পলাশনগর ১১ নম্বর রোডের ৫৬/৩ নম্বর বাড়িটি রাজীবের মা নার্গিস হায়দারের নামে। একতলা এ ভবনের সামনে ও পেছনে বেশ কিছু খালি জায়গা রয়েছে। সেখানে কয়েকটি বড় গাছপালাও রয়েছে। চারপাশে দেয়ালে ঘেরা বাড়িটির ভেতরটা বাইরে থেকে দেখা যায় না। ভেতরে দু’কক্ষবিশিষ্ট বাড়িটিতে ঢুকে দেখা যায় পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। সামনের এক চিলতে বারান্দায় সব জুতো পুরুষের। সার্বক্ষণিক নারীদের থাকার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। খোলা রুমে কিংবা বারান্দায়। তালাবদ্ধ রুমে রাজিব থাকত বলে জানায় দায়িত্বরত পুলিশ। তবে বারান্দা ও খোলা কক্ষে প্রচুর মদের বোতল দেখা গেছে। এলাকাবাসী ও চায়ের দোকানদাররা জানান, গত তিন চার বছরে অনেক মেয়েকে এ বাড়িতে আসতে দেখেছেন তারা। নাম প্রকাশ করতে চাননি এমন কয়েকজন বলেন, বউ আসবে কি করে, এখানে তো নার্গিস আক্তার কখনও থাকেন না। তবে রাজীবের বউ এখানে কখনও আসেননি সে ব্যাপারটিও নিশ্চিত করেন তারা। সামনের ছোট গলিতে ভাড়া বাসায় থাকা এক নির্মাণ শ্রমিক জানান, বাড়ির গেটে তালাবদ্ধ রেখে তারা বাড়ির ভেতরেই থাকত। এক চা দোকানি বলেন, ‘এখানে দাঁড়িয়ে রাজীব সিগারেট খেত না। সিগারেট নিয়ে সোজা বাসায় চলে যেত’।
http://
২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।
আমি কি ভুলিতে পারি।
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।
আমি কি ভুলিতে পারি।
হাজার বছর বিদেশী শাসনের অধীনে থেকে থেকে আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি যে-সময়ে ভুলে যেতে বসেছিলাম, ঠিক সেই সময়ে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এদেশের মৃত্যুঞ্জয়ী মানুষের আত্মাহুতি ও আত্মোৎসর্গের ঘটনা আমাদের সর্ব উৎস-মূলে আঘাত হেনে আমাদের নিস্তেজিত চেতনাকে টলমলিয়ে দেয়। সেখানে থেকেই শুরু হয় স্বাধীনতার অঙ্কুরোদ্গম।
শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল ,-মতিয়া চৌধুরি
শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল আর হাড্ডি দিয়া ডুগডুগি' -মতিয়া চৌধুরি
'শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল আর হাড্ডি দিয়া ডুগডুগি' জিয়ার খাল কাটা কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসায় মশগুল হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন জিয়ার পাশে কোদাল হাতে। মোজাফফর, মহীউদ্দীন, মতিয়া চৌধুরীরাও শেখ মুজিবকে 'ভারতের অনুচর' ও 'সিআইএর দালাল' বলে অকথ্য গালাগাল করেন। এনারাই এখন সবচেয়ে বড় আওয়ামিলীগার....ক্ষমতা দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী মিস্টি ফল...খেয়ে যাও বাছারা..
নাস্তিক ব্লগার থাবা বাবা
ভাবছিলাম, থাবাকে নিয়ে আর লিখব না। কিন্তু এই নিয়া হাসিনা গংয়ের জাতীয় সংসদে বাড়াবাড়িতে আবার কলম ধরতে বাধ্য হলাম। এখন উহারা (মুরতাদ হাসিনা ও তার মুরতাদ এমপিরা) জাতিকে গিলাইতে চায়, “রাজীব ভালো ছেলে ছিলো; সে ‘শহীদ‘ হইছে। আর কিছু সংখ্যক লোক কেবল অপপ্রচার করিতেছে।” আর হাসিনার চ্যালা উন্মাদ হানিফ হুমকি দিচ্ছে, আমাদের নাকি শায়েস্তা করিবেন, কেননা আমরা উহাদের অপকর্ম বাধা দিতাছি, তাই? [হানিফকে বলি, ওরে মিথ্যুক, চাপাবাজ, হারামখোর, আর মুরতাদের সহযোগি, শুনে রাখ। তোদের প্রাপ্য জাহান্নামে পাঠিয়ে তবেই আমরা ক্ষান্ত হবো।]
এবার আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পরে মানুষের হিসাব চলে যায় আল্লাহর কাছে, একথা সত্য। কেউ কেউ বলেন, মৃতকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তি যদি মানুষের ঈমান-আকীদা নষ্ট করে যায়, এমনকি মানবজাতি ধংসের বীজ বপন করে যায়, তাও না? অবশ্যই করা যাবে। ধর্ম রক্ষার জন্য কেবল জেহাদ করা নয়, এমনকি কতল করার বিধানও আছে ইসলামে।
ব্লগার রাজীব সম্পর্কে এতদিন ধরে মিডিয়ায় যা লিখে আসছে, তা ওর অপকর্মের তুলনায় সামান্যই। বন্ধুরা, আপনারা যদি সব পড়েন, শিউরে উঠবেন, দুঃখে অস্থির হযে যাবেন। মাথায় আগুণ ধরে যাবে, আর তখন ওকে আরেকবার হত্যা করতে চাইবেন। কেউ বা আবার কবর জ্বালিয়ে দেবেন- এ মাটি মুরতাদেকে ধারণ করার জন্য নয়। দেশে দাঙ্গা বাধানো এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মহাজোটের মন্ত্রী এমপিরা যেভাবে প্রতিদিন রাজীব বন্দনা করে চলছেন, আর নিজেদের ঈমান নষ্ট হচ্ছে, মুরতাদ বানাচ্ছে, সেটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যই এ লেখা।
ইসলামে “শহীদ” বলে একটি টার্ম আছে, যারা বিনা হিসাবে বেহেশতী। ধর্মযুদ্ধ বা দেশ রক্ষা করতে গিয়ে যারা নিহত হয় তারা শহীদ। এটা ইসলামী টার্ম। একথা অনস্বীকার্য, নিহত রাজীব চেয়েছিলো আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে ধংস করতে, কিন্তু আল্লাহ তাকে ধংস করে দিয়েছেন। সে তার মেয়ে বান্ধবী নিয়ে নষ্টামী করে ফেরার পথে মারা গেছে, লাশের হাতে মুঠোয় পাওয়া গেছে মেয়েদের চুল। এ রকম পাপিষ্ঠ নরাধমকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষণা করে “শহীদ।” এটা হাসিনার বাপের তালুক না বা রাজনীতির খেলা না, যে উনি বিধর্মী মুরতাদকে “শহীদ” বানাবেন! আল্লাহর রাজত্বে আল্লাহর আইনকে অবজ্ঞার শাস্তি কঠিন। এর দায়ভার হাসিনাকে অবশ্যই নিতে হবে। আর হাসিনার ঐ ঘোষণার মধ্য দিয়ে নিজেই হয়ে গেছেন “মুরতাদ,” সেটা এখন দেশের কোটি কোটি মানুষ জানে। এখন হাসিনার উচিত হবে, তওবা করা, আবার কলেমা পড়ে মুসলমান হওয়া। এবং সেটা করতে হবে প্রকাশ্যে, কেননা মানুষের জানতে হবে হাসিনা ইসলাম ধর্মে ফিরে এসেছে! নইলে তাকেও জানাজা দেয়া যাবে না। সমাজে মুরতাদের সংখ্যা বাড়ুক, আমরা তা চাই না। হাসিনার কাছে আহবান, ঈমান আনুন।
ইতোমধ্যে খবর বের হয়েছে, বিরোধী দলকে ফাঁসাতে এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ আসর জমানোর জন্য হাসিনার নির্দেশেই এ হত্যাকান্ড। এ খবর জানার পরে নাস্তিক ব্লগাররা জীবন নিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে।
ফিরে আসি রাজীবের অপকীর্তিতে। সে তার ফেসবুকে ২০০৭ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে আমাদের নবী মুহম্মদ (সঃ) এর কল্পিত ৬১ টি চিত্র। ‘নুরানী চিপা’ নামক ব্লগে ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি বিশ্বাস ও রীতিকে কটাক্ষ করা হয়েছে; তার বিকৃত রুচির বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের নবীজির জীবন ও তার পারিবারিক জীবন নিয়ে অশালীন, বানোয়াট ও অকথ্য নোংরা গল্প বানিয়ে কেবল একটি সাইটে নয়, তার ফেসবুকের পাতায়ও রয়েছে, যার রয়েছে কয়েক হাজার ফ্যান। নিজের সাথে সাথে সে অনেক মানুষকে ঐপথে ঠেলে নিয়ে গেছে রাজীব। থাবা বাবার বানোয়াট প্রচারণাগুলি এরকম:
========================== ============
“মোহাম্মক=মোহাম্মদ+আহাম্মক ।” (নাউযুবিল্লাহ)
“আল্লারে পুন্দানী দিয়া একখানা রচনা খাড়া করছিলাম! কিন্তু আল্লায় তার ল্যাঙ্গট খোয়া যাওয়ার ডরে ল্যাপ্পির চার্জ শেষ কইরা রাখছে, ডেকচিও খুলতে পারতছিনা কারেন্টের অভাবে! আল্লা ঐটাও অফ কইরা দিছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক এমনি উস্তাদ চাপাবাজ ছিল যে তার চাপার কোন মা-বাপ ছিল না! সে নিজেকে জাতে তোলার জন্য এমন একজনের বংশধর বলে দাবী করে বসেছে যে লোকটার কোন অস্তিত্বই ছিল না! লোকটার নাম ইব্রাহিম!” (নাউযুবিল্লাহ)
“নবুয়্যতের মোহর: মোহাম্মদ লুইচ্চামীর জন্য খাদিজার কাছে মাইর খাইতো নিয়মিত। যেনতেন মাইর না, তার পিঠ-মোবারকে খাদিজার পবিত্র জুতার বারি। তাই নিজের সম্ভ্রম-শরীফ রক্ষা করার জন্য চাপা মারায় উস্তাদ মোহাম্মদ পিঠে খাদিজার পেন্সিল হিলের গর্ত ঢাকতে গল্প ফেঁদে বসছিল, সেই গল্পই আমরা এখন নবুয়্যতের মোহরের গল্প বলে জানি।” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক ও কুত্তা: বাড়িতে কুত্তা থাকতে চোর আর মোহাম্মদ কোনটাই আসা সম্ভব না। চোরের তাতে কি সমস্যা জানি না, তবে মোহাম্মদের তাতে বড়ই মুসিবত। কুত্তা থাকলে তার রাইত বিরাতে সব উম্মে-বিনতেদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ, সোনার অঙ্গ কালি হইয়া যায়। তাই আল্লার নামে চাপা ঝাইরা দিল যে বাড়িতে কুত্তা থাকলে সেই বাড়িতে রাইতের বেলা রহমতের ফেরেস্তা ঢুকে না। কোরানের বানী (পড়তে হবে চাপা) তো আর ফেলা যায় না তাই কুত্তা আউট, ফেরেস্তার সাথে মোহাম্মদেরও আর ঢুকতে বাধা থাকলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
সুবে সাদিক: “মুয়াজ্জিন আর রাস্তার কুকুরের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কার চিৎকার বেশী সুরেলা!” (নাউযুবিল্লাহ)
সিজদা: “মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শঃই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি খাইয়া (মদ্য বিশেষ) পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্ম-হানী নাই। ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিমিত্তে সে উর্ধপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশী চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত। এমতাবস্তায় কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গীটির নাম সিজদা। সেই হইতে মুসলমানের জন্য উর্ধপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
তাহাজ্জুতের নামাজ: “শীতের বেলা বিবির পাশ থেইক্যা উইঠ্যা আরেক বেটির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হইলো মাঝ রাইত আর সুবে সাদিকের মইধ্যের সময় যখন বিবির ঘুম আর রাইতের আন্ধার দুইটাই খুব গাঢ়। তাই ঠিক ঐ সময় আন্ধাইরে মোহাম্মদ অভিসারে বাইর হইতো। রাস্তায় কেউ দেইখ্যা ফালাইলে চাপা মারতো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে যায়। সেই থেইক্যা মুসলমানগো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া শুরু।” (নাউযুবিল্লাহ)
উঁটমূত্র: “মোহাম্মক তারে রাইখ্যা তারই বাপের পয়সায় এক বান্দির লগে তিন ঘন্টা এক সরাই খানায় কাটায় আইছে, তাও রাইতের আন্ধারে না, এক্কেবারে দিনের বেলায়। আর তার পরে ঘরে আইসাই “শরবত লে আও” কইয়া একটা হুকুম হাঁকলো। মোহাম্মকের দাঁত কেলাইন্যা হাসি দেইখ্যা আয়েশা আর সইহ্য করতে পারলো না। দৌড়ায় গিয়া বাপের বাড়ি উপস্থিত। বাপের উঁটের বহর থেইক্যা একটা সুন্দরী উঁটেরে মুতায় সেই মূত্র গেলাসে কইরা আইন্যা দিল মোহাম্মকের হাতে। মোহাম্মকের তখনো সেই কাফ্রী বান্দির বালের গন্ধের রেশ কাটে নাই। তাই আয়েশার দেয়া ‘শরবত’ গিল্যা শেষ করার আগে টেরই পাইলো না কি গিলছে। এই দিকে আবু বকরী দেইখ্যা ফালাইছে তার মাইয়ার বিটলামী। মাইয়ারে চুলের মুঠি ধইরা ঝাড়ি মারবো কাহিনী কি, তার আগেই আয়েশা বিবি কইলো সবরি কলা থুক্কু পেয়ারা নবী নিজেই ঐটা খাইতে চাইছে। আবু বকরী পুরাই বকরী হইয়া গেল বেটির কথা শুইনা। দৌড়ায় গেল মোহাম্মকের ঘরে। তার ব্যাক্কল মার্কা খোমা দেইখ্যা মোহাম্মদ বুঝলো রবিদার কথা হাড়ে হাড়ে ঠিক “গোপনো কথাটি রবে না গোপনে” তাই উঁটমূতের গেলাস হাতে তার ৬৪টা দাঁত বাইর কইরা সোনামুখে চাপা ঝাড়লো যে উঁটমূত্র পানে আল্লার ফজিলত আছে। সেই থেইক্যা মুসলমানরা উঁটমূত্র পান কইরা আইতাছে চুন্নত বইলা! (নাউযুবিল্লাহ)
