বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

সরকার হত্যাকে আতশবাজীর খেলা হিসেবে নিয়েছে

ফাঁসীর রায়ের পর এখন পরযন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছে জানিনা আরও কত প্রাণ গেলে সরকার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে যে গতকালই বলেছিলাম সেনাবাহিনী নামানো হোক কিন্তু সরকার ব্যাপারটা বুঝলো না তাই আবারো বলছি এক্ষুনি সারাদেশে সেনাবাহিনী নামানো হোক -


সরকার যেটা শুরু করেছে সেটা বাড়াবাড়ি। এখনো সরকার বুঝতে পারছেনা যে তারা কি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধারনা শুধু জামাত ইসলামের মাঝেই রাজাকার আছে। তাদের নিজ দলের ভিতরে যে কত রাজাকার আছে তারা ত জামাই আদরে দুরনিতি করছে। সরকার যদি যুধধ অপরাধি দের বিচার করতেই চায় তবে নিজের দল থেকে সেতা শুরু করুক।

সারাদেশে দলীয় কর্মীসহ ৫০ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা  করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াত। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায় ঘোষণার পর সারাদেশে সাধারণ জনতা এ রায় প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ জানালে সরকারের পুলিশ বাহিনী সাধারণ জনতার উপর গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে। পুলিশের গুলিতে রংপুরে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন, কক্সবাজারে ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৩ জন, নারায়নগঞ্জে ৩ জন, দিনাজপুরে ৩ জন, ঠাকুরগাঁয়ে ৫ জন, চাপাইনবাবগঞ্জে ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন, সাতক্ষিরায় ৫ জন, গাইবান্ধায় ৩ জন, কুমিল্লা, নাটোর, যশোর, লক্ষ্মীপুরে ১ জন করে মোট ৫০ জন নিহত হয়। সারাদেশে পুলিশের গুলিতে আহত হয় ৩ হাজারের মত সাধারণ জনতা। তার মধ্যে ৫০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সরকার সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এ সরকারের হাতে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। সরকারের গুলির হাত থেকে শিশু, নারী, বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। কোন যুদ্ধরত দেশেও এই ভাবে একদিনে ৫০ জন লোকের নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয় সরকারের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত ১লা মার্চ দোয়া দিবস, ২ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবস এবং ৩ ও ৪ মার্চ রবি ও সোমবার ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার হরতাল কর্মসূচি পালন করা হ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন