দেশজুড়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা এমন পর্যায় পৌঁছেছে মানুষ ঘরের বাইরে যেতেও ভয় পাচ্ছে। নানাগুঞ্জনে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল ছিল খুবই সীমিত। ব্যস্ততম রাজধানীর রাস্তায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকলেও গতকাল ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। সন্ধ্যার পর নগরীর সড়কগুলো আরও ফাঁকা হয়ে যায়। শাহবাগের আন্দোলন, শুক্রবার রাতে পল্লবীতে এক ব্লগারের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার ও সোমবার জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, জামায়াতের কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশের নির্বিচারে গুলি, এবং কক্সবাজারে সাধারণ দোকানিসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ নাগরিকের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে আন্দোলনকারীরা জামায়াতের হরতাল মোকাবিলায় আহম্মেদ রাজীব হায়দার শুভো হত্যার বদলা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে রণপ্রস্তুতিতে।
দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশীরাও দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিন মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রবাসীরা। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে-তা জানতে প্রতিদিন দেশের বাইরে থেকে আমার দেশ এর পিবিএক্স-এ অসংখ্য ফোন আসছে। এদিকে, রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে পারছে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। বিএনপির দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, পুলিশ তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করারও অনুমতি দিচ্ছে না। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। বিরোধী দলের অনেক নেতা হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাবন্দি। জামায়াত-শিবির রাজপথে কর্মসূচি দিলেই পুলিশ নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে। জামায়াত-শিবির দেখামাত্র গুলি করার জন্য ডিএমপি কমিশনার নির্দেশ দোয়র পর থেকেই পুলিশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামসহ কয়েকটি স্থানে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে।
সভা-সমাবেশ বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে একসময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস, পানিকামান ব্যবহার করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন নতুন নতুন অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে। বিরোধী পক্ষের অফিস, বাসাবাড়ি পুলিশের নজরদারিতে। কেউ মাঠে নামতে পারছে না। বিরোধী পক্ষ বা বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের দমাতে সম্প্রতি পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পিপার স্প্রেতে আক্রান্ত হয়ে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষক নিহত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ প্রথমিকভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে গুলি ছুড়ছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে গুলি ছুড়তে হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির প্রয়োজন হলেও এখন তার তোয়াক্কা করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে জামায়াত-শিবির সন্দেহ হলেই মুহুর্মুহু গুলি চালায় পুলিশ। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবির দেখামাত্র পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি চালিয়ে, নির্মমভাবে পিটিয়ে হতাহত করছে। যাকে সন্দেহ করছে পুলিশ তাকেই আটক করে নিচ্ছে। পুলিশের এভাবে অহরহ গুলি চালানোয় সাধারণ নাগরিক চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কোথাও মিছিল বের করলেই পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে অ্যাকশনে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে রাজপথে, অলিতে-গুলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই যুদ্ধাংদেহী অবস্থায় মানষের মাঝে ক্রমেই আতঙ্ক হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতেও চায় না লোকজন। কখন কী ঘটে যায়, এ আশঙ্কায় সবারই চেষ্টা সন্ধ্যার আগে ঘরে ফিরে যাওয়ার।
গতকাল সরজমিনে ঘুরে নগরীর ব্যস্ততম এলাকাতেও মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম নিউমার্কেটে প্রতিদিনের ব্যস্ততা ছিল না। মিরপুর সড়ক, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, রামপুরা, বিজয় সরণি, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন দৈনিক বাংলা, রামপুরা সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য যানচলাচল করলেও গতকাল ছিল কম। শনিবার ছুটির দিন থাকলেও সাধারণত শুক্রবার ছাড়া নগরীতে প্রায় অন্য ছয়দিন একই ধরনের ব্যস্ততা থাকে। সাধারণ মানষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানুষের মাঝে অজানা আতঙ্ক রয়েছে। শাহবাগ, জামায়াত-শিবির, পুলিশের গুলি ছোড়া, সোমবারের হরতাল, হরতাল মোকাবিলায় যুবলীগ, ছাত্রলীগ মাঠে থাকা ও ব্লগার খুন হওয়ার ঘটনায় পরস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। মিরপুরের বাসিন্দা এমরান আলম জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হিসাব করে পথ চলি। তিনি বলেন, ভাই বিপদে পড়লে কেউ এগিয়ে আসবে না। এমনকি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহায়তা চাইতে যাব মনে হচ্ছে—তারাও এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মন্ত্রী, এমপি, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে এখন শিবির আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছাত্রশিবিরের ঝটিকা মিছিল ও হামলার আশঙ্কায় মাঠ পর্যায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এখন তটস্থ। শিবির কখন হামলা চালায়—এমন আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রদানের চেয়ে এই মুহুর্তে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। সম্প্রতি শিবিরের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায়। অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়ে মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। এমনকি খোদ ডিএমপি কমিশনার শিবিরের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শিবির দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি এ কথা বলেননি, এটি মিডয়ার সৃষ্টি। কিন্তু এরপরই পুলিশ বেপরোয়াভাবে গুলি চালানো অব্যাহত রাখছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিবিরের তত্পরতার ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেককে যে যার অবস্থান থেকে অতিরিক্ত সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সচিবালয়, কূটনৈতিক জোন ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টিত প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ভেতরে ভাংচুর করা হয় ৩ সচিব ও অর্থমন্ত্রীর প্রটোকল গাড়ি, বিআরটিসির দোতলা বাস ও পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন। এ ঘটনার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিশের উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করে বিশেষ ব্যক্তি, স্থাপনার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত-শিবির কর্মীরা নাশকতা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো সরকারকে জানিয়েছে।
দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশীরাও দেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিন মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রবাসীরা। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে-তা জানতে প্রতিদিন দেশের বাইরে থেকে আমার দেশ এর পিবিএক্স-এ অসংখ্য ফোন আসছে। এদিকে, রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে পারছে না প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। বিএনপির দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, পুলিশ তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করারও অনুমতি দিচ্ছে না। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। বিরোধী দলের অনেক নেতা হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাবন্দি। জামায়াত-শিবির রাজপথে কর্মসূচি দিলেই পুলিশ নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে। জামায়াত-শিবির দেখামাত্র গুলি করার জন্য ডিএমপি কমিশনার নির্দেশ দোয়র পর থেকেই পুলিশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামসহ কয়েকটি স্থানে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে।
সভা-সমাবেশ বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে একসময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস, পানিকামান ব্যবহার করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন নতুন নতুন অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে। বিরোধী পক্ষের অফিস, বাসাবাড়ি পুলিশের নজরদারিতে। কেউ মাঠে নামতে পারছে না। বিরোধী পক্ষ বা বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনকারীদের দমাতে সম্প্রতি পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পিপার স্প্রেতে আক্রান্ত হয়ে আন্দোলনকারী দুই শিক্ষক নিহত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ প্রথমিকভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে গুলি ছুড়ছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে গুলি ছুড়তে হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির প্রয়োজন হলেও এখন তার তোয়াক্কা করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে জামায়াত-শিবির সন্দেহ হলেই মুহুর্মুহু গুলি চালায় পুলিশ। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জামায়াত-শিবির দেখামাত্র পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি চালিয়ে, নির্মমভাবে পিটিয়ে হতাহত করছে। যাকে সন্দেহ করছে পুলিশ তাকেই আটক করে নিচ্ছে। পুলিশের এভাবে অহরহ গুলি চালানোয় সাধারণ নাগরিক চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কোথাও মিছিল বের করলেই পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে অ্যাকশনে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে রাজপথে, অলিতে-গুলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই যুদ্ধাংদেহী অবস্থায় মানষের মাঝে ক্রমেই আতঙ্ক হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতেও চায় না লোকজন। কখন কী ঘটে যায়, এ আশঙ্কায় সবারই চেষ্টা সন্ধ্যার আগে ঘরে ফিরে যাওয়ার।
গতকাল সরজমিনে ঘুরে নগরীর ব্যস্ততম এলাকাতেও মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম নিউমার্কেটে প্রতিদিনের ব্যস্ততা ছিল না। মিরপুর সড়ক, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, রামপুরা, বিজয় সরণি, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন দৈনিক বাংলা, রামপুরা সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য যানচলাচল করলেও গতকাল ছিল কম। শনিবার ছুটির দিন থাকলেও সাধারণত শুক্রবার ছাড়া নগরীতে প্রায় অন্য ছয়দিন একই ধরনের ব্যস্ততা থাকে। সাধারণ মানষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানুষের মাঝে অজানা আতঙ্ক রয়েছে। শাহবাগ, জামায়াত-শিবির, পুলিশের গুলি ছোড়া, সোমবারের হরতাল, হরতাল মোকাবিলায় যুবলীগ, ছাত্রলীগ মাঠে থাকা ও ব্লগার খুন হওয়ার ঘটনায় পরস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। মিরপুরের বাসিন্দা এমরান আলম জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হিসাব করে পথ চলি। তিনি বলেন, ভাই বিপদে পড়লে কেউ এগিয়ে আসবে না। এমনকি যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহায়তা চাইতে যাব মনে হচ্ছে—তারাও এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মন্ত্রী, এমপি, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাঝে এখন শিবির আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছাত্রশিবিরের ঝটিকা মিছিল ও হামলার আশঙ্কায় মাঠ পর্যায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এখন তটস্থ। শিবির কখন হামলা চালায়—এমন আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রদানের চেয়ে এই মুহুর্তে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। সম্প্রতি শিবিরের হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায়। অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়ে মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। এমনকি খোদ ডিএমপি কমিশনার শিবিরের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শিবির দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও তিনি পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি এ কথা বলেননি, এটি মিডয়ার সৃষ্টি। কিন্তু এরপরই পুলিশ বেপরোয়াভাবে গুলি চালানো অব্যাহত রাখছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিবিরের তত্পরতার ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেককে যে যার অবস্থান থেকে অতিরিক্ত সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সচিবালয়, কূটনৈতিক জোন ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টিত প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ভেতরে ভাংচুর করা হয় ৩ সচিব ও অর্থমন্ত্রীর প্রটোকল গাড়ি, বিআরটিসির দোতলা বাস ও পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন। এ ঘটনার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিশের উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করে বিশেষ ব্যক্তি, স্থাপনার নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত-শিবির কর্মীরা নাশকতা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো সরকারকে জানিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন