শনিবার, ২ মার্চ, ২০১৩

গণহত্যা ঠকাতে বাংলাদেশে সেনা শাসন আশু প্রয়োজন



গণহত্যা ঠকাতে বাংলাদেশে সেনা শাসন আশু প্রয়োজন, কারণ বি ডি আর হত্যা কান্ডের পর এটি ও দেশের জন্য মারাত্নক পরিস্থিতি বয়ে আনবে । যে যে রাজনীতি করেন না কেন, যে যে ধর্ম মানেন না কেন, মানুষ হত্যা কোন সময় কোন জাতির জন্য কল্যান বয়ে আনতে পারেনা ।১৯৭১ সালের হত্যাকান্ডের বিচার ৪৩ বছর হতে পারলে ২০১৩ সালের ও বিগত সালের এ অবুঝ ও নিরহ মানুষ গুলোর হত্যার বিচার কেন হবেনা? এটি জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। পৃথিবীর সকল রাজনীতিবিদ ও ধর্মবিদ মিলে এক জন মৃত মানুষের জীবন দিতে পারবে কি? যদি না পারে তাহলে, প্রয়োজনে রাজনীতি বাদ দিয়ে মানুষ বাঁচান। আসুন আমরা এমন রাজনীতি বয়কট করি। এ নোংরা রাজনীতি বাদ দিতে কিছু দিনের জন্য হলে সেনা শাসনের প্রয়োজন ও দেশের নিরহ অবুঝ মানুষ গুলোকে বাঁচাতে। আসুন আমরা জনমত গঠন করি 
এখানে এটি বিষয় না বললে নয় সেটি হলো মাননীয় শেখ হাসিনা, খালেদা, সাঈদির ও অন্যান্য নেতার কোন আত্বীয় হত্যার শিকার হয়েছে কি? না বরং নিরহ হত দরিদ্র ও অবুঝ মানুষ গুলো হত্যার শিকার হচেছ। যাদের ১৯৭১ সালে পৃথিবীতে জন্ম হয়নি তারা তো হত্যার শিকার হচেছ। তাদেরকে আপনি শিবির বলেন, আর শাহবাগী নেতা বলেন তারা তো হত্যার শিকার হচেছ ও হবে। মাঝখানে আওয়ামীলীগ, বি,এন,পি,জামাত ও অন্যান্য দলের নেতার সুযোগ লুটবে আর আপনার লাশ মাঠির তলে যাবে এতে দেশের কি লাভ করতে পারবেন একটু চিন্তা করেন

একান্ত সাক্ষাত্কারে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে


একান্ত সাক্ষাত্কারে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদের ছেলে : রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না : হত্যাকাণ্ডের কথা শেখ হাসিনা জানতেন



















ঐ ছেলের কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে কারন সাধারণত দেখা যায় সশস্ত্র বাহিনীর কোন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন প্রধান অতিথি তো ২৫ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের হাসিনা বুবু কেন পিলখানায় গেলেন না? ২৫ শে ফেব্রুয়ারীর আগের দিন অর্থাৎ ২৪ শে ফেব্রুয়ারী উনি সেখানে যাওয়া বাতিল করলেন কেন? দেশ বাসীকে আজ গভীরভাবে ভাবতে হবে! বুঝলাম উনি কোন কারনে যাননি তাহলে আর্মি পাঠাতে উনার অসুবিধা ছিল কোথায়? কেন তিনি সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত ফোর্স পাঠাতে নিষেধ করলেন? জাতি আজ এই প্রশ্নের উত্তর চাই!

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৩

চরম লজ্জিত আজ আমি এ জাতির একজন হয়ে ।


চরম লজ্জিত আজ আমি এ জাতির একজন হয়ে ।
আমি খুবই মর্মাহত এ ভূমিতে জন্ম নিয়ে ।আমি ঘৃনা করি এদেশের সরকার ।যে সরকার একদিনে ৮০ জন লোক হত্যা করেছে অথচ তার মন্ত্রীগন পদত্যাগতো থাক দূরের কথা সগর্বে বুলি আওড়াচ্ছেন ।আমি ঘৃনা করি এদেশের মানুষজনকে যারা এ সরকারকে নির্বাচন করেছে ।আমি ঘৃনা করি তোদের ।আমি ঘৃনা করি ।আমি চরম লজ্জিত ১৬ কোটি বাংলীর আমিও যে ভোট দিয়ে সরকারকে ক্ষমতায় এনেছি একদিনে ৮০ জন মানুষ হত্যা করার জন্য । ভোট দিয়ে এ সরকারকে ক্ষমতায় এনেছি বলে আমিও এই গনহত্যাযজ্ঞের পরোক্ষ অংশীদার । আমি আমার মুসলমান ভাইদের হত্যা করেছি।
ভয়ংকর লজ্জিত আজ আমি ।মা জননী আমার , ক্ষমা করো আমায়।
স্বাদ নেই আর আমার বেঁচে থাকার । চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে না আর আমার আমি বাংলাদেশী আমি মুসলমান আমি বাঙ্গালী ।ঘৃনা করি বুদ্ধিবেশ্যাদের । ঘৃনা করি অসুস্থ সময় ।ঘৃনা করি মানবতাবাদী কুকুরদের ।ঘৃনা করি যারা আজ নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে মানুষ হত্যা করছে ।
চরম ধিক্কার জানাই সময়ের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হলুদ মিডিয়ার প্রতি ।
থু থু ছিটাই আমি তাদের মুখে নাস্তিকদের কাছে যারা বিকিয়ে দিয়েছে নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তিকে ।

আমি হতাশ, আমি স্তব্ধ।বাকহারা আজ আমি 

পুলিশের গুলিতে নিহত ৭৭ জন


বায়ান্নর ফেব্রুয়ারিতে নিহত হয়েছিল ৫ জন : এই ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের গুলিতে নিহত ৭৭
পুরো ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনামলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল দু’ডজনেরও কম
স্বাধীন বাংলাদেশে এক মাসে এত সংখ্যক নাগরিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজপথে নিহত হয়নি। কেবল স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের এক সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করেছিল। এছাড়া বাংলাদেশে পুলিশের গুলিতে এতসংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়নি।
গত ১৬ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১১ দিনে ১৮ জন মুসল্লি পুলিশের গুলিতে নিহত হন
হন 