মদ ও মোহাম্মক: “..... হের লাইগ্যাওই মোহাম্মগ আল্লার কতায় বনি-অমুক গেরাম দহল অইরা ফালাইলো এগদিন। গেরামের বেডাইন্তেরে মাইরা লাইলো কোফায়া। হের পর হের সাহাবীরা জাপ্পুরদা হড়লো মদের বতুল্ডির উরফে। খায়া খুইয়া টাল অয়া গেল সবতে। হের অরে সবতে মিল্লা টাল অইয়া গেরামের সব বেইড্ডাইন আর ছেরিমানুগুলারে শুরু অরলো গনিমতে ছহবৎ। কিন্তু টাল আছিলো বইল্লা আজল হরনের কতা কাউরই মনো আছিলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
“উম্ম-হানীর যোনী গহ্বরের ঐতিহাসিক নাম হেরা গুহা!!!” (নাউযুবিল্লাহ)
ঈদ মোবারক: “মোহাম্মক তো টাল, স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভান্ডের ওপর ঝাঁপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো। যথারীতি সকাল বেলা মোহাম্মক উর্ধপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবে সাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো তার পাতিনবী পতিদেব কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। …… খাদিজা চিল্লাচ্ছে “ইঁট মুবারক, ইঁট মুবারক” !!! কাবা প্রাঙ্গণে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধপোঁদে পজিশিত। মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে ঐটা হৈল নামাজের সিজদা (সিজদা দ্রষ্টব্য) তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করলো ইঁটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইঁট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন ঊর্ধপোঁদে নামাজ পরা আর ইঁট মুবারক বলার রীতি শুরু হইলো, আর কালক্রমে শব্দবিচ্চ্যুতির কারণে ইঁট হয়ে গেল ঈদ!!” (নাউযুবিল্লাহ)
========================== =========
এই রকম এক নিকৃষ্ট নাস্তিক কাফের মোনাফেক মুরতাদকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষনা করেছে “শহীদ”; আবার তার জন্য কোরআনের নির্দেশ লংঘন করে জানাজা দেয়া হয়েছে; আর সাধারন মানুষদের মুরতাদের কাতারবন্দী করা হয়েছে। এ ঘোরতর অন্যায়! যারা তাতে অংশ নিয়েছে, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। কেননা কোরআনের হুকুম হচ্ছে, যার ইমান নাই তার জানাজা পড়া যাবে না। সারা সুরা তাওবার ৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন: ”আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে।”
আমাদের পেয়ারা নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ঐসব নোংরা, মিথ্যা কদর্য, বনোয়াট গল্পের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এসব কথা পড়া উচিত না এবং প্রচার করাও উচিত না। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকার থেকে এ সকল লেখকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলাম বিরোধীতা মানে উদার মতবাদ! তাদেরকে সরকারী গানম্যান দেয়া হয়, মারা যাওয়ার পরে ‘শহীদ’ ঘোষণা করে মুসলিম প্রধান দেশের প্রধানমন্ত্রী! এখনেই শেষ নয়, সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্যে জাতির সামনে রাজীবের মত কুলাঙ্গারকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়, শোক করে। রাজীবের বাপ ডাঃ নাজিম নতুন করে মিথ্যা ছড়ানো শুরু করেছে- থাবা বাবা নাকি নামাজ পড়ত, ধর্মভীরু, সুখী পারিবারিক জীবন ছিলো। একজন নামাজীর চরিত্র যদি এই হয়, তবে তো লোকজন আরো বিভ্রান্ত হবে। ওদের প্রত্যেকটা কথা মিথ্যা। এটা মোনাফেকের চরিত্র। এ কারনেই রাজীবের অপকর্মসমুহ আবার তুলে ধরতে হয়েছে। সরকার ‘নূরানী চাপা’ মূছে দিয়েছে বটে। কিন্তু সব লেখা জোখা এখনো আছে রাজীবের নিজস্ব ফেসবুকে।
ইসলাম নাযেলের পর থেকেই ইহুদী, খ্রীষ্টান, পৌত্তলিক, ও নাস্তিকরা নবী (সঃ) ও ইসলামের নামে বহু বিভ্রান্তি ছড়ানো ও মিথ্যা প্রচার করতে থাকে। এখনো পশ্চিমা বিশ্বে ও ইউরোপে প্রচারণা চলছে। রাজীব তার ভ্রান্ত চিন্তা নিয়ে নিজের কাছে থাকলে কোনো সমস্যা ছিলো না। কিন্তু এটা সামাজিক সাইটে প্রকাশ করে তার মত আরো শত শত তরুনকে বিভ্রান্ত করে গেছে। আর এটাকে রাষ্ট্র থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, কতল হয়েছে এসব নিয়ে।