২০১৩ তে এসে গনহত্যা দেখলাম

রার, যারা ফাঁসি চায় না তাঁদের কি অধিকার নাই? ৭১ এর গনহত্যা দেখিনি কিন্তু ২০১৩ তে এসে গনহত্যা দেখলাম! এই গনহত্যা দেখে মনে প্রশ্ন জাগে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ঐ রাজাকার গুলো কি এখনকার গনহত্যাকারিদের চেয়েও হিংস্র ছিল । মানুষ এতধিক্কার জানাই বর্তমান সরকারকে । নিরস্র মানুষগুলোর উপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ । রাস্তায়, ধান ক্ষেতে, বসতবাড়িতে, পুকুর, ডোবায় সব জায়গাই নির্বিচারে মানুষ হত্যা! কি তাঁদের অপরাধ? তাঁদের প্রিয় একজনের মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সরকারের আজ্ঞাবহ আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ! তাঁদের কি প্রতিবাদ করার অধিকার নেই । কতজন ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই করে রাস্তায় নেমেছে? তাঁদের থেকে অনেক বেশি মানুষ ফাঁসি চাই না বলে রাস্তায় নেমেছে । শুধু যারা ফাঁসি চাই তাঁদের অধিকার আছে বিক্ষভ ক হিংস্র হয় কি করে! যে গণহত্যা চোখে দেখিনি তার জন্য ফাঁসি চেয়ে গলা ফাটাচ্ছি কিন্তু যে গণহত্যা সচক্ষে দেখচি তার সুবিচার চাওয়ার সাহস বা অধিকার কি আমদের নেই ।.

আওয়ামী লীগ আবার প্রমান করল

আওয়ামী লীগ আবার প্রমান করল.
আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল না.
এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন.
একটি জঙ্গি সংগঠন.
একটি স্বৈরাচারী দল.
একটি বাকশালী সংগঠন.
একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠন.
একটি অগণতান্ত্রিক সংগঠন.
ভারতের পদলেহী দালাল. 
যারা ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন.
দেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করা.
দেশ থেকে ইসলামী আন্দোলন দূর করা. 
দেশকে সৎ, যোগ্য, মেধাবী, দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব শুন্য করার জন্য. 
আজ তথাকথিত আইন শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে. 
দলীয় রক্ষীবাহিনীর মাধ্যমে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।.
বাংলার মানুষই এর উপযুক্ত জবাব দেবে।.

বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এখন পর্যন্ত ৫০ জন শহীদ

সোনার বাংলা আজ পরিণত হয়েছে মহাশ্বশানে। হত্যা, গুপ্ত হত্যা, ধর্ষণ, গণ ধর্ষণ চারিদিকে কেবলই পৌশাচিক বিভৎসতা। সভ্যতার দম্ভচূড়ায় দাড়িয়ে বিশ্ব কি করে জানবে বাংলাদেশের অপর নাম জাহান্নাম? কি করে বিশ্বাস করবে বিশ্ব বিবেক যে বাংলাদেশে আওয়ামী সরকারের মাত্র আড়াই বছরে দেশে খুন হয়েছে সাড়ে আট হাজার, দুঃস্বপ্নেও কি কখনো ভাবতে পারে যুদ্ধ ছাড়াই কোন দেশে সরকারের মাত্র আড়াই বছরে ধর্ষিত হয় ১ হাজার ২ শত ৩৯ জন মা-ভগ্নি-কন্যা? যুদ্ধের সময়েওকি কোন দেশের সীমান্তে মাত্র আড়াই বছরে প্রাণ হারায় ১৮৩ নিরীহ নাগরিক, তথাকথিত বন্ধুদেশের বিএসএফের পৈশাচিকতায় যা ঘটে গেলো বাংলাদেশে? অথচ এটিই এখন বাংলাদেশের বাস্তবতা। না, মু মুহূর্তে বাংলাদেশ কোন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে প্রত্যক্ষ সমরে অবতীর্ণ নয়, চলছে না ভয়ংকর কোন গৃহযু্দ্ধ। তবুও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের প্রতিটি কোনে কোনে কেন এই রক্ত ক্ষরণ? তবে কি বাংলাদেশের সরকার জনগণকেই প্রতিপক্ষ মনে করে, তবে আওয়ামী সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ১৬ কোটি নিরীহ শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশীদের সাথে?
কি অপরাধ বাংলাদেশের? কি অপরাধ বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের? এক সাগর রক্তের বিনিয়মে অর্জিত স্বাধীনতাকে প্রতিবেশী বন্ধুবেশী হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশীর নির্ভেজাল দেশপ্রেমই কি অপরাধ? ৯০ শতাংশ মুসলিম জনতার আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনই কি অপরাধ? অন্যায়, অপশাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী মানুষের রুখে দাড়ানোই কি অপরাধ?
বাঙলার স্বাধীনতা র্সূয যেমন পলাশীর প্রান্তরে অস্তমিত হয়েছিল মীরজাফরের মতো নর্দমার কীটের ষড়যন্ত্রে, আজো তেমনি বাংলার রক্তিম সূর্য ঢেকে দিতে চায় শেখ হাসিনার অস্পৃশ্য আঁচল। কে না জানে, প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্রে, আতাতের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। কেন এসেছে তারা ক্ষমতায় তাও কারো অজানা নয়। দেশের তেল-গ্যাস-সমুদ্রবন্দর দিতে হবে প্রভুদের, দিতে হবে ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট। অথচ ইতোমধ্যে চলে গেছে আড়াইটি বছর। প্রভুদের তীব্র তাড়নায় বেসামাল আওয়ামী সরকার, বিরক্ত আওয়ামী লীগের প্রভূরাও। চারি দিকে শত্রুবেষ্টিত ভারতের কাছে বাংলাদেশের আওয়ামী কৃতদাসেরাই মরুভূমির মাঝে মরুদ্যানসম। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষায় ঢাকাকে দিল্লির প্রয়োজন ষোলো আনার উপর আঠারো আনা, এমনটাই দাবী ভারতীয় আনন্দবাজার পত্রিকার।
আওয়ামী লীগ জানুক বা নাই জানুক, তাদের প্রভূরা জানে, আওয়ামী লীগের দিন শেষ হয়ে এসেছে বাংলাদেশে। দশটাকা সের চাল আর ঘরে ঘরে চাকুরীর যে মহা প্রতারণার ফাঁদে বন্দী করে বাংলাদেশের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভুতের মতো জেকে বসেছে আওয়ামী লীগ, দুটো বছর যেতে না যেতেই বাংলার মানুষ প্রচন্ড আছাড়ে আওয়ামী মসনদ চূর্ন বিচুর্ন করে দিতে আজ বেপরোয়া। আর তাই ড্রাকুলার মতো ক্ষিপ্রতায় বাংলাদেশকে চুষে চুষে আখের ছোবড়া বানাতে পাগলপ্রায় আওয়ামী লীগের প্রভুরা। ওরা জানে, ষড়যন্ত্র করে বার বার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা যাবে না আওয়ামী লীগকে, জানে আমৃত্যু বোকা বানানো যাবে না ষোলকোটি বাংলাদেশীকে।
আওয়ামী লীগও জানে, প্রভুদের আস্থা ধরে না রাখতে পারলে জনরোষে ভষ্ম হতে হবে। জানে, লাঞ্ছনাকর ক্ষমতাচ্যূত হয়ে ওদের ঠাই নিতে হবে প্রভূদের পায়েই। আর তাই যে কোন মূল্যে প্রভূদের পায়ে তেল মর্দনে ব্যস্ত ওরা। তড়িঘড়ি একের পর এক অপমানজনক চুক্তিতে দেশকে শৃংখলিত করছে আওয়ামী লীগ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সম্পদ শোষণে প্রভূদের সহায়তা দিতে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। আর তাই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করছে আওয়ামী লীগ। তুলে দেয়া হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি মীমাসিংত ব্যবস্থা। বিশ্ব দরবারে এক ঘরে করে বাংলাদেশকে কেমবল মাত্র ভারতের সেবাদাসে পরিণত করতে সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হয়েছে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশসমূহের সাথে সম্পর্কের ধারা। ব্রাহ্মণ্যবাদীদের তুষ্ঠ করতে, বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করতে সংবিধান থেকে তুলে দেয়া হয়েছে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা। ক্রমাগত খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশকে। আর এভাবেই বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

সরকার হত্যাকে আতশবাজীর খেলা হিসেবে নিয়েছে

ফাঁসীর রায়ের পর এখন পরযন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছে জানিনা আরও কত প্রাণ গেলে সরকার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে যে গতকালই বলেছিলাম সেনাবাহিনী নামানো হোক কিন্তু সরকার ব্যাপারটা বুঝলো না তাই আবারো বলছি এক্ষুনি সারাদেশে সেনাবাহিনী নামানো হোক -


সরকার যেটা শুরু করেছে সেটা বাড়াবাড়ি। এখনো সরকার বুঝতে পারছেনা যে তারা কি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধারনা শুধু জামাত ইসলামের মাঝেই রাজাকার আছে। তাদের নিজ দলের ভিতরে যে কত রাজাকার আছে তারা ত জামাই আদরে দুরনিতি করছে। সরকার যদি যুধধ অপরাধি দের বিচার করতেই চায় তবে নিজের দল থেকে সেতা শুরু করুক।

সারাদেশে দলীয় কর্মীসহ ৫০ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা  করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াত। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায় ঘোষণার পর সারাদেশে সাধারণ জনতা এ রায় প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ জানালে সরকারের পুলিশ বাহিনী সাধারণ জনতার উপর গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে। পুলিশের গুলিতে রংপুরে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন, কক্সবাজারে ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৩ জন, নারায়নগঞ্জে ৩ জন, দিনাজপুরে ৩ জন, ঠাকুরগাঁয়ে ৫ জন, চাপাইনবাবগঞ্জে ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন, সাতক্ষিরায় ৫ জন, গাইবান্ধায় ৩ জন, কুমিল্লা, নাটোর, যশোর, লক্ষ্মীপুরে ১ জন করে মোট ৫০ জন নিহত হয়। সারাদেশে পুলিশের গুলিতে আহত হয় ৩ হাজারের মত সাধারণ জনতা। তার মধ্যে ৫০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সরকার সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এ সরকারের হাতে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। সরকারের গুলির হাত থেকে শিশু, নারী, বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। কোন যুদ্ধরত দেশেও এই ভাবে একদিনে ৫০ জন লোকের নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয় সরকারের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত ১লা মার্চ দোয়া দিবস, ২ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবস এবং ৩ ও ৪ মার্চ রবি ও সোমবার ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার হরতাল কর্মসূচি পালন করা হ

১৪ জন নিহত

বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার হরতালের সময় সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাক

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, “এই রায়ে আমরা স্তম্ভিত। যে সাক্ষ্য প্রমাণ দেয়া হয়েছে তাতে মৃত্যুদণ্ড দূরে থাক, এক মিনিটেরও সাজা হওয়ার কথা নয়।”
আমরা এ রায়ের বিরু্দ্ধে আপিল করবো।
বেলা আড়াইটায় ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাক এ কথা বলেন।

বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

ব্রেকিং নিউজ

হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।


চাপাইনবাবগন্জ জামাত-শিবিরের দখলে। শিবির কর্মীরা শহরের বড়ইন্দারা মোড়,মহানন্দা ব্রীজ এলাকা,টার্মিনাল এলাকা সহ সব জায়গা ঘিরে ফেলেছে।

ভারতের সহায়তায় শাহবাগের আন্দোলন ......


টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট: ভারতের সহায়তায় শাহবাগের আন্দোলন ......
এ লজ্জা রাখি কোথায়? হায়রে অভাগা দেশ !!!এটা যে ভারতের প্রচ্ছন্ন মদদে হচ্ছে সেটা দেশবাসী আগেই ধারণা করেছিল। যে ভারত আমাদের সীমান্তে নির্দয় ভাবে অহরহ পাখির মত গুলি করে লাশ ফেলছে, সেই ভারত দরদে উথলে উঠে শাহবাগ গণ আন্দোলনে সহায়তা করছে!!! কী স্বার্থে ??? 

মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মসজিদের ঈমামকে এভাবে রাস্তায় ফেলে আঘাত করার কী ব্যাখ্যা থাকতে পারে?