পৃথিবীর বহু দেশে ব্লাসফেমি আইন আছে। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেউ সমাজে দাঙ্গা-হানাহানির কারন হলে কোরআন তাকে হত্যার হুকুম দেয়। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৯৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।” সুরা মায়েদার ৩৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। ” সুরা আনফালের ৬৮ আয়াতে বলা হয়েছে,“যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।”
আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূলের (সাঃ) নামে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে সরল মানুষেকে বিপথে নেয়ার অপপ্রয়াস চালানো এবং অশান্তি সৃষ্টির দায়ে এ ধরনের ফিতনাবাজদেরকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাবধান করার পরও এরূপ ফিতনা থেকে নিবৃত না হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে ও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেবারও অবকাশ রয়েছে। (আত তাওবাহ: ২৯)
রাজীব সহ নাস্তিক ব্লগার গোষ্ঠি আল্লাহ ও তার রসুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচরণা চালিয়ে সমাজে হাঙ্গামা বাধাতে চাইছে। কাজেই তাদের সাথে লড়াই করা কোরআনী হুকুম—আল্লাহ পাকের আদেশ, যদি মুসলমান হও।
যে কাজটি করা হয় নি এখনো, ইচ্ছা হয় মাটির তলা থেকে থাবার লাশটা তুলে জ্বালায়ে দেই।
এবার আসল কথায় আসি। মৃত্যুর পরে মানুষের হিসাব চলে যায় আল্লাহর কাছে, একথা সত্য। কেউ কেউ বলেন, মৃতকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু মৃত ব্যক্তি যদি মানুষের ঈমান-আকীদা নষ্ট করে যায়, এমনকি মানবজাতি ধংসের বীজ বপন করে যায়, তাও না? অবশ্যই করা যাবে। ধর্ম রক্ষার জন্য কেবল জেহাদ করা নয়, এমনকি কতল করার বিধানও আছে ইসলামে।
ব্লগার রাজীব সম্পর্কে এতদিন ধরে মিডিয়ায় যা লিখে আসছে, তা ওর অপকর্মের তুলনায় সামান্যই। বন্ধুরা, আপনারা যদি সব পড়েন, শিউরে উঠবেন, দুঃখে অস্থির হযে যাবেন। মাথায় আগুণ ধরে যাবে, আর তখন ওকে আরেকবার হত্যা করতে চাইবেন। কেউ বা আবার কবর জ্বালিয়ে দেবেন- এ মাটি মুরতাদেকে ধারণ করার জন্য নয়। দেশে দাঙ্গা বাধানো এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মহাজোটের মন্ত্রী এমপিরা যেভাবে প্রতিদিন রাজীব বন্দনা করে চলছেন, আর নিজেদের ঈমান নষ্ট হচ্ছে, মুরতাদ বানাচ্ছে, সেটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যই এ লেখা।
ইসলামে “শহীদ” বলে একটি টার্ম আছে, যারা বিনা হিসাবে বেহেশতী। ধর্মযুদ্ধ বা দেশ রক্ষা করতে গিয়ে যারা নিহত হয় তারা শহীদ। এটা ইসলামী টার্ম। একথা অনস্বীকার্য, নিহত রাজীব চেয়েছিলো আল্লাহর দ্বীন ইসলামকে ধংস করতে, কিন্তু আল্লাহ তাকে ধংস করে দিয়েছেন। সে তার মেয়ে বান্ধবী নিয়ে নষ্টামী করে ফেরার পথে মারা গেছে, লাশের হাতে মুঠোয় পাওয়া গেছে মেয়েদের চুল। এ রকম পাপিষ্ঠ নরাধমকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষণা করে “শহীদ।” এটা হাসিনার বাপের তালুক না বা রাজনীতির খেলা না, যে উনি বিধর্মী মুরতাদকে “শহীদ” বানাবেন! আল্লাহর রাজত্বে আল্লাহর আইনকে অবজ্ঞার শাস্তি কঠিন। এর দায়ভার হাসিনাকে অবশ্যই নিতে হবে। আর হাসিনার ঐ ঘোষণার মধ্য দিয়ে নিজেই হয়ে গেছেন “মুরতাদ,” সেটা এখন দেশের কোটি কোটি মানুষ জানে। এখন হাসিনার উচিত হবে, তওবা করা, আবার কলেমা পড়ে মুসলমান হওয়া। এবং সেটা করতে হবে প্রকাশ্যে, কেননা মানুষের জানতে হবে হাসিনা ইসলাম ধর্মে ফিরে এসেছে! নইলে তাকেও জানাজা দেয়া যাবে না। সমাজে মুরতাদের সংখ্যা বাড়ুক, আমরা তা চাই না। হাসিনার কাছে আহবান, ঈমান আনুন।