লেবাসধারীদের ধর্মব্যবসা আর ইসলামের নামে উগ্রবাদ তারাই সমর্থন করতে পারে যারা হয় নিজেরা ভন্ড, নয়তো অর্ধ বা অশিক্ষিত লোকজন। কিন্তু একজন মসজিদের ঈমামকে এভাবে রাস্তায় ফেলে আঘাত করার কী ব্যাখ্যা থাকতে পারে?

পুলিশ ভাইদেরই একজন হামলাকারীকে প্রথমে থামাতে চাইলেন, পারলেন না, পরে সে যখন মেরেই বসল তখন জোর করে তাদের থামিয়ে 'বেয়াদব' বলে উঠলেন। ভুল এক স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানো এই ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ। কিন্তু সার্বিক ভাবে, এ কাদের হাতে আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ম দিয়ে রেখেছি আমরা? এ কী খেলা শুরু করল মখা? আর পুলিশ ভাইয়েরাও বা কী করছেন এসব? তারা কি বুঝতে পারছেন বাকশালীরা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বাহিনীটাকে ব্যবহার করে তাদেরকে ক্রমান্বয়ে জনগণের কাছে ঘৃণিত করে তুলছে? 

দেশ কোন দিকে যাছে?


দেশ কোন দিকে যাছে? পুলিশের সামনে বাবার বয়েসী একজন মুরুব্বিকে এ ভাবে দাড়ি ধরে এক যুবক মারছে. 
এটা আমাদের জন্য একটা কষ্ট ও দুঃখের বিষয়. 
আজ অন্নের বাবা লাঞ্চিত, কাল আমার বাবা ওদের কাছে লাঞ্চিত হবে. 
এটা কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারনা. 
এ ব্যাপারে সরকার কান উদাস, 
আমার বদ্গম্ম্য নয়.

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ দিন

জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ দিন- জাতীয় ভাবে ‘শোক’ পালন করা হোক
*********************************************
সেদিনকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন সরকার রহস্যজনক কারনে নজীরবিহীন অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। যদিও তখনকার ভারতপন্থী মিডিয়াগুলো ৫৭ জন মেধাবী অফিসারসহ ৭৫টি প্রাণের সর্বোচ্চ ক্ষতির বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সে সময়কার পরিস্থিতি মোকাবেলাকে সফল সমাধান হিসেবে প্রপাগান্ডা চালিয়েছিলেন। আপসোস্! এর চেয়ে ক্ষতি আর কি হতে পারত?

বিডিআর ট্রাজেডির ৪টি বর্ষপূর্তিতেই জনগনের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে আবদ্ধ রাখতে ভারতীয়দের পৃষ্ঠপোষকতা ও অংশগ্রহণের রাজধানী ঢাকাতে লুটেরাদের মঞ্চ, নাচ-গানের আয়োজন আমাদের জাতীয় শোকের মাঝে কাঁটা ঘায়ে লবণের ছিটার মত। এটি চরম লজ্জাকর ও জাতির কৃতি সন্তানদের প্রতি নির্মম কৌতুক। জানি দেশের এ অপূরণীয় ক্ষতি সহজেই পূরণ হওয়ার নয়। নিহতদের পরিবারগুলো এ শোক কোনোভাবেই ভুলতে পারবেনা। দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরবার তৌফিক দেন এবং তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন।

জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ দিন- জাতীয় ভাবে ‘শোক’ পালন করা হোক

অনেক সময় গেছে, অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ৪ বছর পার হয়েছে পিলখানার ৫৭ সেনা অফিসার হত্যার বিচার হয়নি। উদঘাটন হয়নি কোন্ ষড়যন্ত্রে বিডিআর বাহিনী ধংস করা হলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এত অফিসার মারা যায়নি। দুর্ঘটনা সহ সে যুদ্ধে মোট ৫৫ জন অফিসার মারা গেছে। আর কোনো বিশ্বযুদ্ধে এক ঘটনায় এত অফিসার নিহত হয়নি। গত চার বছরে দেশের মানুষ পিলখানা ঘটনার মোটামুট সবটা জেনে গেছে। দেখেছে বিচারের নামে প্রহসন। সেনাবিাহিনীর প্রতিটি সৈনিক, প্রতিটি অফিসার জানে - কেনো, কোন্ পরিকল্পনায়, কারা পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসার হত্যা করা হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে, কিন্তু আসল হোতারা এখনো গোঁফে তা দিয়ে ঘুরছে। ঘটনার বর্ননায় না গিয়ে আসল কথায় আসি। কে কেনো কোথায় জড়িত।

১. RAW: ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’এর পরিকল্পনায় ও ব্যবস্থাপনায় পিলখানায় নারকীয় ঐ তান্ডব হয়। এর মূল লক্ষ ছিলো পাদুয়া ও রৌমারীর বদলা নেয়া এবং বিডিআর ধংস করে দেয়া। ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিডিআর-বিএসএফ যুদ্ধে ১৫০ জন বিএসএফ নিহত হয়। এর আগে পাদুয়ায় নিহত হয় ১৫ বিএসএফ। বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমানের নির্দেশে ঐ যুদ্ধে অংশ নেয় বিডিআর। ঐ ঘটনার পরে ভারতীয় ডিফেন্স মিনিষ্টার উত্তপ্ত লোকসভায় জানান দেন, এ ঘটনার বদলা নেয়া হবে। ১৯৭১ সালে যে সব শর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সামরিক সাহায্য দেয় তার অন্যতম ছিল "Frontier Guards will be disbanded" (CIA Report SC 7941/71). অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো বর্ডার গার্ড থাকবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পরে কোনো অজ্ঞাত কারনে পাকিস্তান রাইফেলস বালাদেশ রাইফেলসে (বিডিআর) রূপ নেয়। বিডিআর বাহিনীটি ছিলো আধাসামরিক বাহিনী, যার মূল কমান্ড ছিলো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হাতে। অন্যদিকে ভারতের বিএসএফ ছিলো সিভিল বাহিনী, যাদের ট্রেনিং, জনবল সবই ছিলো নিম্নমানের। এ কারনে বর্ডারে কোনো যু্দ্ধ হলে তাতে বিডিআর সামরিক পেশাদারিত্ব দিয়ে জিতে আসত।

মূলত এ কারনেই বিডিআর বাহিনী ধংস করার পরিকল্পনা করে ভারত। এ লক্ষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী নতুন সরকারের দূর্বল সময়টিকে বেছে নেয়া হয়। বিডিআর সৈনিকদের দাবীদাওয়ার আড়ালে মুল প্লানটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৬০ কোটি টাকা বিতরন করা হয়। ১৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বাছাই করা ১৫ জন শুটারকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয় যারা পশ্চিম বঙ্গ সরকারের ১ লক্ষ মিষ্টির সাথে ঢুকে। একজন বেসামরিক দর্জি’র কাছ থেকে তাদের জন্য বিডিআর এর পোশাক বানিয়ে বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে পিলখানায় ঢুকে। তাদের দায়িত্ব ছিলো লাল টেপ ওয়ালা (কর্নেল ও তদুর্ধ) অফিসারদের হত্যা করবে।তারা একটি বেডফোর্ড ট্রাক ব্যাবহার করে ৪ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করেছিল। তাদের ব্যাবহারের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ আনার জন্য অন্য একটি পিকআপ গাড়ী ব্যাবহার হয়েছিল। ২৫ তারিখে বিডিআর ডিজি শাকিলকে হত্যার আগেই ভারতীয় টিভিতে প্রচার করা হয় শাকিল সস্ত্রীক নিহত। অর্থাৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তা প্রচার হতে থাকে।

পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে বা আর্মির পদক্ষেপে শেখ হাসিনার জীবন বিপন্ন হলে তাকে নিরাপদে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের ৩০ হাজার সৈন্য, ছত্রীবাহিনী ও যুদ্ধবিমান আসামের জোরহাট বিমানবন্দরে তৈরী রেখেছিলো। বিদ্রোহের দিন ভারতের বিমান বাহিনী IL-76 হেভি লিফ্‌ট এবং AN-32 মিডিয়াম লিফ্‌ট এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো। ঐসময় প্রণব মুখার্জীর উক্তি মিডিয়ায় আসে এভাবে, “এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত। ... আমি তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবাণী পাঠাতে চাই, যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, তারা যদি এ কাজ অব্যাহত রাখে, ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, প্রয়োজনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।”

২. শেখ হাসিনা : ভারতের এই পরিকল্পনাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানত। আর পরিকল্পনার বাস্তবায়নের নিমিত্তে ঘটনার ১ সপ্তাহ আগে তাড়িঘড়ি করে প্রধানমন্ত্রীকে সুধাসদন থেকে সরিয়ে যমুনা অতিথি ভবনে নেয়া হয় (যদিও যমুনার মেরামত তখনও শেষ হয়নি). ভারতের এ পরিকল্পনার অধীনে সেনাবাহিনীর বিরাট একটা অংশ মেরে ফেলা হবে, যেটা ১৯৭৫ সালে তার পিতৃ হত্যার একটা বদলা হিসাবে তার কাছে সন্তোষজনক ছিলো। ২৫ তারিখে ঘটনার পর পরই প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে র‌্যাবের একটি দল, এবং ১০.২৫ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি দল পিলখানায় পৌছায়। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো অভিযান চালানোর অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তিনি সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এ সময়ের মধ্যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। বিকালে হত্যাকারীদের সাথে শেখ হাসিনা বৈঠক করে তাদের সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন। কিন্তু তিনি একবারও জানতে চাননি, ডিজি শাকিল কোথায়। বিস্ময়!!

৩. গোয়েন্দা সংস্থা: ২৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর পিলখানায় যাওয়ার আগের দিন অস্ত্রাগার থেকে ৩টি এসএমজি খোয়া যায়। অফিসারদের লাগানো হয় অস্ত্রাগারের পাহারায়। অথচ প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দাগিরি বহাল থাকে। নূন্যতম কোনো বিচূতি হলে প্রোগ্রাম বাতিল হয়। এত কিছু সত্তেও প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান। মূলত: বিদ্রোহের আগাম বার্তা সেনাপ্রধান ম্ইন, ডিজিএফআই প্রধান মোল্লা ফজলে আকবর (ইনি হাসিনার এক সময়ের নাগর ছিলেন), এনএসআই প্রধান মেজর জেনারেল মুনির, সিজিএস সিনা জামালী, বিডিআর কমিউনিকেশন ইনচার্জ লেঃ কর্নেল কামরুজ্জামান, ৪৪ রাইফেল’এর সিও শামস, মুকিম ও সালাম-এর জানা ছিল। পরিকল্পনামত ২৪ তারিখে জানিয়ে দেয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী ২৬ তারিখের নৈশভোজে যাচ্ছেন না (এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি).

৪. জেনারেল মইন উ আহমেদ: তৎকালীন সেনাপ্রধান ও ১/১১র মূল কুশীলব। ২০০৮ সালের গোড়ার দিকে ভারত সফর করে মইন চেয়েছিলেন ক্ষমতায় যাওয়ার সমর্থন। ভারত তা দেয়নি, বরং অ’লীগকে ক্ষমতায় আনার লক্ষে মইনকে কাজ করতে বলে, বিনিময়ে সেফ প্যাসেজ পাবে কুশীলবরা। উপায়ান্তর না পেয়ে মইন রাজী হয় এবং ২৯ ডিসেম্বর নির্বচানে ক্ষমতার পালবদল ঘটে। ওয়ান ইলেভেনের খলনায়কদের বিচারের জন্য ফেব্রুয়ারীর তৃতীয় সপ্তাহে সংসদে প্রবল দাবী ওঠে। উপায়ান্ত না দেখে জেনারেল মইন নিজে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে সংসদ অফিসে। শেখ হাসিনা ধমকে দেন মখা আলমগীর, জলিলদের, যাতে করে সেনাবাহিনীর বিচারের দাবী আর না তুলে। হাসিনা এ সময় হুশিয়ার করেন, “কিভাবে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা কেবল আমিই জানি।” ভারত তার প্লানমত এগিয়ে যায় বিডিআর অপারেশন নিয়ে। মইনকে বলা হয় সাপোর্ট দিতে। মইন তার পথের কাঁটা সরাতে আর্মির চৌকশ কিন্তু তার জন্য বিপদ হতে পারে ভবিষ্যতে এমন অফিসারদের পোষ্টিং দেয় বিডিআরে। এতকাল আর্মির রদ্দিমালগুলো যেতো বিডিআরে। এবারেই এত চৌকশ অফিসার একসাথে দেয়া হয় বিডিআরে। রাইফেলস সপ্তাহের আগেই কানাঘুসা হয় বিদ্রোহ হবে। অনেক অফিসার নানা অযুহাত দিয়ে ছুটিতে চলে যায়। মইনের সরাসরি যোগসাজসে ঘটে পিলখানা ট্রাজেডি। ঘটনার সাথে সাথে ডিজি শাকিল মইনকে জানালেও তাদের উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি, কেবল আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপন ছাড়া। পরবর্তীতে হাসিনা পিলখানায় গেলে মইন সেনা অফিসারদের ব্যাপক অসন্তোষের মুখে পরেন। এমনকি নিহতদের জানাজার সময় চেয়ার তুলে মারতে যায় কেউ কেউ।