ইতোমধ্যে খবর বের হয়েছে, বিরোধী দলকে ফাঁসাতে এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ আসর জমানোর জন্য হাসিনার নির্দেশেই এ হত্যাকান্ড। এ খবর জানার পরে নাস্তিক ব্লগাররা জীবন নিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে।
ফিরে আসি রাজীবের অপকীর্তিতে। সে তার ফেসবুকে ২০০৭ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে আমাদের নবী মুহম্মদ (সঃ) এর কল্পিত ৬১ টি চিত্র। ‘নুরানী চিপা’ নামক ব্লগে ইসলাম ধর্মের প্রত্যেকটি বিশ্বাস ও রীতিকে কটাক্ষ করা হয়েছে; তার বিকৃত রুচির বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের নবীজির জীবন ও তার পারিবারিক জীবন নিয়ে অশালীন, বানোয়াট ও অকথ্য নোংরা গল্প বানিয়ে কেবল একটি সাইটে নয়, তার ফেসবুকের পাতায়ও রয়েছে, যার রয়েছে কয়েক হাজার ফ্যান। নিজের সাথে সাথে সে অনেক মানুষকে ঐপথে ঠেলে নিয়ে গেছে রাজীব। থাবা বাবার বানোয়াট প্রচারণাগুলি এরকম:
==========================
“মোহাম্মক=মোহাম্মদ+আহাম্মক
“আল্লারে পুন্দানী দিয়া একখানা রচনা খাড়া করছিলাম! কিন্তু আল্লায় তার ল্যাঙ্গট খোয়া যাওয়ার ডরে ল্যাপ্পির চার্জ শেষ কইরা রাখছে, ডেকচিও খুলতে পারতছিনা কারেন্টের অভাবে! আল্লা ঐটাও অফ কইরা দিছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক এমনি উস্তাদ চাপাবাজ ছিল যে তার চাপার কোন মা-বাপ ছিল না! সে নিজেকে জাতে তোলার জন্য এমন একজনের বংশধর বলে দাবী করে বসেছে যে লোকটার কোন অস্তিত্বই ছিল না! লোকটার নাম ইব্রাহিম!” (নাউযুবিল্লাহ)
“নবুয়্যতের মোহর: মোহাম্মদ লুইচ্চামীর জন্য খাদিজার কাছে মাইর খাইতো নিয়মিত। যেনতেন মাইর না, তার পিঠ-মোবারকে খাদিজার পবিত্র জুতার বারি। তাই নিজের সম্ভ্রম-শরীফ রক্ষা করার জন্য চাপা মারায় উস্তাদ মোহাম্মদ পিঠে খাদিজার পেন্সিল হিলের গর্ত ঢাকতে গল্প ফেঁদে বসছিল, সেই গল্পই আমরা এখন নবুয়্যতের মোহরের গল্প বলে জানি।” (নাউযুবিল্লাহ)
“মোহাম্মক ও কুত্তা: বাড়িতে কুত্তা থাকতে চোর আর মোহাম্মদ কোনটাই আসা সম্ভব না। চোরের তাতে কি সমস্যা জানি না, তবে মোহাম্মদের তাতে বড়ই মুসিবত। কুত্তা থাকলে তার রাইত বিরাতে সব উম্মে-বিনতেদের বাড়ি যাওয়া বন্ধ, সোনার অঙ্গ কালি হইয়া যায়। তাই আল্লার নামে চাপা ঝাইরা দিল যে বাড়িতে কুত্তা থাকলে সেই বাড়িতে রাইতের বেলা রহমতের ফেরেস্তা ঢুকে না। কোরানের বানী (পড়তে হবে চাপা) তো আর ফেলা যায় না তাই কুত্তা আউট, ফেরেস্তার সাথে মোহাম্মদেরও আর ঢুকতে বাধা থাকলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
সুবে সাদিক: “মুয়াজ্জিন আর রাস্তার কুকুরের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কার চিৎকার বেশী সুরেলা!” (নাউযুবিল্লাহ)
সিজদা: “মোহাম্মক তাহার ইয়ার দোস্ত লইয়া প্রায়শঃই কাবা প্রাঙ্গণে আরবি খাইয়া (মদ্য বিশেষ) পড়িয়া থাকিত। মোহাম্মদ যখন বেহুঁশ হইয়া পড়িয়া রহিত, তখন তাহার ইয়ার দোস্তরা এই গোল্ডেন অপরচুনিটি মিস করিবে কেন? সবার তো আর উম্ম-হানী নাই। ইয়ার-দোস্তদিগের গোল্ডেন অপরচুনিটির শিকার হইয়া সুবে-সাদিকের সময় ঘুম ভাঙ্গিলে রেকটাম-প্রদাহের ঠ্যালায় মোহাম্মকের পক্ষে চিত-কাইত হইয়া শয়ন করা বাস্তবিক অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইতো। তাই পশ্চাদ্দেশের আরামের নিমিত্তে সে উর্ধপোঁদে রেকটামের স্ফিংকস্টার পেশী চেগাইয়া পড়িয়া থাকিত। এমতাবস্তায় কেউ দেখিয়া ফেলিলে চাপা মারিত যে সালাত আদায় করিতেছে আর এই ভঙ্গীটির নাম সিজদা। সেই হইতে মুসলমানের জন্য উর্ধপোঁদে সিজদার প্রচলন শুরু হইয়াছে!” (নাউযুবিল্লাহ)