৫. সজীব ওয়াজেদ জয়: শেখ হাসিনার এই পুত্রটি আগে থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। ২০০৮ সালের নির্বাচনের দেড় মাস আগে ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় তার Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh শীর্ষক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনীতে চালাকি করে ৩০% মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢুকে পড়ছে; এটা হচ্ছে মাদ্রাসা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভর্তি পরীক্ষার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। তিনি Toward Renewal: A Secular Plan অংশে সেনাবাহিনী পূনর্গঠনের পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেছিলেন। পিলখানার প্লানে সেনা অফিসার হত্যা করা হলে সেনাবাহিনীতে ব্যাপক সংস্কার করা সম্ভব হবে, এমন বিবেচনায় জয় প্রস্তাবটি গ্রহন করেন। ঘটনার পরে জয় দুবাই যান এবং হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন বলে খবর প্রকাশ।

৬. শেখ ফজলে নূর তাপস: শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘটনায় তার পিতা নিহত হয়। তাপস ঢাকা-১২র নির্বচন করতে গিয়ে বিডিআর এলাকায় ৫ হাজার ভোট প্রাপ্তির লক্ষে ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি তোরাব আলী’র মাধ্যমে বিডিআরের সাথে যোগাযোগ করে। তাপসকে নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে, বিডিআর সকল সদস্য নৌকায় ভোট দিবে। তার বদলে তাপস সম্মতি দিয়েছিল বিডিআরের দাবী দাওয়া মেনে নেয়ার ব্যবস্থা করবে। তাপসের বাসায় বিডিআরের প্রতিনিধিরা একাধিক বৈঠক করে। এমনকি পিলখানা বিদ্রোহের আগেরদিনও তাপসেকে বিদ্রোহের কথা জানানো হয়। তাপস তাতে সম্মতি দেয় এবং তাদের সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাপসও এই ষড়যন্ত্রকে কার্যকর হিসাবে মনে করে। ২৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ফজলে নুর তাপসের ধানমন্ডিস্থ বাসায় প্রায় ২৪ জন বিডিআর হত্যাকারী চুড়ান্ত শপথ নেয়। তোরাব আলী ও তার ছেলে লেদার লিটন পরিকল্পনাকারীদেরকে গোপন আস্তানা ও যাবতীয় সহায়তা প্রদান করে। বিডিআর বিদ্রোহের বিকালে শেখ তাপসের ঘোষনা প্রচার করা হয়, যাতে করে পিলখানার ৩ মাইল এলাকার অধিবাসীরা দূরে সরে যান। আসলে এর মাধ্যমে খুনীদের নিরাপদে পার করার জন্য সেফ প্যাসেজ তৈরী করা হয়েছিল। তাপসের এহেন কর্মকান্ডের বদলা নিতে তরুন সেনা অফিসাররা হামলা করে, ব্যর্থ হয়। পরে ৫ চৌকস কমান্ডো চাকরীচ্যুত হয়ে কারাভোগ করছে।

৭. মীর্জা আজম: যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এই হুইপ পিলখানার ঘটনাকালে বিদ্রোহীদের সাথে সেল ফোনে কথা বলতে শুনা যাচ্ছিল। সে হত্যাকারীদের সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ দেয় কর্ণেল গুলজারের চোখ তুলে ফেলতে এবং দেহ জ্বালিয়ে দিতে। কেননা র‌্যাবের পরিচালক কর্নেল গুলজারের নেতৃত্বে জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমানকে ধরা হয় ও পরে ফাঁসি দেয়া হয়। শায়খ রহমান ছিল মির্জা আজমের দুলাভাই। আজম এভাবেই দুলাভাই হত্যার বদলা নেয়। এছাড়াও ২০০৪ সালে নানক-আজমের ব্যবস্থাপনায় শেরাটন হোটেলের সামনে গানপাউডার দিয়ে দোতলা বাসে আগুন দিয়ে ১১ বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার ঘটনা তদন্ত করে এই গুলজারই নানক-আজমকে সম্পৃক্ত করে। এর প্রতিশোধেই গুলজার নিহত হয়।

৮. জাহাঙ্গীর কবির নানক: এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী। উনি বিডিআরের ঘাতকদের নেতা ডিএডি তৌহিদের ক্লাশমেট। বিডিআর ট্রাজেডির আগে থেকেই তৌহিদ যোগাযোগ রাখত নানকের সঙ্গে। ঘটনারদিন ২৭০ মিনিট কথা বলে তারা। পিলখানার বিদ্রোহীদের নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে নিরাপদে গিয়ে মিটিং করে আসে। এবং তৌহিদকে বিডিআরের অস্থায়ী ডিজি ঘোষণা করে। কর্নেল গুলজার হত্যায় সরাসরি জড়িত। কেননা, র‌্যাবের পরিচালক গুলজারই তদন্ত করে উদঘাটন করে- শেরাটনের সামনে দ্বোতলা বাস জ্বালিয়ে ১১ যাত্রী হত্যা করা হয় নানকের নির্দেশে।

৯. শেখ সেলিম: শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই। ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়, কিন্তু তার ভাই শেখ মনি নিহত হয়। সেনাবাহিনীর ওপরে তারও রাগ ছিলো প্রচন্ড। তা ছাড়া ১/১১র পরে সেনারা ধরে নিয়ে যায়, এবং ডিজিএফআই সেলে ব্যাপক নির্যাতন করে শেখ হাসিনার অনেক গোপন কথা, চাঁদাবাজি, বাসে আগুণ দেয়া সংক্রান্ত জবানবন্দী দিতে হয়। বিডিআরের বিদ্রোহী দলটি কয়েকদফা মিটিং করে শেখ সেলিমের সাথে। ১৩ ফেব্রুয়ারীতে শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় এ ধরনের একটি মিটিং হয় বলে তদন্তে প্রমান পাওয়া গেছে।

১০. সোহেল তাজ: স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শেখ সেলিমের বাসায় অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে সোহেল যোগ দেয়। বিদেশী হত্যাকারীদেরকে নিরাপদে মধ্যপ্রাচ্য, লন্ডন ও আমারিকায় পৌছানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সোহেল তাজকে। জনগনকে ধোকা দেয়ার জন্য প্রচার করা ঘটনার সময় তাজ আমেরিকায় ছিল। এটি চরম ধোকা এবং সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। সে সময়ে তাজ ঢাকায়ই ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে কয়েকজন হত্যাকারীসহ তাকে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং সে রাতেই তাজ ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বিদেশের পথে যাত্রা করে। সেই হেলিকপ্টারের একজন পাইলট ছিল লেঃ কর্নেল শহীদ। যাকে পরে হত্যা করা হয় রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলামের সাথে। এছাড়া বিমানের বিজি ফ্লাইট ০৪৯ দু’ঘন্টা বিলম্ব করে চারজন খুনী বিডিআরকে দুবাইতে পার দেয়া হয়। এখবরটি মানবজমিন ছাপে ৩ মার্চ ২০০৯.

১১. কর্নেল ফারুক খান: তিনি ছিলেন পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তের লক্ষে গঠিত ৩টি কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্বে। সেনাবাহিনীর তদন্তে মোটামুটি সব ঘটনা উঠে আসলেও তা আলোর মুখ দেখেনি এই ফারুক খানের জন্য। ধামাচাপা দেয়া হয় মূল রিপোর্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মূল রিপোর্ট বদলে গোজামিলের রিপোর্ট তৈরী করা হয়।

১২. হাজী সেলিম: লালবাগ এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি বিডিআর হত্যাকান্ডের সময় রাজনৈতিক সাপোর্ট দিয়েছেন। হাজী সেলিম ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে বেশ কিছু গোলাবারুদ ক্রয় করে, যা বিদেশী ভাড়াটে খুনীরা প্রথমে ব্যবহার করে। ঢাকার দৈনিক প্রথম আলোর এক সাংবাদিক এটা জানার পর সে এনএসআইকে এই মর্মে অবহিত করে যে, পীলখানায় কোন ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি চলছে যার সাথে বিডিআর ও আওয়ামীলীগ রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ জড়িত। ষড়যন্ত্রের নীল নকশামত উক্ত সাংবাদিককে এনএসআই থেকে বলা হয় যে তিনি যেন আর কারো সাথে বিষয়টা নিয়ে আলাপ আলোচনা না করেন। বিষয়টির সত্যাসত্য যাচাই বা তদক্ষনাৎ কিছু না করে এনএসআই গোটা বিষয়টি চেপে যায়। ঘটনার দিন দুপুরে সেলিমের লোকেরা বিডিআর গেটে বিদ্রোহীদের পক্ষে মিছিল করে। ২৫ তারিখ রাতের আঁধারে পিলখানার বাতি নিভিয়ে দেয়াল টপকে সাধারন পোষাক পরে বিদ্রোহীরা তার এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। হাজী সেলিমের সিমেন্ট ঘাটকে ব্যবহার করে পালানোর কাজে। হাজী সেলিম তার লোকজন দিয়ে স্থানীয় জনগনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। ঢাকার একটি টিভি চ্যানেল ২৫ তারিখ রাত ১টার সংবাদে উক্ত ঘটনার খবর প্রচার করে। সেই রিপোর্টে ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য তুলে ধরে বলা হয় যে, বেশ কিছু স্পীডবোর্টকে তারা আসা যাওয়া করতে দেখেছে; কিন্তু তারা কাছাকাছি যেতে পারেনি যেহেতু কিছু রাজনৈতিক কর্মী তাদেরকে সেদিকে যেতে বাধা দেয়।

১৩. তোরাব আলী ও তার ছেলে লেদার লিটন: আওয়ামীলীগের ৪৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি। বিদ্রোহী বিডিআরদের নিয়ে যায় এমপি তাপসের কাছে। তোরাব আলী বাড়িতেও মিটিং হয়েছে। সে মূলত অবৈধ অস্ত্রের ডিলার। তার ছেলে সন্ত্রাসী লেদার লিটনের মাধ্যমে বিদ্রোহী বিডিআরদের পালিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হয়। এ সংক্রান্ত খরচাদি আগেই তাকে দেয়া হয়। উক্ত লিটনকে কয়েএক মাস আগে তাপস ও নানকের হস্তক্ষেপে কারামুক্ত করা হয়েছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে স্পীড বোট যোগে হত্যাকারীদের বুড়িগঙ্গা নদী পার করিয়ে দেয় লেদার লিটন।

১৪. মহিউদ্দিন খান আলমগীর: পিলখানার ঘটনার সময় এই সাবেক আমলা, জনতার মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা মেতে উঠেন বিভৎস উল্লাসে। বার বার ফোন করে খোঁজ নেন বিদ্রোহীদের কাছে। এমনকি নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়া হুকুমদাতা ছিলেন তিনি।

১৫. হাসানুল হক ইনু: বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার গলির নেতা। তিনি ১৯৭৫ সালে অনেক সেনা অফিসার হত্যা করেছেন কর্নেল তাহের বাহিনীতে থেকে। ১৯৭৫ সাল থেকে সকল সামরিক অভ্যুত্থানে তার যোগসাজস রয়েছে। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সময় তিনি তার ঘনিষ্টদের ফোন করে হত্যায় উৎসাহ যুগিয়েছেন।