তাহাজ্জুতের নামাজ: “শীতের বেলা বিবির পাশ থেইক্যা উইঠ্যা আরেক বেটির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হইলো মাঝ রাইত আর সুবে সাদিকের মইধ্যের সময় যখন বিবির ঘুম আর রাইতের আন্ধার দুইটাই খুব গাঢ়। তাই ঠিক ঐ সময় আন্ধাইরে মোহাম্মদ অভিসারে বাইর হইতো। রাস্তায় কেউ দেইখ্যা ফালাইলে চাপা মারতো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে যায়। সেই থেইক্যা মুসলমানগো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া শুরু।” (নাউযুবিল্লাহ)
উঁটমূত্র: “মোহাম্মক তারে রাইখ্যা তারই বাপের পয়সায় এক বান্দির লগে তিন ঘন্টা এক সরাই খানায় কাটায় আইছে, তাও রাইতের আন্ধারে না, এক্কেবারে দিনের বেলায়। আর তার পরে ঘরে আইসাই “শরবত লে আও” কইয়া একটা হুকুম হাঁকলো। মোহাম্মকের দাঁত কেলাইন্যা হাসি দেইখ্যা আয়েশা আর সইহ্য করতে পারলো না। দৌড়ায় গিয়া বাপের বাড়ি উপস্থিত। বাপের উঁটের বহর থেইক্যা একটা সুন্দরী উঁটেরে মুতায় সেই মূত্র গেলাসে কইরা আইন্যা দিল মোহাম্মকের হাতে। মোহাম্মকের তখনো সেই কাফ্রী বান্দির বালের গন্ধের রেশ কাটে নাই। তাই আয়েশার দেয়া ‘শরবত’ গিল্যা শেষ করার আগে টেরই পাইলো না কি গিলছে। এই দিকে আবু বকরী দেইখ্যা ফালাইছে তার মাইয়ার বিটলামী। মাইয়ারে চুলের মুঠি ধইরা ঝাড়ি মারবো কাহিনী কি, তার আগেই আয়েশা বিবি কইলো সবরি কলা থুক্কু পেয়ারা নবী নিজেই ঐটা খাইতে চাইছে। আবু বকরী পুরাই বকরী হইয়া গেল বেটির কথা শুইনা। দৌড়ায় গেল মোহাম্মকের ঘরে। তার ব্যাক্কল মার্কা খোমা দেইখ্যা মোহাম্মদ বুঝলো রবিদার কথা হাড়ে হাড়ে ঠিক “গোপনো কথাটি রবে না গোপনে” তাই উঁটমূতের গেলাস হাতে তার ৬৪টা দাঁত বাইর কইরা সোনামুখে চাপা ঝাড়লো যে উঁটমূত্র পানে আল্লার ফজিলত আছে। সেই থেইক্যা মুসলমানরা উঁটমূত্র পান কইরা আইতাছে চুন্নত বইলা! (নাউযুবিল্লাহ)
মদ ও মোহাম্মক: “..... হের লাইগ্যাওই মোহাম্মগ আল্লার কতায় বনি-অমুক গেরাম দহল অইরা ফালাইলো এগদিন। গেরামের বেডাইন্তেরে মাইরা লাইলো কোফায়া। হের পর হের সাহাবীরা জাপ্পুরদা হড়লো মদের বতুল্ডির উরফে। খায়া খুইয়া টাল অয়া গেল সবতে। হের অরে সবতে মিল্লা টাল অইয়া গেরামের সব বেইড্ডাইন আর ছেরিমানুগুলারে শুরু অরলো গনিমতে ছহবৎ। কিন্তু টাল আছিলো বইল্লা আজল হরনের কতা কাউরই মনো আছিলো না।” (নাউযুবিল্লাহ)
“উম্ম-হানীর যোনী গহ্বরের ঐতিহাসিক নাম হেরা গুহা!!!” (নাউযুবিল্লাহ)
ঈদ মোবারক: “মোহাম্মক তো টাল, স্বপ্নে উম্মেহানীর গুহায় ডুবসাঁতার কাটতে ডাইভ দিছে, আর তার পুরা একমাস ‘মোহাম্মক-মধু’ বঞ্চিত দোস্তরা তাদের কঠিন ইমান লইয়া মধুর ভান্ডের ওপর ঝাঁপায় পড়লো। সবাই আরবি খাওয়া ছিল, তাই টাল সামলাইতে না পাইরা কেউ কেউ মোহাম্মক মনে কইরা অন্যদের মধুও খাওয়া শুরু করলো। যথারীতি সকাল বেলা মোহাম্মক উর্ধপোঁদে মধুদ্বার চেগায়া পইড়া থাকলো জ্বালাপোড়া ঠেকাইতে, আর তার পিছে তার ইয়ার দোস্তরা। কারণ টাল হইয়া কে যে কার মধু খাইয়া ফালাইছে তার হিসেব আছিল না, তাই সবারই পশ্চাদ্দেশ ব্যথা। এই দিকে খাদিজা বিবি শিবলি থুক্কু সুবে সাদিকে তার মুবারক নামক ভৃত্যের কাছে খবর পাইলো তার পাতিনবী পতিদেব কাবা ঘরের সামনে আরবি খাইয়া ইয়ারদোস্ত লইয়া পুন্দাপুন্দি করতাছে। …… খাদিজা চিল্লাচ্ছে “ইঁট মুবারক, ইঁট মুবারক” !!! কাবা প্রাঙ্গণে গিয়া দেখে মোহাম্মক আর তার পিছে সবাই লাইন ধইরা ঊর্ধপোঁদে পজিশিত। মক্কাবাসীরে মোহাম্মক আগেই বুঝায় রাখছে যে ঐটা হৈল নামাজের সিজদা (সিজদা দ্রষ্টব্য) তাই তারা আসল কাহিনী ধরতে না পাইরা মনে করলো ইঁটের দিন জামাতে সিজদা দেওন লাগে আর চিল্লায় চিল্লায় ইঁট মুবারক কওন লাগে! সেই থেকে একমাস না খায়া থাইকা পরের দিন ঊর্ধপোঁদে নামাজ পরা আর ইঁট মুবারক বলার রীতি শুরু হইলো, আর কালক্রমে শব্দবিচ্চ্যুতির কারণে ইঁট হয়ে গেল ঈদ!!” (নাউযুবিল্লাহ)
==========================