চার বছর হয়ে গেছে ৫৭ সেনাঅফিসার সহ ৭৭ মানুষ হত্যার বয়স। বিডিআর বাহিনী বিলুপ্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সহায়তায় বিজিবি গঠন করা হয়েছে, যারা এখন বিএসএফের সাথে ভাগাভাগি করে ডি্উটি করে। কয়েক হাজার বিডিআর সদস্যকে কোমরে দড়ি লাগিয়ে বিচারের প্যারেড করানো হয়েছে। জেল হয়েছে সবার। কিন্তু হত্যার বিচার এখনো বাকী। সেনা অফিসাররা চায় না, এ হত্যার যেনোতোনো বিচার হোক। তাই মামলাও চলছে না। বিচার হবে নাকি বদলা হবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী।

পুলিশের নির্বিচারে আলেম হত্যা


এ কেমন দেশ যে দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই । 
এ কেমন মুসলিম দেশের সরকার যে নাকি 

ইসলাম রক্ষা করতে জানে না । এ কেমন মুসলিম দেশ 
যেখানে টুপি আর পাঞ্জাবি পরতে পারি না । 

সরকার তোমার ভয় কিসের,তুমি যদি যোগ্য হবে সরকার তোমার বলছি ,তুমিতো আর ভিনদেশি
সরকার না, তোমার দেশের জনগনের দাবি কেন মান্যা 
তাহলে । তুমি যদি ১৬ কুটি  মানুষের অভিভাবক না 

হতে পারবে তাহলে কেন তাদের অভিভাবক হতে চাও 
 এ তুমি কেমন সরকার,তোমার 

সন্তানেরশরীরে পুলিশ দিয়ে গুলি করতে হুকুম দাও ।সরকারতোমারকিলজ্জাকরেনা,তুমিতোমার
সন্তানদের মিথ্যা প্রতিশুতি দাও । গত বারের একটা অয়াদাওতো পূরণ করনি ,এবার তুমি কোন কথা 

নিয়া তাদের কাছে যাবে,সরকার আসলেই কি তোমার লজ্জা নেই ।সরকার, তাহলে তোমার এই লজ্জা 

কি ভাবে নষ্ট হল,তাহলে কি তুমি নির্লজ্জের মত কাজ করে যাচ্ছ? সরকার আমরা বরই অসহায় একটা 

জাতি,আমরা তোমার লোক দেখানো কিছু দেখতে চাই না । আমরা কাজ চাই , তিন বেলা খেতে চাই 

,আমরা দেশটাকে উন্নত দেখতে চাই । আমরা স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই । তুমি যদি এই গুল না পার 

তুমি সরে যাও,ওই খানে যোগ্য লোককে আসতে দাও । আমাদের যোগ্য লোক আসার সময়ই হইছে 

তুমি তাকে জয়াগা দাও।.

রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

জামাত শিবির বলে কি তারা মানুষ নয়

একটা পাখির ঘায়ে গুলি করার আগেও চিন্তা করে গুলি করা হয়,কোথায় আজ মানবতা কোথায় মানবাধির সংঘটন তোমরা সবাই অর্থর কাছে আজ বিক্রি নাকি সরকারের ভয়ে ভিত ধৃক্কার জানাই তোমাদের যেখানে পাখির মত গুলি করে মনুষ মারা হচ্ছে প্রতিদিন,পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে দুই চোখ উপড়ে বুকে হাটুতে গুলি করে লাশ রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে লাশ কোথায় আজ মানবতা,তারা মুসলিম বলে কি তার মানুষ নয়.তারা জামাত শিবির বলে কি তারা মানুষ নয় হায়রে মানবতা.এ কেমন দেশ ??????

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর সুনত কে অবমাননা করা হল

যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ঈমানের দাগ আছে তারা আজ মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি সহ্য করছে না কিন্তু বর্তমান সরকার এভাবে নির্বিচারে সাধরণ মুসলমানদেরকে হত্যা করার মাধ্যমে সমপ্রদায়ীক দাঙ্গা উসকে দিচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই আমি একজন মুসলমান হিসাবে যারা এই জগন্য কাজ করেছে তাদের ফাঁসি চাই। নইলে তাওহীদি জনতা যেভাবে মাঠে নেমেছে বর্তমান সরকারের পালানোর কোন রাস্তা থাকবে না।

স্বাধীন রাষ্টের মানুষকে এভাবে পাখির মত গুলি করে মারার অদিকার কে দিয়েছে

আমার মত অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারপড়ও বুঝি যুদ্ধের সময় একে অপরের শত্রুক মারা স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া যায় । কিনত্তু এখন আমরা স্বাধীন , স্বাধীন রাষ্টের মানুষকে এভাবে পাখির মত গুলি করে মারা এটাতো বড় মানবতাবরধী অপরাধে পরে না । হোক ওরা জামাত ,ব্লোগার ,বিএনপি আওমিলিগ । এই মানবতাবরধী অপরাধের বিচার ৪০ বছর আগে করা উচিত চিল ।
হরতাল বিরোধী মিছিল করে আওয়ামীলীগ কি বোজাতে চায়? এই হরতাল কোন দলের নয় এবং কোন দলের বিরুদ্ধেও নয় । আমাদের প্রিয়নবীজিকে নিয়ে এবং সাহাবাগণ ও নবী মো: (স:) এর স্ত্রীগণদের সমন্ধে অশালীন ভাষায় ব্লগে লেখকদের বিচারের দাবীতে । সরকার এই বেয়াদফ ব্লগাদের গ্রেফতার করলেইতো সব নিরব হয়ে যেত 

আমি সরকার এর  তব্রর নিন্দা যানাই ..... স্বাধীন রাষ্টের মানুষকে এভাবে পাখির মত গুলি করে মারার অদিকার কে  দিয়েছে  ? কেউ যদি অপ্রাদ করেয়েও তাকে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আশা উচিত ছিল । তাকে বুট দিয়ে সরকার বানিয়েচি মানুষ হত্যা করার জন্য নয় । 
আমি একজন মুসলিম আলহামদুল্লিলা  . আমি কুলাঙ্গার সরকার এবং নাস্তিক  মানুষ রূপি  শয়তান দের  গ্রিনা করি ।আর  দুয়া করি আল্লা তুমি ওদের দংশ করে দাও .. আমি