এই রকম এক নিকৃষ্ট নাস্তিক কাফের মোনাফেক মুরতাদকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ঘোষনা করেছে “শহীদ”; আবার তার জন্য কোরআনের নির্দেশ লংঘন করে জানাজা দেয়া হয়েছে; আর সাধারন মানুষদের মুরতাদের কাতারবন্দী করা হয়েছে। এ ঘোরতর অন্যায়! যারা তাতে অংশ নিয়েছে, তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। কেননা কোরআনের হুকুম হচ্ছে, যার ইমান নাই তার জানাজা পড়া যাবে না। সারা সুরা তাওবার ৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন: ”আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে।”
আমাদের পেয়ারা নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ঐসব নোংরা, মিথ্যা কদর্য, বনোয়াট গল্পের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এসব কথা পড়া উচিত না এবং প্রচার করাও উচিত না। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকার থেকে এ সকল লেখকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ইসলাম বিরোধীতা মানে উদার মতবাদ! তাদেরকে সরকারী গানম্যান দেয়া হয়, মারা যাওয়ার পরে ‘শহীদ’ ঘোষণা করে মুসলিম প্রধান দেশের প্রধানমন্ত্রী! এখনেই শেষ নয়, সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্যে জাতির সামনে রাজীবের মত কুলাঙ্গারকে সমর্থন করে বক্তব্য দেয়, শোক করে। রাজীবের বাপ ডাঃ নাজিম নতুন করে মিথ্যা ছড়ানো শুরু করেছে- থাবা বাবা নাকি নামাজ পড়ত, ধর্মভীরু, সুখী পারিবারিক জীবন ছিলো। একজন নামাজীর চরিত্র যদি এই হয়, তবে তো লোকজন আরো বিভ্রান্ত হবে। ওদের প্রত্যেকটা কথা মিথ্যা। এটা মোনাফেকের চরিত্র। এ কারনেই রাজীবের অপকর্মসমুহ আবার তুলে ধরতে হয়েছে। সরকার ‘নূরানী চাপা’ মূছে দিয়েছে বটে। কিন্তু সব লেখা জোখা এখনো আছে রাজীবের নিজস্ব ফেসবুকে।
ইসলাম নাযেলের পর থেকেই ইহুদী, খ্রীষ্টান, পৌত্তলিক, ও নাস্তিকরা নবী (সঃ) ও ইসলামের নামে বহু বিভ্রান্তি ছড়ানো ও মিথ্যা প্রচার করতে থাকে। এখনো পশ্চিমা বিশ্বে ও ইউরোপে প্রচারণা চলছে। রাজীব তার ভ্রান্ত চিন্তা নিয়ে নিজের কাছে থাকলে কোনো সমস্যা ছিলো না। কিন্তু এটা সামাজিক সাইটে প্রকাশ করে তার মত আরো শত শত তরুনকে বিভ্রান্ত করে গেছে। আর এটাকে রাষ্ট্র থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সে কারণে এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, কতল হয়েছে এসব নিয়ে।
পৃথিবীর বহু দেশে ব্লাসফেমি আইন আছে। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেউ সমাজে দাঙ্গা-হানাহানির কারন হলে কোরআন তাকে হত্যার হুকুম দেয়। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৯৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।” সুরা মায়েদার ৩৩ আয়াতে বলা হয়েছে, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। ” সুরা আনফালের ৬৮ আয়াতে বলা হয়েছে,“যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।”
আল্লাহতায়ালা ও তার রাসূলের (সাঃ) নামে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে সরল মানুষেকে বিপথে নেয়ার অপপ্রয়াস চালানো এবং অশান্তি সৃষ্টির দায়ে এ ধরনের ফিতনাবাজদেরকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সাবধান করার পরও এরূপ ফিতনা থেকে নিবৃত না হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে ও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেবারও অবকাশ রয়েছে। (আত তাওবাহ: ২৯)
রাজীব সহ নাস্তিক ব্লগার গোষ্ঠি আল্লাহ ও তার রসুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচরণা চালিয়ে সমাজে হাঙ্গামা বাধাতে চাইছে। কাজেই তাদের সাথে লড়াই করা কোরআনী হুকুম—আল্লাহ পাকের আদেশ, যদি মুসলমান হও।
যে কাজটি করা হয় নি এখনো, ইচ্ছা হয় মাটির তলা থেকে থাবার লাশটা তুলে জ্বালায়ে দেই।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)